ঢাকা ০২:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ সাগর-রুনি হত্যা মামলা র‌্যাব থেকে তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইয়ের কাছে সংস্কারের পরেই নির্বাচন: ড. ইউনূস বশিরউদ্দীন ও ফারুকীকে কার বুদ্ধিতে নিলেন, প্রশ্ন মান্নার ভূমি সেবায় দুর্নীতি-অনিয়মে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা ভোট কারচুপির তদন্ত সাবেক ডিসি-এসপি-ইউএনওদের ঘুম হারাম আসিফ নজরুলকে হেনস্তা,দূতাবাসের কাউন্সেলরকে দেশে ফেরত, চাকরি হারাচ্ছেন স্টাফ হাসিনাকে ফেরানোর উদ্যোগ, যা বলছে আনন্দবাজার পীরগঞ্জ পাইলট হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের রিরুদ্ধে এবার শিক্ষকদের ১২ দফা অভিযোগ

সুশাসনের অভাবেই চাঁদ দেখা নিয়ে দুই বক্তব্য: ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | ৫ জুন ২০১৯, বুধবার, ৪:১৭::
দেশে সুশাসন না থাকলে যা হয়, চাঁদ দেখা নিয়ে তাই হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, দেশে সুশাসন না থাকলে যা হয়, তাই হয়েছে। সরকারের লোকজন ৮টা-সাড়ে ৮টার মধ্যে বললেন চাঁদ দেখা যায়নি, ঈদের তারিখও বলে দিলেন বৃহস্পতিবার। আবার রাত ১১টার দিকে সেটা সংশোধন করলেন। কিন্তু ঈদের একটা প্রস্তুতি আছে, নামাজ পড়ার জন্য তো একটা প্রস্তুতি দরকার। জনগণের কষ্টের বিষয়গুলো কখনোই এই সরকার সঠিকভাবে উপলব্ধি করেনি, উপলব্ধি করার প্রয়োজনও মনে করে না। যে কারণে জনগণ কষ্ট পায়, ভোগান্তি হয়, সেই ধরনের কাজ তারা করে। আমি মনে করি, দেশে সুশাসন না থাকার কারণে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
ঈদের নামাজের পর শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারতের পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকাল তিনি এসব কথা বলেন। ঈদের চাঁদ দেখা নিয়ে সরকারের মন্ত্রীর দুবার দুই ধরনের বক্তব্যের প্রসঙ্গ তুলে ধরে এসময় সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন তিনি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, উৎসবের এই দিনেও মানুষের মনে আনন্দ নেই। এই দিনে মানুষের আনন্দ করার কথা। কিন্তু লাখ লাখ মানুষের ঘরে কোনো আনন্দ নেই, তাদের কোনো উৎসব নেই। কারণ, হাজার হাজার গণতান্ত্রিক নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা থাকায় তারা ঘরে থাকতে পারে না। এই ঈদের দিনেও তারা ঘরে যেতে পারে না। কৃষকেরা ধান বিক্রি করতে পারে নাই। ফলে, তাদের ঘরে কোনো আনন্দ নেই।
মির্জা আলমগীর বলেন, ঈদযাত্রায় দুর্ভোগের কারণে ঘরমুখী মানুষের আনন্দ অনেকাংশেই ম্লান হয়ে গেছে। সড়ক দুর্ঘটনায় অনেকেই নিহত হয়েছেন। অনেকেই যানবাহনের সমস্যার কারণে বাড়িতে পৌঁছাতে পারেননি, আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে পারেননি।

বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, আমাদের দলীয় চেয়ারপারসন কারাবন্দী খালেদা জিয়ার সঙ্গে নেতাদের দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা আবেদন করেছিলাম, অনুমতি দেয়নি। পরিবারের সাতজনকে মাত্র দিয়েছে। আইন যেটা আছে, জেল কোডে যেটা লেখা আছে, ঈদের উৎসবের দিনে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, স্বজন যাঁরা আছেন, তাদের দেখা করতে দিতে হবে। সেখানে অবশ্যই তারা বিধি লঙ্ঘন করেছে। মির্জা আলমগীর বলেন, গত বছর আমরা এখান থেকে কারাগারে গিয়েছিলাম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার জন্য। কিন্তু সেখানে দেখা করতে দেওয়া হয়নি, বাধা দিয়েছে। এবারও আমরা আগেই চিঠি দিয়েছিলাম যে, এবার নেতৃবৃন্দকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার জন্য। সরকার সেই অনুমতি আমাদের দেয়নি। যেহেতু নেত্রী এখন হাসপাতালে আছেন, সেই কারণে আমরা হাসপাতালের সামনে যাইনি। হাসপাতাল হওয়ার কারণে সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত আমরা নেইনি।
উল্লেখ্য, দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া পুরান ঢাকার পুরান কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থান করছিলেন। এর মধ্যে গত ১ এপ্রিল তাকে চিকিৎসার জন্য রাজধানীর শাহবাগের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে আনা হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের কেবিন ব্লকের প্রিজন সেলে অবস্থান করছেন।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান

