এর মধ্যে জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন যে রায় দিয়েছে, তা স্থগিত ঘোষণা করেন এবং কেন এ আদেশ অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, সেই মর্মে রুল জারি করেন। পাশাপাশি খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে তাকে বৈধ প্রার্থী হিসেবে ঘোষণার আদেশ আসে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতির কাছে থেকে। জ্যেষ্ঠ বিচারপতির আদেশের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন বেঞ্চের অপর বিচারপতি মো. ইকবাল কবির। তিনি খালেদা জিয়ার আদেশ খারিজ করে দেওয়ার মত দেন। ফলে খালেদা জিয়া ভোটে ফিরতে পারবেন কি না, তা আপাতত অমীমাংসিতই রয়ে গেল। খালেদার অন্যতম আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল আদেশের পর সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন শুরু থেকেই পক্ষপাতিত্ব করছে। আমরা ন্যায়বিচারের জন্য উচ্চ আদালতে এসেছিলাম। প্রিসাইডিং জাজ নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে তিনটি মনোনয়নপত্র গ্রহণ করার নির্দেশ দিলেও বেঞ্চের অপর বিচারপতি দ্বিমত পোষণ করেছেন।’ এখন নিয়ম অনুযায়ী এ মামলার নথিপত্র প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হবে জানিয়ে কায়সার কামাল বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি তৃতীয় একটি বেঞ্চ গঠন করে দেবেন আবেদনটি নিষ্পত্তি করার জন্য। আমরা প্রত্যাশা করছি, তৃতীয় বেঞ্চে আমরা ন্যায় বিচার পাব, সঠিক সিদ্ধান্ত পাব।’ খালেদা জিয়ার পক্ষে ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসনে মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়া হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তারা তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন। এর পর গত ৫ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবীরা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল আবেদন করেন। গত শনিবার শুনানির সময় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। তারা তিনটি আসনেই খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষণা করেন। এর পরই সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভোটের লড়াইয়ে ফিরতে শেষ আশ্রয়স্থল হাইকোর্টে আসেন। গত রোববার বিকেলে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। দ্বৈত আদেশের এ রায়ের কপি মোট দুই পৃষ্ঠা। গত ৯ ডিসেম্বর ছিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। গতকাল ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে সারাদেশে আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হয়েছে। আর ভোটগ্রহণ হবে ৩০ ডিসেম্বর।