পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (উত্তর আমেরিকা) খন্দকার মাসুদুল আলমের সাথে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাষ্ট্রের উপ-সহকারী মন্ত্রী আফরিন আক্তার। শুক্রবার ঢাকায় শুরু হওয়া দু’দিনব্যাপী ৬ষ্ঠ ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্সে অংশ নিতে আফরিন আক্তারের এই সফর হলেও সরকারের প্রতিনিধি এবং নাগরিক সমাজের লোকজনের সাথে তিনি আলাপ-আলোচনা করছেন। তারই অংশ হিসেবে শুক্রবার তিনি দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সম্পর্কে নাগরিক সমাজের মুখ থেকে শুনেছেন।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস লিখেছেঃ ডিএএস আফরিন আক্তার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উত্তর আমেরিকার ডিজি খন্দকার মাসুদুল আলমের সাথে মধ্যাহ্নভোজে (পারস্পরিক) সহযোগিতা, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, মানবাধিকার এবং রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন। পৃথকভাবে তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক (পরিস্থিতি) এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সম্পর্কে নাগরিক সমাজের বক্তব্য শোনার সুযোগ পেয়েছেন।
ওদিকে, ফেসবুকে নিজেদের ভেরিফাইড পেইজ থেকে এক পোস্টে মার্কিন দূতাবাস এ সংক্রান্ত খবর দিয়ে লিখেছেঃ যুক্তরাষ্ট্র নাগরিক সমাজ এবং মিডিয়ার উপর বিধিনিষেধ বিষয়ে নাগরিক সমাজের উদ্বেগগুলোকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে এবং বাংলাদেশি নাগরিকদের মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
উল্লেখ্য, ঠিক ছয় মাস আগে গত নভেম্বর মাসে মার্কিন উপ-সহকারী মন্ত্রী আফরিন আক্তার বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। সে সময় তিনি ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের উপস্থিতিতে বাংলাদেশের প্রধান তিনটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করেছিলেন। ওই আলোচনায় অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলাপ হয়েছিল। সোয়া এক ঘন্টা দীর্ঘ বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাসরুর মাওলা উপস্থিত ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের মন্ত্রী অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন কিভাবে আয়োজন করা যেতে পারে সে সম্পর্কে তাদের মনোভাব জানতে চেয়েছিলেন।