::রাজনৈতিক দল হিসেবে গণসংহতি আন্দোলনকে নিবন্ধন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালতের আদেশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
দলটির নিবন্ধন কেন দেয়া হবে না সে-সংক্রান্ত রুল যথাযথ ঘোষণা করে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে আজ গণসংহতি আন্দোলনের রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক টুটুল।
এর আগে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে আবেদন করে গণসংহতি আন্দোলন। পরে ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন থেকে চিঠি দিয়ে বলা হয়, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধি, ২০০৮ ও গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের দুটি প্রবিধানের বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই আবেদনে, যা ১৫ দিনের মধ্যে এর ব্যাখ্যা দাখিল করতে বলা হয় গণসংহতি আন্দোলনকে।
পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ১৩ এপ্রিল নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের দু’টি প্রবিধানের বিষয় ঠিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত ও ব্যাখ্যাসহ আবার তা একই বছরের ২২ এপ্রিল নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হয়। কিন্তু এরপরও নিবন্ধন না দিয়ে দলটির পক্ষে করা আবেদন খারিজ করে দেয় নির্বাচন কমিশন।
এরপর ২০১৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রাজনৈতিক দল হিসেবে গণসংহতি আন্দোলনের নিবন্ধন আবেদন খারিজ করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার বা পুনর্বিবেচনা করতে নির্বাচন কমিশনকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গণসংহতি আন্দোলনের নিবন্ধন চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন দলটির সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
সে রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত গত ১১ নভেম্বর রাজনৈতিক দল হিসেবে গণসংহতি আন্দোলনকে নিবন্ধন দিতে নির্বাচন কমিশনকে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। একই সঙ্গে দলটির নিবন্ধন না দেয়া-সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছিলেন আদালত। প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব এবং আইন মন্ত্রণালয় সচিবকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ওই সব রুলের শুনানি শেষে আদালত দলটির নিবন্ধনের জন্য নির্দেশনা দিলেন।