ঢাকা ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশি মিডিয়া কী বলছে? দিল্লিতে মুখপাত্রের ব্রিফিং, মমতার মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া, বাংলাদেশে দ্রুত শান্তির প্রত্যাশা কবে ট্রেন চলবে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি : রেলের ডিজি বাংলাদেশ ব্যাংকের হ্যাক হওয়া ওয়েবসাইট উদ্ধার হয়েছে গুলিতে নিহিত আবু সাঈদের জন্য কাদছে পীরগঞ্জের মানুষ নিহত-আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশের দাবি সিপিবি’র আন্দালিব রহমান পার্থকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেয়ার অভিযোগ এখনই খুলছে না স্কুল-কলেজ, মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়াল! জারি থাকছে কার্ফু, ধৃত ১৭৫৮ আগামীতে আইসিটি সেক্টরে ১০ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে ………….ঠাকুরগাঁওয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পীরগঞ্জে বিদায় সংবর্ধনা ও দায়িত্বভার গ্রহণ শেখ সমশের আলী

খবর সংগ্রহে মোটরসাইকেলে নিষেধাজ্ঞা বাতিল চায় সাংবাদিকরা

আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক::একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ব্যবহারে ‘নিষেধাজ্ঞা’ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব বিঘ্নিত ও ব্যহত হবে।

রোববার (২৩ ডিসেম্বর) নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) এমন শঙ্কা করেছে। একইসঙ্গে সংগঠনটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার কাছে এমন সিদ্ধান্ত বাতিলের জন্য লিখিতভাবে দাবি জানানো হয়েছে।

** সংবাদ সংগ্রহে মোটরসাইকেল ব্যবহারে ‘নিষেধাজ্ঞা’ ইসির

সিইসির কাছে আরএফইডির সভাপতি সোমা ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি পত্রে বলা হয়, ‘গত ২১ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম-সচিব (জনসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামানের সই করা এক নীতিমালায় বলা হয়েছে— আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন কমিশনের অনুমোদিত এবং অনুমোদনসূচক স্টিকারযুক্ত যানবাহন ব্যবহার করতে পারবেন। মোটরসাইকেল ব্যবহারের জন্য কোনো স্টিকার ইস্যু করা হবে না।’

‘নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্ত প্রথা ও রেওয়াজ বিরোধী। কারণ অতীতের সব নির্বাচনে সাংবাদিকরা নির্বাচন কমিশনের সরবরাহ করা স্টিকার মোটরসাইকেলে লাগিয়ে তাদের নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেছে।’

‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে মাঠ পর্যায়ে সাংবাদিকরা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে থাকেন এবং নির্বাচনের সব খবর সাধারণ মানুষের কাছে সরবরাহ করে থাকেন, যা একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। সে জন্য নির্বাচনের মাঠে সাংবাদিকদের অবাধ যাতায়াত নিশ্চিত করা প্রয়োজন। সাংবাদিকদের অবাধ ও নির্বিঘ্ন যাতায়াতের অন্যতম ও সহজ একটি মাধ্যম হলো মোটরসাইকেল। এ অবস্থায় মোটরসাইকেলের জন্য স্টিকার সরবরাহ না করার সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্বকে বিঘ্নিত ও ব্যহত করবে।’

চিঠিতে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাংবাদিকদের মোটরসাইকেলের অনুকূলে স্টিকার বরাদ্দ করার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্যও পত্রে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

চিঠির অনুলিপি চার নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব ও যুগ্ম-সচিবকে (জনসংযোগ) দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন এরইমধ্যে ২৯ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে ২০১৯ সালের ২ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত চারদিনের মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আর প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ব্যবহারের স্টিকার না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে নির্বাচনে সাংবাদিকরা মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে পারছেন না। অথচ সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে মোটরসাইকেলই হচ্ছে সাংবাদিকদের মূল বাহন।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশি মিডিয়া কী বলছে?

খবর সংগ্রহে মোটরসাইকেলে নিষেধাজ্ঞা বাতিল চায় সাংবাদিকরা

আপডেট টাইম ০২:৩০:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮
আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক::একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ব্যবহারে ‘নিষেধাজ্ঞা’ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব বিঘ্নিত ও ব্যহত হবে।

রোববার (২৩ ডিসেম্বর) নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) এমন শঙ্কা করেছে। একইসঙ্গে সংগঠনটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার কাছে এমন সিদ্ধান্ত বাতিলের জন্য লিখিতভাবে দাবি জানানো হয়েছে।

** সংবাদ সংগ্রহে মোটরসাইকেল ব্যবহারে ‘নিষেধাজ্ঞা’ ইসির

সিইসির কাছে আরএফইডির সভাপতি সোমা ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি পত্রে বলা হয়, ‘গত ২১ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম-সচিব (জনসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামানের সই করা এক নীতিমালায় বলা হয়েছে— আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন কমিশনের অনুমোদিত এবং অনুমোদনসূচক স্টিকারযুক্ত যানবাহন ব্যবহার করতে পারবেন। মোটরসাইকেল ব্যবহারের জন্য কোনো স্টিকার ইস্যু করা হবে না।’

‘নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্ত প্রথা ও রেওয়াজ বিরোধী। কারণ অতীতের সব নির্বাচনে সাংবাদিকরা নির্বাচন কমিশনের সরবরাহ করা স্টিকার মোটরসাইকেলে লাগিয়ে তাদের নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেছে।’

‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে মাঠ পর্যায়ে সাংবাদিকরা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে থাকেন এবং নির্বাচনের সব খবর সাধারণ মানুষের কাছে সরবরাহ করে থাকেন, যা একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। সে জন্য নির্বাচনের মাঠে সাংবাদিকদের অবাধ যাতায়াত নিশ্চিত করা প্রয়োজন। সাংবাদিকদের অবাধ ও নির্বিঘ্ন যাতায়াতের অন্যতম ও সহজ একটি মাধ্যম হলো মোটরসাইকেল। এ অবস্থায় মোটরসাইকেলের জন্য স্টিকার সরবরাহ না করার সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্বকে বিঘ্নিত ও ব্যহত করবে।’

চিঠিতে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাংবাদিকদের মোটরসাইকেলের অনুকূলে স্টিকার বরাদ্দ করার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্যও পত্রে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

চিঠির অনুলিপি চার নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব ও যুগ্ম-সচিবকে (জনসংযোগ) দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন এরইমধ্যে ২৯ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে ২০১৯ সালের ২ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত চারদিনের মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আর প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ব্যবহারের স্টিকার না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে নির্বাচনে সাংবাদিকরা মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে পারছেন না। অথচ সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে মোটরসাইকেলই হচ্ছে সাংবাদিকদের মূল বাহন।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।