ঢাকা ০৮:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
কান্তিভিটা সীমান্তে স্কুলছাত্রের লাশ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ ঠাকুরগাঁওয়ে সাবেক দুই এমপিসহ ৪৮ জনের বিরুদ্ধে শিল্পপতির চাঁদাবাজী মামলা ‘সেভ পীরগঞ্জ’ গ্রুপের সামাজিক কার্যক্রম অব্যাহত সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে ভারতে যাওয়ার সময় দানাজপুর সীমান্তে ৩ টি মোটর সাইকেল সহ ৪ যুবক আটক ঠাকুরগাঁওয়ে মাষ্টারপাড়া জামে মসজিদ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করলেন মানবজমিনের রেজাউল পীরগঞ্জে শতবর্ষী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে দুর্নিতীর হোতাদের বিচারের দাবীতে ছাত্র জনতার বিক্ষোভ সমাবেশ মুসলিমদের উপর যে তান্ডব চলেছে, হিন্দুদের উপর তার ছিটেফোটাও হয়নি- হিন্দু বৌদ্ধ কৃষ্টান কল্রান ফান্ত ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হলো ঢাকা মেডিকেলে অন্তর্বর্তী সরকারের সময় ‘বেঁধে দিলেন’ কাদের সিদ্দিকী! পদত্যাগ করছেন প্রধান বিচারপতি

ঠাকুরগাঁওয়ে হত্যা মামলায় ১ জনের যাবজ্জীবন জেল ও জরিমানা

আজম রেহমান::
ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. হায়দার আলী ১৭ জানুয়ারী হত্যা মামলার রায়ে ১ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন্। দণ্ডপ্রাপ্ত মাহাবুব আলম (২৫) সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের মাতৃগাঁও গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ছাড়াও আসামিকে দশ হাজার টাকার আর্থিক জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলার এক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায় , একখণ্ড জমি নিয়ে মাতৃগাঁও গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে জামিল আনছারির সঙ্গে প্রতিবেশী আব্দুল করিম ও গোলাম কিবরিয়ার বিরোধ চলছিল।
২০১২ সালের ১৩ অক্টোবর সকালে জুয়েল গরুকে খাওয়ানোর জন্য বাড়ির পাশে একটি ধান ক্ষেতের আইলে ঘাস কাটছিলেন। এ সময় মাহাবুব আলম, আব্দুল করিম ও গোলাম কিবরিয়া তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করেন।

স্থানীয়রা জুয়েলকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ অক্টোবর দুপুরে জুয়েলের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় ১৯ অক্টোবর জুয়েলের বাবা বাদী হয়ে মাহাবুব আলম, আব্দুল করিম ও গোলাম কিবরিয়াকে আসামি করে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল হামিদ বলেন, তদন্ত শেষে ঠাকুরগাঁও সদর থানার এসআই কামরুজ্জামান মিয়া ২০১৩ সালের ১৭ জানুয়ারি ঠাকুরগাঁও চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। পরে মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য জেলা দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়।

মামলা চলাকালীন আসামি আব্দুল করিম মারা যাওয়ায় তাকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামি গোলাম কিবরিয়াকে খালাস দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

কান্তিভিটা সীমান্তে স্কুলছাত্রের লাশ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ

ঠাকুরগাঁওয়ে হত্যা মামলায় ১ জনের যাবজ্জীবন জেল ও জরিমানা

আপডেট টাইম ১০:৩৫:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০১৮

আজম রেহমান::
ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. হায়দার আলী ১৭ জানুয়ারী হত্যা মামলার রায়ে ১ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন্। দণ্ডপ্রাপ্ত মাহাবুব আলম (২৫) সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের মাতৃগাঁও গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ছাড়াও আসামিকে দশ হাজার টাকার আর্থিক জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলার এক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায় , একখণ্ড জমি নিয়ে মাতৃগাঁও গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে জামিল আনছারির সঙ্গে প্রতিবেশী আব্দুল করিম ও গোলাম কিবরিয়ার বিরোধ চলছিল।
২০১২ সালের ১৩ অক্টোবর সকালে জুয়েল গরুকে খাওয়ানোর জন্য বাড়ির পাশে একটি ধান ক্ষেতের আইলে ঘাস কাটছিলেন। এ সময় মাহাবুব আলম, আব্দুল করিম ও গোলাম কিবরিয়া তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করেন।

স্থানীয়রা জুয়েলকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ অক্টোবর দুপুরে জুয়েলের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় ১৯ অক্টোবর জুয়েলের বাবা বাদী হয়ে মাহাবুব আলম, আব্দুল করিম ও গোলাম কিবরিয়াকে আসামি করে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল হামিদ বলেন, তদন্ত শেষে ঠাকুরগাঁও সদর থানার এসআই কামরুজ্জামান মিয়া ২০১৩ সালের ১৭ জানুয়ারি ঠাকুরগাঁও চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। পরে মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য জেলা দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়।

মামলা চলাকালীন আসামি আব্দুল করিম মারা যাওয়ায় তাকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামি গোলাম কিবরিয়াকে খালাস দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।