কেন্দ্রিয় ব্যাংকের রিজার্ভের টাকা চুরি রহস্য শেষ হতে না হতেই ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে এক ব্যাংক একাউন্ট হোল্ডারের টাকা চুরি হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে সোনালী ব্যাংকের ঘটনাটি আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছে। বিষয়টি সুরাহ না হলে সোনালী ব্যাংকের দিকে গ্রাহকরা মুখফিরিয়ে নিবে।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, রাণীশংকৈল উপজেলার মুনিষগাঁও গ্রামের শরিফুল ইসলাম সোনালী ব্যাংক শাখায় ০২১০৪৮৩১ নং একটি একাউন্ড খুলে ২লক্ষ টাকা জমা রাখে। বৃহস্পতিবার ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে গেলে দেখা যায় সে একাউন্টে জমাকৃত টাকা নেই, আর ডি আর এস এর ইস্যুকৃত ৪২৫৩৬৯১ নং একাউন্টের চেক দিয়ে ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এ বিষয়ে একাউন্ট হোল্ডার শরিফুল ইসলাম বলেন আমি ২লক্ষ টাকা ব্যাংকে জমা রেখে ছিলাম আজকে ব্যাংক কতৃপক্ষ আমাকে জানায় যে একাউন্টে শুধু ১০হাজার ৫শত পঞ্চাশ টাকা রহিয়াছে। বিষয়টি শুনে আমি হতভম্ব হয়ে পড়ি।
এ রকম একটি সরকার শ্বাসিত ব্যাংকে জমানো টাকা চুরি হলে মানুষের ডিপিএস ফিসডিপোজিট ও কারেন্ট একাউন্টে জমা কৃত টাকার নিরাপত্তা কোথায়? বিষয়টি নিয়ে কথা হয় আরডিআরএস হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা সারোয়ার আলমের সাথে তিনি বলেন আমি একই দিনে ৫টি চেক বহি ব্যাংক হতে নিয়ে আসি এতে একটি বইয়ের ৯টি পাতা দিয়ে ছিলেন জুনিয়র কর্মকর্তা জবাইদুর রহমান। শেষের ৪২৫৩৭০০ নং পাতাটি দিয়ে শরিফুলের একাউন্টে কে টাকা উত্তোলন করেছে তা আমার জানা নেই। তাছাড়া আইটি কর্মকর্তা চেক পাতাটি যাচাই না করে কেনই বা টাকা দিলো তা আমার বোধগম্য নয়। এ প্রসঙ্গে আইটি কর্মকর্তা নিপূণ বর্ম্মনের মতামত নেওয়ার চেষ্ঠা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে ব্যাংক ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম এ প্রতিনিধি কে বলেন গ্রাহকের টাকা উদ্ধারের চেষ্ঠা চলছে। এখানে অনেক গুলি বিষয় জড়িত রয়েছে যেমন চেক ইস্যু কর্মকর্তা-আরডিআরএস-আইট কর্মকর্তা ও যে মোবাইলে টাকা জমানোর ম্যাসেজ গেছে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে আমার ধারণা ব্যাংকের লোক জড়িত থাকতে পারে।