ঢাকা ১০:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ঠাকুরগাঁয়ের মিনাপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত পীরগঞ্জে ১১০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কৃষি বিভাগের নারিকেলের চারা বিতরণ রানীশংকৈল আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার ভারত থেকে পীরগঞ্জের বৈরচুনা সীমান্ত দিয়ে নড়াইলের কালিয়ার ৬ জনেক পুশ-ইন ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের বৈঠক রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমায় সীমা আরোপে একমত বিভাগীয় শহরে হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ বসাতে আপত্তি নেই * জাতীয় সনদ দ্রুত বাস্তবায়ন হোক -বিএনপি ছাত্রদলকে উদ্দেশ্য করে শিবির সভাপতি উদারতাকে দুর্বলতা ভাববেন না যতবার ছাত্র-যুব-জনতা এগিয়ে এসেছে ততবার বেচে গেছে বাংলাদেশ-ঠাকুরগাও ও পীরগঞ্জে নাহিদ ইসলাম পীরগঞ্জে দেয়ালে দেয়ালে আ’লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর পোষ্টার- ইউ’পি চেয়ারম্যান আটক ঠাকুরগাঁওয়ে মামলার আসামি ও আ’লীগ নেতাদের নিয়ে মাদক বিরোধী সমাবেশ ঠাকুরগাঁওয়ে খাদ্যবান্ধব র্কমসূচীর ডিলার থাকা অবস্থায় নতুন ডিলার নিয়োগের পদক্ষেপ নেয়ায় ইউএনও’কে হাইর্কোর্টে র শোকজ

গাইবান্ধায় প্রধান শিক্ষক পদে পোষ্টিং নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম-দূর্নিতী-স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ

গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধা জেলা সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের চলতি দায়িত্ব প্রদানে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতিসহ অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ।
জানা যায়, গাইবান্ধা সদর উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে চলতি দায়িত্ব প্রদানে নীতিমালা অনুযায়ী সবচেয়ে নিকটতম বিদ্যালয়ে পদায়নের নির্দেশ থাকলেও চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের পদায়নের ক্ষেত্রে নীতিমালা লংঘন করে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে পদায়ন করায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে শিক্ষকদের মাঝে চরম ক্ষােভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে।
জানাযায় গাইবান্ধা সদর উপজেলার পৌরসভা এলাকার উত্তরপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা উম্মে হাবিবা বেগমকে জৈষ্ঠতার ভিত্তিতে গত ২৭ আগস্ট প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব প্রদান পূর্বক বাদিয়াখালী ২ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করার আদেশ দেওয়া হয়। যথা নিয়মে তিনি যোগদান করে নিয়মিত প্রধান শিক্ষক হিসাবে স্কুলে গিয়ে তার দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করে আসছেন । এমনতাবস্থায় উক্ত স্কুলে রিফাইতপুর নব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা জান্নাতুন আম্মিয়া কে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আকষ্মিকভাবে বাদিয়াখালী ২ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে পোষ্টিং দেওয়া হয়। আর বাদিয়াখালি ২ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পদায়নকৃত প্রধান শিক্ষক উম্মে হাবিবা বেগমকেে যোগদানের ৫ দিন পর পূনরায় তাকে ৩০ কিলোমিটার দুরের বারো বলদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পোস্টিং দেওয়া হয়।
চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষকদের প্রত্যেকের নিকটস্থ বিদ্যালয়ে পদায়নের আদেশ অমান্য করে শিক্ষক নামে একটি স্বার্থান্বেষী সিন্ডিকেট বা দালালদের মাধ্যমে মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার যোগসাজসে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে শিক্ষকদের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে পদায়নের আদেশ প্রদান করছেন। নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষকদের সবচেয়ে নিকটতম বিদ্যালয়ে পদায়ন করার কথা থাকলেও এসব নিয়মের কোন তোয়াক্কাই করছেন না জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম তাঁর বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবী করে বলেন, আমি জেলায় ৪’ শ এর উপরে পদায়ন দিয়েছি। রাজনৈতিক চাপে আমার মাথা ঠিক নাই, তবে কাজ করলে কিছু ভুল ক্রটি হতেই পারে। আইন অনুযায়ী যতটুকু সম্ভব স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে কাজ করেছি।
এ বিষয়ে রংপুর প্রাথমিক শিক্ষা উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুল ওয়াহাব মিয়ার নিকট মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক(প্রশাসন) অতিরিক্ত সচিব মো. সাবের হোসেন বলেন, বিভিন্ন জেলায়ই এমন অভিযোগ উঠেছে, তবে বিষয়গুলো যথাসম্ভব শিঘ্রই সমাধানের পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

