বিএনপির মহাসচিব বলেন, উৎসবের এই দিনেও মানুষের মনে আনন্দ নেই। এই দিনে মানুষের আনন্দ করার কথা। কিন্তু লাখ লাখ মানুষের ঘরে কোনো আনন্দ নেই, তাদের কোনো উৎসব নেই। কারণ, হাজার হাজার গণতান্ত্রিক নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা থাকায় তারা ঘরে থাকতে পারে না। এই ঈদের দিনেও তারা ঘরে যেতে পারে না। কৃষকেরা ধান বিক্রি করতে পারে নাই। ফলে, তাদের ঘরে কোনো আনন্দ নেই।
মির্জা আলমগীর বলেন, ঈদযাত্রায় দুর্ভোগের কারণে ঘরমুখী মানুষের আনন্দ অনেকাংশেই ম্লান হয়ে গেছে। সড়ক দুর্ঘটনায় অনেকেই নিহত হয়েছেন। অনেকেই যানবাহনের সমস্যার কারণে বাড়িতে পৌঁছাতে পারেননি, আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে পারেননি।
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, আমাদের দলীয় চেয়ারপারসন কারাবন্দী খালেদা জিয়ার সঙ্গে নেতাদের দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা আবেদন করেছিলাম, অনুমতি দেয়নি। পরিবারের সাতজনকে মাত্র দিয়েছে। আইন যেটা আছে, জেল কোডে যেটা লেখা আছে, ঈদের উৎসবের দিনে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, স্বজন যাঁরা আছেন, তাদের দেখা করতে দিতে হবে। সেখানে অবশ্যই তারা বিধি লঙ্ঘন করেছে। মির্জা আলমগীর বলেন, গত বছর আমরা এখান থেকে কারাগারে গিয়েছিলাম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার জন্য। কিন্তু সেখানে দেখা করতে দেওয়া হয়নি, বাধা দিয়েছে। এবারও আমরা আগেই চিঠি দিয়েছিলাম যে, এবার নেতৃবৃন্দকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার জন্য। সরকার সেই অনুমতি আমাদের দেয়নি। যেহেতু নেত্রী এখন হাসপাতালে আছেন, সেই কারণে আমরা হাসপাতালের সামনে যাইনি। হাসপাতাল হওয়ার কারণে সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত আমরা নেইনি।
উল্লেখ্য, দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া পুরান ঢাকার পুরান কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থান করছিলেন। এর মধ্যে গত ১ এপ্রিল তাকে চিকিৎসার জন্য রাজধানীর শাহবাগের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে আনা হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের কেবিন ব্লকের প্রিজন সেলে অবস্থান করছেন।