ঢাকা ০৮:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমরণ অনশনে অসুস্থ ৪০ শিক্ষক

আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক:: বেতন স্কেলে বৈষম্য দূর করার দাবিতে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের টানা তৃতীয় দিনের আমরণ অনশনে এ পর্যন্ত ৪০ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তার মধ্যে ১০ জন শিক্ষকের অবস্থা গুরুতর।

বর্তমানে তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজসহ (ঢামেক) অন্যান্য হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি কাজী আবু নাসের আজাদ।

মূলত না খেয়ে থাকার কারণে এবং প্রচণ্ড শীতে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে জানান ইব্রাহিম মেমোরিয়াল হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আবু সাঈদ। তিনি অনশনে অসুস্থ শিক্ষকদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিচ্ছেন।

কাজী আবু নাসের আজাদ বলেন, ‘ঝালকাঠির উচ্চহারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা প্রজ্ঞা লাবনী দীপা, টাঙ্গাইলের রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা কাকলী দে, মাগুরা থেকে আসা শিক্ষক মো. আবু আজিম, নোয়াখালীর ছাটখিলের সহকারী শিক্ষক আব্দুল মান্নান, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের দক্ষিণ মুছাপুরের শিক্ষক মো. হক মিয়া, একই উপজেলার আল মোবারক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম, ময়মনসিংহ ঈশ্বরগঞ্জের মো. জাহাঙ্গীর আলম ও একই স্কুলের সহকারী শিক্ষক আজমল হোসেন, বরগুনার মো. সানাউল্লাহ হক, ময়মনসিংহের সিরাজ-উদ-দৌলা, মানিকগঞ্জের শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, নোয়াখালীর এইচ এম আলাউদ্দিন, সাতক্ষীরার আব্দুল হামিদ, সিরাজগঞ্জের শিক্ষক এস এম সানাউল্লাহসহ ৪০ জন শিক্ষক অনশন চলাকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজসহ অন্যান্য চিকিৎসাকেন্দ্রে পাঠানো হয়। সেখানে শিক্ষকদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’

আন্দোলনকারী বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোটের নেতা মোহাম্মদ সামছুদ্দীন সাংবাদিকদের জানান, আজ সোমবার পর্যন্ত প্রায় ৪০ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়েছেন। এর মধ্যে ১৭ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে বলেও জানান তিনি।

গত শনিবার সকাল থেকে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোটের ডাকে আমরণ অনশন শুরু হয়। এতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১০টি সংগঠন অংশ নিয়েছে।

সংগঠনের নেতারা স্লোগানের সুরে জানান, ‘দাবি মোদের একটাই প্রধান শিক্ষকদের পরে ধাপে বেতন চাই।’ আর এ দাবি পূরণ না হলে তারা ঘরে ফিরে যাবেন না।

শিক্ষকদের এই আন্দোলনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এসে সংহতি জানাচ্ছেন। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্সসহ বিভিন্ন নেতারা তাদের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছেন।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

আমরণ অনশনে অসুস্থ ৪০ শিক্ষক

আপডেট টাইম ০১:১৩:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭

আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক:: বেতন স্কেলে বৈষম্য দূর করার দাবিতে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের টানা তৃতীয় দিনের আমরণ অনশনে এ পর্যন্ত ৪০ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তার মধ্যে ১০ জন শিক্ষকের অবস্থা গুরুতর।

বর্তমানে তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজসহ (ঢামেক) অন্যান্য হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি কাজী আবু নাসের আজাদ।

মূলত না খেয়ে থাকার কারণে এবং প্রচণ্ড শীতে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে জানান ইব্রাহিম মেমোরিয়াল হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আবু সাঈদ। তিনি অনশনে অসুস্থ শিক্ষকদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিচ্ছেন।

কাজী আবু নাসের আজাদ বলেন, ‘ঝালকাঠির উচ্চহারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা প্রজ্ঞা লাবনী দীপা, টাঙ্গাইলের রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা কাকলী দে, মাগুরা থেকে আসা শিক্ষক মো. আবু আজিম, নোয়াখালীর ছাটখিলের সহকারী শিক্ষক আব্দুল মান্নান, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের দক্ষিণ মুছাপুরের শিক্ষক মো. হক মিয়া, একই উপজেলার আল মোবারক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম, ময়মনসিংহ ঈশ্বরগঞ্জের মো. জাহাঙ্গীর আলম ও একই স্কুলের সহকারী শিক্ষক আজমল হোসেন, বরগুনার মো. সানাউল্লাহ হক, ময়মনসিংহের সিরাজ-উদ-দৌলা, মানিকগঞ্জের শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, নোয়াখালীর এইচ এম আলাউদ্দিন, সাতক্ষীরার আব্দুল হামিদ, সিরাজগঞ্জের শিক্ষক এস এম সানাউল্লাহসহ ৪০ জন শিক্ষক অনশন চলাকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজসহ অন্যান্য চিকিৎসাকেন্দ্রে পাঠানো হয়। সেখানে শিক্ষকদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’

আন্দোলনকারী বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোটের নেতা মোহাম্মদ সামছুদ্দীন সাংবাদিকদের জানান, আজ সোমবার পর্যন্ত প্রায় ৪০ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়েছেন। এর মধ্যে ১৭ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে বলেও জানান তিনি।

গত শনিবার সকাল থেকে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোটের ডাকে আমরণ অনশন শুরু হয়। এতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১০টি সংগঠন অংশ নিয়েছে।

সংগঠনের নেতারা স্লোগানের সুরে জানান, ‘দাবি মোদের একটাই প্রধান শিক্ষকদের পরে ধাপে বেতন চাই।’ আর এ দাবি পূরণ না হলে তারা ঘরে ফিরে যাবেন না।

শিক্ষকদের এই আন্দোলনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এসে সংহতি জানাচ্ছেন। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্সসহ বিভিন্ন নেতারা তাদের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছেন।