পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘অক্টোবরের যেকোনো সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি ছোট সরকার গঠন হবে। তখন শুধু রুটিন কাজ করা যাবে। নীতি-নির্ধারণী কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না সেই সরকার।’

তিনি বলেন, ‘এজন্য নির্বাচনী সরকার গঠনের আগেই নতুন উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদনের জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবদের তাগিদ দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, শুধু প্রকল্প নিলেই হবে না। যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে, সে রকম প্রকল্পই নিতে হবে।’

মুস্তফা কামাল বলেন, ‘যেকোনো জাতীয় নির্বাচনের বছরে তার আগের ও পরের বছরের তুলনায় এডিপির বাস্তবায়ন কম হয়। এ অর্থবছর যাতে সে রকম কিছু না হয়, সেজন্য সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে বলা হয়েছে, দেশের টেকসই উন্নয়ন ধরে রাখতে হলে চলমান উন্নয়ন কাজের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে। নির্বাচন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এজন্য উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। আমাদের অর্থনীতির আকার যে হারে বড় হয়েছে, সে তুলনায় দেশে বিদেশি বিনিয়োগ আসেনি। তবে এবার যে রকম সাড়া পাওয়া গেছে এতে করে মনে হচ্ছে, ৭ থেক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ হবে। অন্য অর্থবছরে যা ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি হতো না।’

তিনি বলেন, ‘চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দসহ ৭৭টি সংশোধিত অননুমোদিত প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ সকল প্রকল্পের অনুকূলে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় তথা বাস্তবায়ন প্রকল্পগুলোর সংশোধন প্রস্তাব অনুমোদনের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। কাজেই প্রকল্পগুলো অনুমোদনের প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করা হবে। মেয়াদ উত্তীর্ণ ১৫০টি প্রকল্প বাস্তবায়নের স্বার্থে তারকা চিহিৃত অবস্থায় চলতি ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) তারকা চিহ্ন দিয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৬৫টি প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি বা সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। অবশিষ্ট ৮৫টি প্রকল্পের বিষয়ে দ্রুত উদ্যোগ নেয়ার তাগিদ দেয়া হয়েছে। এছাড়া নতুন প্রকল্পের ক্ষেত্রে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’