সুশাসনের অভাবেই চাঁদ দেখা নিয়ে দুই বক্তব্য: ফখরুল

আপডেট টাইম ০৭:৫০:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০১৯
স্টাফ রিপোর্টার | ৫ জুন ২০১৯, বুধবার, ৪:১৭::
দেশে সুশাসন না থাকলে যা হয়, চাঁদ দেখা নিয়ে তাই হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, দেশে সুশাসন না থাকলে যা হয়, তাই হয়েছে। সরকারের লোকজন ৮টা-সাড়ে ৮টার মধ্যে বললেন চাঁদ দেখা যায়নি, ঈদের তারিখও বলে দিলেন বৃহস্পতিবার। আবার রাত ১১টার দিকে সেটা সংশোধন করলেন। কিন্তু ঈদের একটা প্রস্তুতি আছে, নামাজ পড়ার জন্য তো একটা প্রস্তুতি দরকার। জনগণের কষ্টের বিষয়গুলো কখনোই এই সরকার সঠিকভাবে উপলব্ধি করেনি, উপলব্ধি করার প্রয়োজনও মনে করে না। যে কারণে জনগণ কষ্ট পায়, ভোগান্তি হয়, সেই ধরনের কাজ তারা করে। আমি মনে করি, দেশে সুশাসন না থাকার কারণে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
ঈদের নামাজের পর শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারতের পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকাল তিনি এসব কথা বলেন। ঈদের চাঁদ দেখা নিয়ে সরকারের মন্ত্রীর দুবার দুই ধরনের বক্তব্যের প্রসঙ্গ তুলে ধরে এসময় সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন তিনি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, উৎসবের এই দিনেও মানুষের মনে আনন্দ নেই। এই দিনে মানুষের আনন্দ করার কথা। কিন্তু লাখ লাখ মানুষের ঘরে কোনো আনন্দ নেই, তাদের কোনো উৎসব নেই। কারণ, হাজার হাজার গণতান্ত্রিক নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা থাকায় তারা ঘরে থাকতে পারে না। এই ঈদের দিনেও তারা ঘরে যেতে পারে না। কৃষকেরা ধান বিক্রি করতে পারে নাই। ফলে, তাদের ঘরে কোনো আনন্দ নেই।
মির্জা আলমগীর বলেন, ঈদযাত্রায় দুর্ভোগের কারণে ঘরমুখী মানুষের আনন্দ অনেকাংশেই ম্লান হয়ে গেছে। সড়ক দুর্ঘটনায় অনেকেই নিহত হয়েছেন। অনেকেই যানবাহনের সমস্যার কারণে বাড়িতে পৌঁছাতে পারেননি, আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে পারেননি।

বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, আমাদের দলীয় চেয়ারপারসন কারাবন্দী খালেদা জিয়ার সঙ্গে নেতাদের দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা আবেদন করেছিলাম, অনুমতি দেয়নি। পরিবারের সাতজনকে মাত্র দিয়েছে। আইন যেটা আছে, জেল কোডে যেটা লেখা আছে, ঈদের উৎসবের দিনে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, স্বজন যাঁরা আছেন, তাদের দেখা করতে দিতে হবে। সেখানে অবশ্যই তারা বিধি লঙ্ঘন করেছে। মির্জা আলমগীর বলেন, গত বছর আমরা এখান থেকে কারাগারে গিয়েছিলাম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার জন্য। কিন্তু সেখানে দেখা করতে দেওয়া হয়নি, বাধা দিয়েছে। এবারও আমরা আগেই চিঠি দিয়েছিলাম যে, এবার নেতৃবৃন্দকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার জন্য। সরকার সেই অনুমতি আমাদের দেয়নি। যেহেতু নেত্রী এখন হাসপাতালে আছেন, সেই কারণে আমরা হাসপাতালের সামনে যাইনি। হাসপাতাল হওয়ার কারণে সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত আমরা নেইনি।
উল্লেখ্য, দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া পুরান ঢাকার পুরান কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থান করছিলেন। এর মধ্যে গত ১ এপ্রিল তাকে চিকিৎসার জন্য রাজধানীর শাহবাগের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে আনা হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের কেবিন ব্লকের প্রিজন সেলে অবস্থান করছেন।