ঢাকা ০২:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
বিদেশি পিস্তলসহ ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকের কর্মকর্তা আটক ঠাকুরগাঁওয়ে যুব অধিকার পরিষদের কমিটি গঠন ঠাকুরগাঁও স্কাউটসের সভাপতি ডিসি ইসরাত, সম্পাদক মিঠু প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’ গঠন প্রাণিসম্পদ গবেষনা প্রতিষ্ঠানের ৩ দিনব্যাপি ‘ফুড সেফটি হ্যাজারড’ শীর্ষক প্রশিক্ষনের সফল সমাপ্তি স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে হাতেনাতে ধরলেন স্বামী সিআইডিকে মারধর করে আসামি নিয়ে পালাল স্থানীয়রা, গাড়ি ভাঙচুর বিনামূল্যে চক্ষু ক্যাম্প অনুষ্ঠিত, ১৭২ জনের ছানি অপারেশনে স্বাধীনতাবিরোধী আর ফ্যাসিবাদের দোসরদের দিয়ে গনতন্ত্র পরিপুষ্ট হবেনা- শামসুজ্জামান দুদু মানুষ নতুন নেতৃত্বের জন্য মুখিয়ে আছে- বালিয়াডাঙ্গীর পথসভায়- ফারুক হাসান

ঠাকুরগাঁওয়ে হত্যা মামলায় ১ জনের যাবজ্জীবন জেল ও জরিমানা

আজম রেহমান::
ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. হায়দার আলী ১৭ জানুয়ারী হত্যা মামলার রায়ে ১ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন্। দণ্ডপ্রাপ্ত মাহাবুব আলম (২৫) সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের মাতৃগাঁও গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ছাড়াও আসামিকে দশ হাজার টাকার আর্থিক জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলার এক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায় , একখণ্ড জমি নিয়ে মাতৃগাঁও গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে জামিল আনছারির সঙ্গে প্রতিবেশী আব্দুল করিম ও গোলাম কিবরিয়ার বিরোধ চলছিল।
২০১২ সালের ১৩ অক্টোবর সকালে জুয়েল গরুকে খাওয়ানোর জন্য বাড়ির পাশে একটি ধান ক্ষেতের আইলে ঘাস কাটছিলেন। এ সময় মাহাবুব আলম, আব্দুল করিম ও গোলাম কিবরিয়া তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করেন।

স্থানীয়রা জুয়েলকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ অক্টোবর দুপুরে জুয়েলের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় ১৯ অক্টোবর জুয়েলের বাবা বাদী হয়ে মাহাবুব আলম, আব্দুল করিম ও গোলাম কিবরিয়াকে আসামি করে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল হামিদ বলেন, তদন্ত শেষে ঠাকুরগাঁও সদর থানার এসআই কামরুজ্জামান মিয়া ২০১৩ সালের ১৭ জানুয়ারি ঠাকুরগাঁও চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। পরে মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য জেলা দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়।

মামলা চলাকালীন আসামি আব্দুল করিম মারা যাওয়ায় তাকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামি গোলাম কিবরিয়াকে খালাস দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

বিদেশি পিস্তলসহ ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকের কর্মকর্তা আটক

ঠাকুরগাঁওয়ে হত্যা মামলায় ১ জনের যাবজ্জীবন জেল ও জরিমানা

আপডেট টাইম ১০:৩৫:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০১৮

আজম রেহমান::
ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. হায়দার আলী ১৭ জানুয়ারী হত্যা মামলার রায়ে ১ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন্। দণ্ডপ্রাপ্ত মাহাবুব আলম (২৫) সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের মাতৃগাঁও গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ছাড়াও আসামিকে দশ হাজার টাকার আর্থিক জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলার এক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায় , একখণ্ড জমি নিয়ে মাতৃগাঁও গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে জামিল আনছারির সঙ্গে প্রতিবেশী আব্দুল করিম ও গোলাম কিবরিয়ার বিরোধ চলছিল।
২০১২ সালের ১৩ অক্টোবর সকালে জুয়েল গরুকে খাওয়ানোর জন্য বাড়ির পাশে একটি ধান ক্ষেতের আইলে ঘাস কাটছিলেন। এ সময় মাহাবুব আলম, আব্দুল করিম ও গোলাম কিবরিয়া তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করেন।

স্থানীয়রা জুয়েলকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ অক্টোবর দুপুরে জুয়েলের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় ১৯ অক্টোবর জুয়েলের বাবা বাদী হয়ে মাহাবুব আলম, আব্দুল করিম ও গোলাম কিবরিয়াকে আসামি করে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল হামিদ বলেন, তদন্ত শেষে ঠাকুরগাঁও সদর থানার এসআই কামরুজ্জামান মিয়া ২০১৩ সালের ১৭ জানুয়ারি ঠাকুরগাঁও চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। পরে মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য জেলা দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়।

মামলা চলাকালীন আসামি আব্দুল করিম মারা যাওয়ায় তাকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামি গোলাম কিবরিয়াকে খালাস দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।