মোঃ মানিক হোসেন: ———————
মানুষ প্রতিনিয়ত ছুটে চলেছে আধুনিকতায় নিজেকে সামিল করতে। কে কতটা আধুনিক হতে পারে তার প্রতিযোগিতায় মগ্ন সবাই। গ্রাম যেন আজ হয়ে গেছে আধুনিকতার প্রধান প্রতিবন্ধক। কেউ এখন গ্রামে থাকতে চায়না। শহুরে জীবন যেন স্বপ্নের স্বর্গের অন্যরুপ সবার কাছে। হবেই না বা কেন ? কি নেই এই স্বপ্নের শহরে ? সকল সুবিধার পসরা এখানে বিদ্যমান।
আমাদের সকলের ভাষ্যঃ ★ভালো একটা চাকরী করি তো গ্রামে থাকবো কেন ? সন্তানকে শহরের নামী একটা স্কুলে পড়াবো, গ্রামের স্কুলগুলো তো সেকেলে। শহরে সবকিছুই হাতের নাগালে পাওয়া যায় যা গ্রামে পাওয়া অসম্ভব। সন্তানকে মানুষ করতে হলে এর বিকল্প কিছু নেই। সম্মানিত পাঠকবৃন্দঃ- আমি কিন্তু আপনাদের সাথে একমত হতে পারছিনা। আমি শিরোনামে “রাজধানীমুখি মানুষের অবনতি নাকি উন্নতি” লিখেছি কারন আমি মনে করি শহরমুখী মানুষ প্রতিনিয়ত উন্নতির চেয়ে অবনতির দিকে বেশি ধাবিত হচ্ছে। আসুন একটু মন দিয়ে বোঝার চেষ্টা করি –
★ পৃথিবীর সবচেয়ে বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় হলো বাড়ী সেটা গ্রামে হোক বা শহরে। আর সবচেয়ে ভালো শিক্ষক হলেন মা। সন্তান মায়ের কাছ থেকে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহন করে থাকে। মা তার সন্তানকে ছোটবেলায় যে শিক্ষা দেন তার প্রভাব সারাজীবন তার উপড়ে থাকে, বাবা / মা সবসময় সন্তানকে ভালো শিক্ষা দিবেন এটা স্বাভাবিক। একটি সন্তান তার বাবার কাছ হতে শিখে বিচার, মায়ের কাছে আচার আর সমাজের কাছে শিখে সংস্কৃতি। সমাজের দেয়া শিক্ষা কি কোন প্রভাব ফেলবেনা তার উপড়ে ?
★ মনির সাহেব ভালো বেতনের একটি চাকরি করেন, বাড়ী কুমিল্লার একটি গ্রামে।মনির সাহেব এবং তার স্ত্রী দুজনেই অত্যন্ত নম্র,ভদ্র এবং ধার্মিক। সন্তানদের নীজ আদর্শে গড়ে তুলেছেন। অনেক দেন দরবার করে ঢাকার প্রতিষ্ঠানে বদলী হয়ে এসেছেন। উদ্দেশ্য পরিবার কে একটু ভালো রাখবেন, সন্তানকে ভালো একটা স্কুলে ভর্তি করাবেন। তার মনের আশা পূর্ন হয়েছে। বাসা নিয়েছেন উত্তরায়। কাছাকাছি ভালো একটা স্কুলে ভর্তি করিয়েছেন তার এক ছেলে এবং এক মেয়েকে। মনির সাহেব বাসা থেকে অফিস করেন। চলমান _MD MANIK HOSSAIN.