ঢাকা ০৯:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আদালতের রায়ে নির্বাচনের পথ বন্ধ দুই ডজনের বেশি নেতার

দুর্নীতির দায়ে বিচারকি আদালতের দেয়া দণ্ড ও সাজা (কনভিকশন অ্যান্ড সেন্টেন্স) স্থগিত চেয়ে বিএনপির পাঁচ নেতার করা আবেদন খারিজ করে হাইকোর্ট একটি বেঞ্চ আদেশে বলেছেন, ‘ফৌজদারি কার্যবিধির ৪২৬ ধারা অনুসারে দণ্ড স্থগিতের সুযোগ নেই। দণ্ডিত ব্যক্তি সাজার বিরুদ্ধে আপিল করলে তার জরিমানা স্থগিত হতে পারে। তিনি জামিনে থাকতে পারেন। সাজাও স্থগিত হতে পারে তবে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় সাজা স্থগিত হলেও আপাতদৃষ্টিতে দণ্ডিতের সাজাপ্রাপ্ত অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে না। যতক্ষণ না পর্যন্ত তার দণ্ড ও সাজা যথাযথভাবে উপযুক্ত আপিল আদালতে বাতিল হচ্ছে বা তিনি দায় থেকে খালাস পাচ্ছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত তার অবস্থান দণ্ডিত সাজাপ্রাপ্ত। তাই সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুসারে দণ্ডিত সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি নির্বাচনে অংশগ্রহণের অযোগ্য।’

হাইকোর্টের দেয়া আদেশ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ বহাল রাখেন। পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, আপিল বিভাগে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে একটি দরখাস্ত করেছিলেন। সকল পক্ষকে শুনে আপিল বিভাগ কোনরকম স্থগিত করেননি, কোন আদেশও প্রদান করেননি। ফলে হাইকোর্ট বিভাগের আদেশটি আপিলে বহাল আছে। অর্থাৎ যে ব্যক্তিরা নৈতিক স্খলনজনিত কারণে অন্যূন দুই বছর দোষী সাব্যস্ত হবেন তারা কোনরকম নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। যদি ইতোমধ্যে তারা মুক্ত হয়ে যান অর্থাৎ খালাসপ্রাপ্তও হন তাদেরও পাঁচ বছরকাল অপেক্ষা করতে হবে নির্বাচনের জন্য।’

নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে অ্যার্টনি জেনারেল আরও বলেন, ‘গতকাল (২৭ নভেম্বর) হাইকোর্টে পাঁচটি দরখাস্ত দাখিল হয়েছিল আমান উল্লাহ আমান, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, ওদুদ ভূঁইয়া, মশিউর রহমান ও আব্দুল ওহাবের পক্ষ থেকে। তারা তাদের পিটিশনে বলেছিলেন, তারা দণ্ডপ্রাপ্ত কিন্তু তারা নির্বাচন করতে চান। এজন্য তাদের দণ্ড ও সাজা যাতে স্থগিত করা হয়। কাল (২৭ নভেম্বর) হাইকোর্ট ডিভিশনে আমি এ বক্তব্য দিয়েছিলাম। আমাদের শাসনতন্ত্রের ৬৬ অনুচ্ছেদ মতে, দুই বছর বা তার অধিক সময়ের জন্য দণ্ডপ্রাপ্ত হন নৈতিক স্খলনজনিত কারণে। সেক্ষেত্রে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না। যদি তিনি ইতোমধ্যে খালাসও পান বা মুক্তিও পান। মুক্তি লাভ করার পরও তাকে পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে। যারা দরখাস্ত করেছিলেন হাইকোর্ট তাদের দরখাস্ত খারিজ করেন এ অনুচ্ছেদের ওপর নির্ভর করে।

এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আজ (বুধবার) পাঁচজনের মধ্যে একজন আপিলের আবেদন নিয়ে গেছেন। যেহেতু তার আবেদনের বিষয়ে আজ কোন আদেশ দেননি (আদালত)। সুতরাং অন্যগুলোর ব্যাপারেও একই আদেশ হবে বলে আমরা ধরে নিতে পারি।’ সংবিধানের ‘অনুচ্ছেদ- ৬৬’ কি খালেদা জিয়ার জন্য- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা ভুল কথা। এটা আমাদের সংবিধান যখন প্রণয়ন হয়েছিল ১৯৭২ সালে, তখন থেকেই ছিল। খালেদা জিয়ার জন্য এ বিধান নতুন করে সংযোগ করা হয়নি। সুতরাং যারা এ কথা বলেন, তারা সঠিক কথা বলেন না। এটা সবার জন্য প্রযোজ্য, খালেদা জিয়া হোক বা যেকোন প্রার্থীও হোক।’ বিএনপি থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, এ আদেশটা ‘সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন’- এমন বক্তব্যের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এটাও ভুল কথা। রাজনৈতিক দলগুলো নানারকম মন্তব্য করছে, এ রায় সম্বন্ধে বা আমার সম্বন্ধে। অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে সংবিধানে যেটা লেখা আছে আদালতকে সেটা জানানো বা উল্লেখ করা আমার বড় দায়িত্ব। সংবিধান হলো রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। সাংবিধানিক বিধানগুলো আদালতকে জানানো আমার নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য।’ তিনি আরও জানান, ‘মুক্তি লাভটা ধরবেন যে দিন তার সাজাটা বাতিল হয়ে গেল। সেদিন থেকে ধরতে হবে। সেটা যে কোর্ট থেকেই হোক না কেন। সাজাটা আপিল বিভাগ থেকে বাতিল হতে পারে বা এমন হলো তিনি কিছুই করলেন না। তিনি সাজাটা ভোগ করে মুক্তি লাভ করলেন। তখন থেকে পাঁচ বছর।’ ‘এমন সাজাপ্রাপ্তরা যদি নমিনেশন পেপার কমিশনে দাখিল করেন এবং কমিশন যদি তা বাতিল করে দেন; এটি চ্যালেঞ্জ করে আবার যদি তারা হাইকোর্টে আসেন তাহলে কী হবে’- এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘যেকোন ব্যক্তিই আইনের আশ্রয় নিতে পারেন, তাকে বাধা দেয়া যাবে না। তারা হাইকোর্টে আসলে তখন দেখা যাবে। আমার মনে হয়, হাইকোর্ট বা কোন কোর্টের পক্ষে সংবিধানের যে বিধান আছে তার বাইরে যাওয়ার উপায় নেই। আর কোন পথ খোলা আছে বলে আমার মনে হয় না।’

এর আগে, মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) দুর্নীতির অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত (কনভিকশন অ্যান্ড সেন্টেন্স) বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানসহ পাঁচ নেতার দণ্ড স্থগিত চেয়ে করা আবেদন খারিজ করার পাশাপাশি নিম্ন আদালতে দুই বছরের বেশি দণ্ড হলে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় কোন ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে আদেশ দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ। ওই আদেশের পর সেদিন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানিয়েছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ আর থাকছে না। তিনি বলেন, ‘সম্পূর্ণ খালাস পেলে অথবা দণ্ড বাতিল হয়ে গেলে, তখন উনি পারবেন। হাইকোর্টের আদেশে এটা আরও স্পষ্ট হলো।’ অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমও বলেছিলেন, ‘এর ফলে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের আর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কোন সুযোগ থাকলো না বলে আমি মনে করি।’

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

আদালতের রায়ে নির্বাচনের পথ বন্ধ দুই ডজনের বেশি নেতার

আপডেট টাইম ০৬:১৭:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ডিসেম্বর ২০১৮

দুর্নীতির দায়ে বিচারকি আদালতের দেয়া দণ্ড ও সাজা (কনভিকশন অ্যান্ড সেন্টেন্স) স্থগিত চেয়ে বিএনপির পাঁচ নেতার করা আবেদন খারিজ করে হাইকোর্ট একটি বেঞ্চ আদেশে বলেছেন, ‘ফৌজদারি কার্যবিধির ৪২৬ ধারা অনুসারে দণ্ড স্থগিতের সুযোগ নেই। দণ্ডিত ব্যক্তি সাজার বিরুদ্ধে আপিল করলে তার জরিমানা স্থগিত হতে পারে। তিনি জামিনে থাকতে পারেন। সাজাও স্থগিত হতে পারে তবে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় সাজা স্থগিত হলেও আপাতদৃষ্টিতে দণ্ডিতের সাজাপ্রাপ্ত অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে না। যতক্ষণ না পর্যন্ত তার দণ্ড ও সাজা যথাযথভাবে উপযুক্ত আপিল আদালতে বাতিল হচ্ছে বা তিনি দায় থেকে খালাস পাচ্ছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত তার অবস্থান দণ্ডিত সাজাপ্রাপ্ত। তাই সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুসারে দণ্ডিত সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি নির্বাচনে অংশগ্রহণের অযোগ্য।’

হাইকোর্টের দেয়া আদেশ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ বহাল রাখেন। পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, আপিল বিভাগে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে একটি দরখাস্ত করেছিলেন। সকল পক্ষকে শুনে আপিল বিভাগ কোনরকম স্থগিত করেননি, কোন আদেশও প্রদান করেননি। ফলে হাইকোর্ট বিভাগের আদেশটি আপিলে বহাল আছে। অর্থাৎ যে ব্যক্তিরা নৈতিক স্খলনজনিত কারণে অন্যূন দুই বছর দোষী সাব্যস্ত হবেন তারা কোনরকম নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। যদি ইতোমধ্যে তারা মুক্ত হয়ে যান অর্থাৎ খালাসপ্রাপ্তও হন তাদেরও পাঁচ বছরকাল অপেক্ষা করতে হবে নির্বাচনের জন্য।’

নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে অ্যার্টনি জেনারেল আরও বলেন, ‘গতকাল (২৭ নভেম্বর) হাইকোর্টে পাঁচটি দরখাস্ত দাখিল হয়েছিল আমান উল্লাহ আমান, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, ওদুদ ভূঁইয়া, মশিউর রহমান ও আব্দুল ওহাবের পক্ষ থেকে। তারা তাদের পিটিশনে বলেছিলেন, তারা দণ্ডপ্রাপ্ত কিন্তু তারা নির্বাচন করতে চান। এজন্য তাদের দণ্ড ও সাজা যাতে স্থগিত করা হয়। কাল (২৭ নভেম্বর) হাইকোর্ট ডিভিশনে আমি এ বক্তব্য দিয়েছিলাম। আমাদের শাসনতন্ত্রের ৬৬ অনুচ্ছেদ মতে, দুই বছর বা তার অধিক সময়ের জন্য দণ্ডপ্রাপ্ত হন নৈতিক স্খলনজনিত কারণে। সেক্ষেত্রে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না। যদি তিনি ইতোমধ্যে খালাসও পান বা মুক্তিও পান। মুক্তি লাভ করার পরও তাকে পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে। যারা দরখাস্ত করেছিলেন হাইকোর্ট তাদের দরখাস্ত খারিজ করেন এ অনুচ্ছেদের ওপর নির্ভর করে।

এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আজ (বুধবার) পাঁচজনের মধ্যে একজন আপিলের আবেদন নিয়ে গেছেন। যেহেতু তার আবেদনের বিষয়ে আজ কোন আদেশ দেননি (আদালত)। সুতরাং অন্যগুলোর ব্যাপারেও একই আদেশ হবে বলে আমরা ধরে নিতে পারি।’ সংবিধানের ‘অনুচ্ছেদ- ৬৬’ কি খালেদা জিয়ার জন্য- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা ভুল কথা। এটা আমাদের সংবিধান যখন প্রণয়ন হয়েছিল ১৯৭২ সালে, তখন থেকেই ছিল। খালেদা জিয়ার জন্য এ বিধান নতুন করে সংযোগ করা হয়নি। সুতরাং যারা এ কথা বলেন, তারা সঠিক কথা বলেন না। এটা সবার জন্য প্রযোজ্য, খালেদা জিয়া হোক বা যেকোন প্রার্থীও হোক।’ বিএনপি থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, এ আদেশটা ‘সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন’- এমন বক্তব্যের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এটাও ভুল কথা। রাজনৈতিক দলগুলো নানারকম মন্তব্য করছে, এ রায় সম্বন্ধে বা আমার সম্বন্ধে। অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে সংবিধানে যেটা লেখা আছে আদালতকে সেটা জানানো বা উল্লেখ করা আমার বড় দায়িত্ব। সংবিধান হলো রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। সাংবিধানিক বিধানগুলো আদালতকে জানানো আমার নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য।’ তিনি আরও জানান, ‘মুক্তি লাভটা ধরবেন যে দিন তার সাজাটা বাতিল হয়ে গেল। সেদিন থেকে ধরতে হবে। সেটা যে কোর্ট থেকেই হোক না কেন। সাজাটা আপিল বিভাগ থেকে বাতিল হতে পারে বা এমন হলো তিনি কিছুই করলেন না। তিনি সাজাটা ভোগ করে মুক্তি লাভ করলেন। তখন থেকে পাঁচ বছর।’ ‘এমন সাজাপ্রাপ্তরা যদি নমিনেশন পেপার কমিশনে দাখিল করেন এবং কমিশন যদি তা বাতিল করে দেন; এটি চ্যালেঞ্জ করে আবার যদি তারা হাইকোর্টে আসেন তাহলে কী হবে’- এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘যেকোন ব্যক্তিই আইনের আশ্রয় নিতে পারেন, তাকে বাধা দেয়া যাবে না। তারা হাইকোর্টে আসলে তখন দেখা যাবে। আমার মনে হয়, হাইকোর্ট বা কোন কোর্টের পক্ষে সংবিধানের যে বিধান আছে তার বাইরে যাওয়ার উপায় নেই। আর কোন পথ খোলা আছে বলে আমার মনে হয় না।’

এর আগে, মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) দুর্নীতির অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত (কনভিকশন অ্যান্ড সেন্টেন্স) বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানসহ পাঁচ নেতার দণ্ড স্থগিত চেয়ে করা আবেদন খারিজ করার পাশাপাশি নিম্ন আদালতে দুই বছরের বেশি দণ্ড হলে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় কোন ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে আদেশ দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ। ওই আদেশের পর সেদিন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানিয়েছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ আর থাকছে না। তিনি বলেন, ‘সম্পূর্ণ খালাস পেলে অথবা দণ্ড বাতিল হয়ে গেলে, তখন উনি পারবেন। হাইকোর্টের আদেশে এটা আরও স্পষ্ট হলো।’ অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমও বলেছিলেন, ‘এর ফলে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের আর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কোন সুযোগ থাকলো না বলে আমি মনে করি।’