ঠাকুরগাঁয়ের মিনাপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

গাইবান্ধায় প্রধান শিক্ষক পদে পোষ্টিং নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম-দূর্নিতী-স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ

আপডেট টাইম ০৫:২৪:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধা জেলা সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের চলতি দায়িত্ব প্রদানে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতিসহ অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ।
জানা যায়, গাইবান্ধা সদর উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে চলতি দায়িত্ব প্রদানে নীতিমালা অনুযায়ী সবচেয়ে নিকটতম বিদ্যালয়ে পদায়নের নির্দেশ থাকলেও চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের পদায়নের ক্ষেত্রে নীতিমালা লংঘন করে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে পদায়ন করায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে শিক্ষকদের মাঝে চরম ক্ষােভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে।
জানাযায় গাইবান্ধা সদর উপজেলার পৌরসভা এলাকার উত্তরপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা উম্মে হাবিবা বেগমকে জৈষ্ঠতার ভিত্তিতে গত ২৭ আগস্ট প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব প্রদান পূর্বক বাদিয়াখালী ২ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করার আদেশ দেওয়া হয়। যথা নিয়মে তিনি যোগদান করে নিয়মিত প্রধান শিক্ষক হিসাবে স্কুলে গিয়ে তার দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করে আসছেন । এমনতাবস্থায় উক্ত স্কুলে রিফাইতপুর নব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা জান্নাতুন আম্মিয়া কে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আকষ্মিকভাবে বাদিয়াখালী ২ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে পোষ্টিং দেওয়া হয়। আর বাদিয়াখালি ২ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পদায়নকৃত প্রধান শিক্ষক উম্মে হাবিবা বেগমকেে যোগদানের ৫ দিন পর পূনরায় তাকে ৩০ কিলোমিটার দুরের বারো বলদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পোস্টিং দেওয়া হয়।
চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষকদের প্রত্যেকের নিকটস্থ বিদ্যালয়ে পদায়নের আদেশ অমান্য করে শিক্ষক নামে একটি স্বার্থান্বেষী সিন্ডিকেট বা দালালদের মাধ্যমে মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার যোগসাজসে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে শিক্ষকদের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে পদায়নের আদেশ প্রদান করছেন। নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষকদের সবচেয়ে নিকটতম বিদ্যালয়ে পদায়ন করার কথা থাকলেও এসব নিয়মের কোন তোয়াক্কাই করছেন না জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম তাঁর বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবী করে বলেন, আমি জেলায় ৪’ শ এর উপরে পদায়ন দিয়েছি। রাজনৈতিক চাপে আমার মাথা ঠিক নাই, তবে কাজ করলে কিছু ভুল ক্রটি হতেই পারে। আইন অনুযায়ী যতটুকু সম্ভব স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে কাজ করেছি।
এ বিষয়ে রংপুর প্রাথমিক শিক্ষা উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুল ওয়াহাব মিয়ার নিকট মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক(প্রশাসন) অতিরিক্ত সচিব মো. সাবের হোসেন বলেন, বিভিন্ন জেলায়ই এমন অভিযোগ উঠেছে, তবে বিষয়গুলো যথাসম্ভব শিঘ্রই সমাধানের পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।