মাজহারুল মিচেল: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুধবার (৭ জুন) গভীর রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দ্বিপক্ষীয় এবং গতিশীল অভিবাসন ব্যবস্থার আওতায় বাংলাদেশ থেকে নির্মাণ খাত, জাহাজ নির্মাণ এবং আতিথেয়তার জন্য দক্ষ কর্মী নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইতালি।
পাশাপাশি দেশটি ইন্দো-প্যাসিফিকের অংশীদার হিসেবে ঢাকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করারও আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বুধবার রোমে রাজনৈতিক পরামর্শক সভায় এ নিয়ে উভয় দেশ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর সই হয়েছে।
রোমে দুই দেশের প্রথম রাজনৈতিক সভায় ঢাকার পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র-সচিব মাসুদ বিন মোমেন। অন্যদিকে ইতালির পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা মন্ত্রণালয়ের মহাসচিব রিকার্ডো গুয়ারিগিলা তার দেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সভায় রোমের পক্ষ থেকে সন্তোষ প্রকাশ করে বলা হয়েছে, বর্তমান দেশটিতে ফ্লুসি ডিক্রির অধীনে শতকরা ৪৬ ভাগেরও বেশি বাংলাদেশি কর্মী মৌসুমি এবং অ-মৌসুমি কাজের জন্য দেশটিতে যাচ্ছেন।
রাজনৈতিক সভার আগে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র-সচিব এবং ইতালির মহাসচিব দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে রাজনৈতিক পরামর্শ সভা সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন।
বৈঠকে উভয়পক্ষ সম্পর্ককে আরও গভীর করার এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, বাংলাদেশের টেক্সটাইল সেক্টরে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা, আইসিটি, কৃষি, অভিবাসনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরও সম্পৃক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে।
সভায় উভয়পক্ষ ইতালিতে অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের বিষয়েও সম্মত হয়েছে। ইতালির পক্ষ রোহিঙ্গাদের আতিথেয়তা জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করা হয় এবং রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার এবং মিয়ানমারে তাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায় এবং টেকসই প্রত্যাবাসনে সমর্থন করার আশ্বাস দেওয়া হয়।
এছাড়া রোমের পক্ষ থেকে ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওরা) সুযোগে ইন্দো-প্যাসিফিকের অংশীদার হিসেবে ঢাকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করা হয়।