ঢাকা ০৬:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
সাংবাদিক আব্দুর রহমান মারা গেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কার্যালয় গুঁড়িয়ে দিলেন শিক্ষার্থীরা হজরত সোলায়মান (আ.) ও রানি বিলকিসের ঘটনা লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালিমিন কখন পড়বেন সরকারি প্রকল্পের শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রে আসন পেতে মায়েদের ছোটাছুটি শনিবার খোলা থাকায় বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন বিআরটিএ গ্রাহক আন্দোলনকারী কর্মকর্তাদের ‘কঠোর বার্তা’ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য অনুযায়ী: সিইসি পুনরুজ্জীবিত হচ্ছে পদ্মা সেতু ‘দুর্নীতি’ মামলা ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ দিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে ১৫ দিন সময়

তিন মামলায় সিনহার সহযোগী সিফাতের জামিন

ডেস্ক:: কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের সহযোগী স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী চিত্রগ্রাহক সাহেদুল ইসলাম সিফাতের জামিন দিয়েছেন আদালত।

সোমবার কক্সবাজারের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ জামিন মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে সিফাত ও শিপ্রার বিরুদ্ধে পুলিশের করা মামলার তদন্তভার র‌্যাবের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

শুনানি শেষে সিফাতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মোস্তফা প্রেস ব্রিফিং করেন। তিনি জানান, সিফাতের নামে রামু থানায় একটি মাদক এবং টেকনাফ থানায় মাদক ও হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ। সোমবার বেলা ১১টায় জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম রামুর বিচারক দেলোয়ার হোসেনের আদালতে মাদক মামলায় সিফাতের জামিন হয়। এছাড়া বেলা সোয়া ১১টার দিকে টেকনাফ উপজেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারহার আদালত-৩ এ বাকি দুটি মামলায় জামিন পান সিফাত। এ সময় বিচারক তিনটি মামলারই তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করে র‌্যাবকে এর তদন্তভার দেন।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই (শুক্রবার) রাতে টেকনাফ বাহারছড়া চেকপোস্টে তল্লাশির সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ খান। ওই রাতেই সিফাত ও শিপ্রাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

বুধবার (৫ আগস্ট) মেজর সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ জুডিসিয়িাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরিদর্শক লিয়াকত আলিকে প্রধান ও ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ওইদিন রাতেই টেকনাফ থানায় মামলাটি নথিভুক্ত হয়।

বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতসহ মামলার ৭ আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এতে র‌্যাব আদালতে প্রত্যেক আসামির বিরুদ্ধে ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করলে বিচারক ইন্সপেক্টর লিয়াকত, ওসি প্রদীপ এবং এসআই দুলাল রক্ষিতকে ৭দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর এবং ৪ জন আসামিকে ২ দিন করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন। এছাড়া অনুপস্থিত থাকা বাকি ২ আসামিকে পলাতক দেখিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক আব্দুর রহমান মারা গেছেন

তিন মামলায় সিনহার সহযোগী সিফাতের জামিন

আপডেট টাইম ১২:৪৪:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ অগাস্ট ২০২০
ডেস্ক:: কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের সহযোগী স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী চিত্রগ্রাহক সাহেদুল ইসলাম সিফাতের জামিন দিয়েছেন আদালত।

সোমবার কক্সবাজারের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ জামিন মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে সিফাত ও শিপ্রার বিরুদ্ধে পুলিশের করা মামলার তদন্তভার র‌্যাবের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

শুনানি শেষে সিফাতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মোস্তফা প্রেস ব্রিফিং করেন। তিনি জানান, সিফাতের নামে রামু থানায় একটি মাদক এবং টেকনাফ থানায় মাদক ও হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ। সোমবার বেলা ১১টায় জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম রামুর বিচারক দেলোয়ার হোসেনের আদালতে মাদক মামলায় সিফাতের জামিন হয়। এছাড়া বেলা সোয়া ১১টার দিকে টেকনাফ উপজেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারহার আদালত-৩ এ বাকি দুটি মামলায় জামিন পান সিফাত। এ সময় বিচারক তিনটি মামলারই তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করে র‌্যাবকে এর তদন্তভার দেন।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই (শুক্রবার) রাতে টেকনাফ বাহারছড়া চেকপোস্টে তল্লাশির সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ খান। ওই রাতেই সিফাত ও শিপ্রাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

বুধবার (৫ আগস্ট) মেজর সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ জুডিসিয়িাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরিদর্শক লিয়াকত আলিকে প্রধান ও ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ওইদিন রাতেই টেকনাফ থানায় মামলাটি নথিভুক্ত হয়।

বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতসহ মামলার ৭ আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এতে র‌্যাব আদালতে প্রত্যেক আসামির বিরুদ্ধে ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করলে বিচারক ইন্সপেক্টর লিয়াকত, ওসি প্রদীপ এবং এসআই দুলাল রক্ষিতকে ৭দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর এবং ৪ জন আসামিকে ২ দিন করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন। এছাড়া অনুপস্থিত থাকা বাকি ২ আসামিকে পলাতক দেখিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।