আজম রেহমান, সারাদিন ডেস্ক:: কুরবানির ঈদ ঘনিয়ে আসছে। ঈদকে সামনে রেখে কুড়িগ্রামের নয়টি উপজেলার ছোটবড় প্রায় ২৬টি পশুর হাটে দেড় লক্ষাধিক পশু কেনাবেচার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
ইতোমধ্যে রৌমারী, রাজীবপুর, চিলমারী, উলিপুর, রাজারহাট, ফুলবাড়ী, কুড়িগ্রাম সদর, নাগেশ্বরী ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলার পশুর হাটগুলোতে শুরু হয়েছে কুরবানির গরু, ছাগল, ভেড়ার বেচাকেনা।
হাটগুলো ঘুরে দেখা গেছে, এসব হাটে তুলনামূলকভাবে ভারতীয় গরুর উপস্থিতি অনেকটা কম। দেশীয় গরু দিয়েই অধিকাংশ হাট ভরে যাচ্ছে।
এবার কুড়িগ্রামে কুরবানির পশুর দাম গতবারের চেয়ে প্রায় অর্ধেকে নেমেছ। এখানে গতবারের এক লাখ টাকার একটি ষাড় পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৫০ হাজারের মধ্যে। কুরবানি দেওয়ার মতো ভালো মানের একটি গরু ২৫ থেকে ৪০ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।
গরুর মাংস ব্যবসায়ী আব্দুল হক জানান, এবার কুড়িগ্রামের বাজারে দেড়মণ ওজনের মাংস হবে এমন একটি গরু ২২ হাজার থেকে ২৫ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। তাতে গতবারের চেয়ে এখানে কুরবানির পশুর মূল্য অর্ধেকে নেমেছে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হাই সরকার জানান, এবার কুড়িগ্রামের নয়টি উপজেলায় ছোটবড় প্রায় ২৬টি পশুর হাটে স্থানীয় খামারে ৭৪ হাজার পশুসহ দেড় লক্ষাধিক কুরবানির পশু কেনাবেচার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি জানান, প্রতিটি হাটে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ভেটেনারি টিম রয়েছে। এই টিম ঈদের আগের দিন পর্যন্ত পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবে। দেড় লক্ষাধিক কুরবানির পশু কুড়িগ্রামের চাহিদা মিটিয়ে বাইরের জেলাগুলোতে বিক্রি হতে পারে এমন আশা পোষণ করেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হাই সরকার।