আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক:: দলীয় আনুগত্যের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সংসদ সদস্য ও ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ দবিরুল ইসলাম । তাঁর এই দৃষ্টান্ত বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে ।
২৯ মার্চ । ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে জনসভা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনা । সেই জনসভায় সভাপতিত্ব করতে হবে । স্বাগত জানাতে হবে দলীয় প্রধানকে । উপস্থিত না থাকলে জনসভাতেও বড় প্রভাব পড়তে পারে । এসব ভেবেই প্রিয়তমা স্ত্রীর দাফন পিছিয়ে দিলেন।
নির্ধারিত সময়ে হাজার হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে উপস্থিত থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত জনসভায় উপস্থিত ছিলেন এই বর্ষিয়ান নেতা ।
২৮ মার্চ রাত এগারোটার দিকে অসুস্থতাজনিত কারণে পার্থিব জগতের মায়া ছেড়ে পরপারে চলে যান এমপি দবিরুল ইসলামের স্ত্রী মোমেনা খাতুন । খবর পেয়ে দলীয় নেতা কর্মিরাসহ সাধারণ মানুষজন বাড়িতে ভীর জমান। সমবেদনা জানাতে ছুটে যান আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সহকারি সাইফুজ্জামান শেখর । জানতে চান জনসভায় উপস্থিত থাকবেন কি না । বরাবরই দলীয় কার্যক্রমকে প্রাধান্য দিয়ে এসেছেন যেই নেতা এবারও তাই করলেন । সবাইকে অবাক করে জানিয়ে দেন তিনি উপস্থিত থাকবেন । শুধু তাই নয় দাফনও পিছিয়ে পরদিন করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেন।
শুধু সাংসদ একাই নন তাঁর দুই ছেলে জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম সুজন ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মমিরুল ইসলাম সুমনও মায়ের লাশ বাসায় রেখে জনসভা সফল করতে কাজ করেছেন ।
এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য হুমায়ুন কবির এমপি সাহেব যা করেছেন এটা বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি দৃষ্টান্ত । নিজ দল এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ভালবাসার যে বহিঃপ্রকাশ তিনি দেখিয়েছেন সেটা আমাদেরকে অবাক করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দবিরুল ইসলামের ছোটভাই ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘এমপি সাহেব পরিবারের লোকজনের চাইতে দল ও দলীয় লোকজন এবং কর্মসূচিকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। তাই নেত্রীর জনসভার সাফল্যকেই তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন ।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিদেশ থেকে চিকিৎসা শেষ করে দেশে ফেরেন এমপি দবিরুল ইসলাম । বিদেশে থাকাকালীন তাঁর অনুপস্থিতির সুযোগে গ্রামের বাড়িতে দুঃসাহসিক ডাকাতি সংগঠিত হয় ।