ঢাকা ০৭:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

ক্যাডারভুক্তির দাবিতে আন্দোলনে নন-ক্যাডার চিকিৎসকরা

অনলাইন অনলাইন ডেস্ক::৩৯তম বিশেষ বিসিএসে (স্বাস্থ্য ক্যাডার) উত্তীর্ণ নন-ক্যাডারপ্রাপ্ত চিকিৎসকরা ক্যাডারভূক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রায় আড়াই হাজার নন-ক্যাডার চিকিৎসকের উপস্থিতিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। একই দাবিতে আগামীকাল রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হবে বলেও জানান তিনি।

মানববন্ধনে নন-ক্যাডার চিকিৎসকরা বলেন, দেশে চিকিৎসকের সঙ্কট থাকলেও আমরা যোগ্য হওয়ার পরও ক্যাডারভুক্তি করা হয়নি। পদ সৃজন না করায় লিখিত-মৌখিক পরীক্ষায় যোগ্যাতার পরিচয় দিলেও আমাদের নন-ক্যাডার করা হয়েছে। আমরা তা মেনে নেব না, আমাদের ক্যাডারভুক্তি করে দেশের যেকোনো স্থানে নিয়োগ দিলে সেখানে গিয়ে আমরা চিকিৎসা সেবা দেব। ক্যাডারভুক্তি না করা হলে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

তারা বলেন, ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে সারাদেশে ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়া হয়। সে নির্দেশনা মোতাবেক বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) স্বাস্থ্য ক্যাডারে নিয়োগ দিতে ৩৯তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার আয়োজন করে। এ পরীক্ষায় আমরা ৩৮ হাজার চিকিৎসক অংগ্রহণ করে আট হাজার ৩৬০ জন লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় যোগ্যতা অর্জন করলেও শূন্যপদের সংখ্যা কম হওয়ায় উত্তীর্ণ মাত্র চার হাজার ৫০০ জনকে ক্যাডার করে বাকিদের নন-ক্যাডার করা হয়েছে।

অভিযোগকারীরা আরও বলেন, দেশে ১০৫টি মেডিকেল কলেজে ২৫ হাজার ৩০০ জন শিক্ষক প্রয়োজন থাকলেও সেখানে মাত্র ৯ হাজার ৫০৩ জন শিক্ষক রয়েছেন। ৬৩ শতাংশ শিক্ষক সঙ্কট রেখেই মেডিকেল কলেজে পড়ালেখা চলছে। যোগ্যদের ক্যাডারভুক্তি করলেও এসব কলেজে শিক্ষক সংকট নিরসন করা সম্ভব হবে।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, আমরা যোগ্য হওয়ার পরও ক্যাডারভুক্তি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। পদ সৃজন না থাকায় আমাদের নন-ক্যাডার করা হয়েছে, যার কোনো ভবিষ্যৎ নেই। আমাদের ক্যাডার থেকে বঞ্চিত করায় রোববার থেকে আন্দোলন করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। দাবি আদায়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের উদ্দেশে পদযাত্রা করা হবে। সেখানে গিয়ে আন্দোলনে যুক্ত হওয়া সকলের গণস্বাক্ষর নেয়া হবে। সেই গণস্বাক্ষরসহ প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি জমা দেয়া হবে।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ

ক্যাডারভুক্তির দাবিতে আন্দোলনে নন-ক্যাডার চিকিৎসকরা

আপডেট টাইম ০৫:৫৬:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০১৯

অনলাইন অনলাইন ডেস্ক::৩৯তম বিশেষ বিসিএসে (স্বাস্থ্য ক্যাডার) উত্তীর্ণ নন-ক্যাডারপ্রাপ্ত চিকিৎসকরা ক্যাডারভূক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রায় আড়াই হাজার নন-ক্যাডার চিকিৎসকের উপস্থিতিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। একই দাবিতে আগামীকাল রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হবে বলেও জানান তিনি।

মানববন্ধনে নন-ক্যাডার চিকিৎসকরা বলেন, দেশে চিকিৎসকের সঙ্কট থাকলেও আমরা যোগ্য হওয়ার পরও ক্যাডারভুক্তি করা হয়নি। পদ সৃজন না করায় লিখিত-মৌখিক পরীক্ষায় যোগ্যাতার পরিচয় দিলেও আমাদের নন-ক্যাডার করা হয়েছে। আমরা তা মেনে নেব না, আমাদের ক্যাডারভুক্তি করে দেশের যেকোনো স্থানে নিয়োগ দিলে সেখানে গিয়ে আমরা চিকিৎসা সেবা দেব। ক্যাডারভুক্তি না করা হলে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

তারা বলেন, ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে সারাদেশে ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়া হয়। সে নির্দেশনা মোতাবেক বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) স্বাস্থ্য ক্যাডারে নিয়োগ দিতে ৩৯তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার আয়োজন করে। এ পরীক্ষায় আমরা ৩৮ হাজার চিকিৎসক অংগ্রহণ করে আট হাজার ৩৬০ জন লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় যোগ্যতা অর্জন করলেও শূন্যপদের সংখ্যা কম হওয়ায় উত্তীর্ণ মাত্র চার হাজার ৫০০ জনকে ক্যাডার করে বাকিদের নন-ক্যাডার করা হয়েছে।

অভিযোগকারীরা আরও বলেন, দেশে ১০৫টি মেডিকেল কলেজে ২৫ হাজার ৩০০ জন শিক্ষক প্রয়োজন থাকলেও সেখানে মাত্র ৯ হাজার ৫০৩ জন শিক্ষক রয়েছেন। ৬৩ শতাংশ শিক্ষক সঙ্কট রেখেই মেডিকেল কলেজে পড়ালেখা চলছে। যোগ্যদের ক্যাডারভুক্তি করলেও এসব কলেজে শিক্ষক সংকট নিরসন করা সম্ভব হবে।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, আমরা যোগ্য হওয়ার পরও ক্যাডারভুক্তি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। পদ সৃজন না থাকায় আমাদের নন-ক্যাডার করা হয়েছে, যার কোনো ভবিষ্যৎ নেই। আমাদের ক্যাডার থেকে বঞ্চিত করায় রোববার থেকে আন্দোলন করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। দাবি আদায়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের উদ্দেশে পদযাত্রা করা হবে। সেখানে গিয়ে আন্দোলনে যুক্ত হওয়া সকলের গণস্বাক্ষর নেয়া হবে। সেই গণস্বাক্ষরসহ প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি জমা দেয়া হবে।