ঢাকা ০৮:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ সাগর-রুনি হত্যা মামলা র‌্যাব থেকে তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইয়ের কাছে সংস্কারের পরেই নির্বাচন: ড. ইউনূস বশিরউদ্দীন ও ফারুকীকে কার বুদ্ধিতে নিলেন, প্রশ্ন মান্নার ভূমি সেবায় দুর্নীতি-অনিয়মে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা ভোট কারচুপির তদন্ত সাবেক ডিসি-এসপি-ইউএনওদের ঘুম হারাম আসিফ নজরুলকে হেনস্তা,দূতাবাসের কাউন্সেলরকে দেশে ফেরত, চাকরি হারাচ্ছেন স্টাফ হাসিনাকে ফেরানোর উদ্যোগ, যা বলছে আনন্দবাজার পীরগঞ্জ পাইলট হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের রিরুদ্ধে এবার শিক্ষকদের ১২ দফা অভিযোগ

লন্ডনে বসে ষড়যন্ত্র করে লাভ নেই: হানিফ

নিজস্ব প্রতিবেদক::লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব উল আলম হানিফ। বলেছেন, খুনি, সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করব। লন্ডনে বসে ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না।

শনিবার চট্টগ্রাম নগরীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে চট্টগ্রামের সাত জেলা কমিটির বিশেষ বর্ধিত সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর, দক্ষিণ, কক্সবাজার, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবন জেলা আওয়ামী লীগের এই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুল মতিন খসরু।

২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে যান তারেক রহমান। চিকিৎসা শেষে তার দেশে ফিরে আসার কথা থাকলেও তিনি দেশে আসেননি।

২০১৩ সালের ডিসেম্বরে তারেক রহমান, তার স্ত্রী জোবাইদা রহমান এবং মেয়ে জাইমা রহমানের পাসপোর্টেও মেয়াদ শেষ হলেও তারা নবায়নের আবেদন করেননি। আর ২০০৪ সালের ২ জুলাই তারা পাসপোর্ট জমা দেন যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।

এর মধ্যে দুর্নীতির দুই মামলায় তারেক রহমানের মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ড এবং ২২ কোটি ১০ লাখ টাকারও বেশি জরিমানা হয়েছে। আর ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় আজীবন কারাদণ্ড হয়েছে তারেক রহমানের।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলে বক্তব্য দিয়ে আসছিলেন আওয়ামী লীগের নেতারা। প্রধানমন্ত্রীও বিভিন্ন সময় তারেকের দেশে ফেরত আনার ব্যাপারে বক্তব্য দিয়েছেন।

হানিফ বলেন, ‘পরিষ্কার জানিয়ে দিতে চাই, লন্ডনে বসে ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না। খুনি, সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করব ইনশাল্লাহ। বিচারের রায় কার্যকর করব।’

অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নিয়ে সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। বলেন, তিনি (ফখরুল) বলেছেন কর্ণফুলী টানেল ও পদ্মা সেতু দিয়ে জনগণের কোনো লাভ হবে না। এদের মানসিকতাই উন্নয়ন বিরোধী। যোগাযোগ ব্যবস্থা যত উন্নত হবে অর্থনীতি তত এগিয়ে যাবে। ক্ষমতায় থেকে এরা দেশকে পিছিয়ে দিয়েছে। এখন বাইরে থেকে আঘাত করছেন। তাদের সবসময় লক্ষ্য দেশকে কিভাবে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা যায়।

হানিফ বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত হলো বিষফোঁড়া। এরা যতদিন থাকবে বাংলাদেশের মানুষের উপর ততদিন আঘাত করবে। উন্নয়ন অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করবে। বাংলাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে আমরা এই ক্যান্সার বিষফোঁড়াকে উপড়ে ফেলতে চাই।’

‘আওয়ামী লীগ যত দিন আছে, এই বাংলাদেশে যত দিন শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আছে, আমরা তত দিনে এই সমস্ত অপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করে এই বাংলাদশকে আমরা শান্তির বাংলাদেশ হিসেবে গড়ব’- যোগ করেন হানিফ।

আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়কারী এনামুল হক শামীমের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, নগর কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফজলে করিম চৌধুরী প্রমুখ।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান

লন্ডনে বসে ষড়যন্ত্র করে লাভ নেই: হানিফ

আপডেট টাইম ০৪:৩৪:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক::লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব উল আলম হানিফ। বলেছেন, খুনি, সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করব। লন্ডনে বসে ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না।

শনিবার চট্টগ্রাম নগরীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে চট্টগ্রামের সাত জেলা কমিটির বিশেষ বর্ধিত সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর, দক্ষিণ, কক্সবাজার, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবন জেলা আওয়ামী লীগের এই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুল মতিন খসরু।

২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে যান তারেক রহমান। চিকিৎসা শেষে তার দেশে ফিরে আসার কথা থাকলেও তিনি দেশে আসেননি।

২০১৩ সালের ডিসেম্বরে তারেক রহমান, তার স্ত্রী জোবাইদা রহমান এবং মেয়ে জাইমা রহমানের পাসপোর্টেও মেয়াদ শেষ হলেও তারা নবায়নের আবেদন করেননি। আর ২০০৪ সালের ২ জুলাই তারা পাসপোর্ট জমা দেন যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।

এর মধ্যে দুর্নীতির দুই মামলায় তারেক রহমানের মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ড এবং ২২ কোটি ১০ লাখ টাকারও বেশি জরিমানা হয়েছে। আর ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় আজীবন কারাদণ্ড হয়েছে তারেক রহমানের।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলে বক্তব্য দিয়ে আসছিলেন আওয়ামী লীগের নেতারা। প্রধানমন্ত্রীও বিভিন্ন সময় তারেকের দেশে ফেরত আনার ব্যাপারে বক্তব্য দিয়েছেন।

হানিফ বলেন, ‘পরিষ্কার জানিয়ে দিতে চাই, লন্ডনে বসে ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না। খুনি, সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করব ইনশাল্লাহ। বিচারের রায় কার্যকর করব।’

অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নিয়ে সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। বলেন, তিনি (ফখরুল) বলেছেন কর্ণফুলী টানেল ও পদ্মা সেতু দিয়ে জনগণের কোনো লাভ হবে না। এদের মানসিকতাই উন্নয়ন বিরোধী। যোগাযোগ ব্যবস্থা যত উন্নত হবে অর্থনীতি তত এগিয়ে যাবে। ক্ষমতায় থেকে এরা দেশকে পিছিয়ে দিয়েছে। এখন বাইরে থেকে আঘাত করছেন। তাদের সবসময় লক্ষ্য দেশকে কিভাবে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা যায়।

হানিফ বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত হলো বিষফোঁড়া। এরা যতদিন থাকবে বাংলাদেশের মানুষের উপর ততদিন আঘাত করবে। উন্নয়ন অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করবে। বাংলাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে আমরা এই ক্যান্সার বিষফোঁড়াকে উপড়ে ফেলতে চাই।’

‘আওয়ামী লীগ যত দিন আছে, এই বাংলাদেশে যত দিন শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আছে, আমরা তত দিনে এই সমস্ত অপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করে এই বাংলাদশকে আমরা শান্তির বাংলাদেশ হিসেবে গড়ব’- যোগ করেন হানিফ।

আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়কারী এনামুল হক শামীমের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, নগর কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফজলে করিম চৌধুরী প্রমুখ।