ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ে এইচ ডি ও নামে একটি এনজিও’র বিরুদ্ধে ভিজিডি কর্মসুচির আওতায় উপকারভোগী দু:স্থ নারীদের সঞ্চয় ও লভ্যাংশের টাকা না দিয়ে আত্মসাত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে ।
সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নের কচুবাড়ি কৃষ্টপুর ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের ফাতেমা ঋষি । প্রতিমাসে তার কাছ থেকে ২শ টাকা সঞ্চয় ও চাল দেয়ার সময় বস্তার জন্য ২০ টাকা আদায় করা হয়েছে । এভাবে দু বছরে তার কাছ থেকে সঞ্চয়ের ৪ হাজার ৮শ ও বস্তার জন্য ৯শ ৬০টাকা আদায় করে সংশ্লিষ্ট এনজিও’র কর্মী । কৃষ্টপুর গ্রামের ফজিলাসহ অনেকের কাছ থেকে একই ভাবে আদায় করা হয় । তবে সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন মতে তাদের সঞ্চয় ও লভ্যাংশের৫ হাজার ৪শ টাকা পাওয়ার কথা । কিন্তু সঞ্চয় জমাকারীদের পুরো টাকা না দিয়ে দেয়া হচেছ ৪ হাজার টাকা । এনজিও পরিচালক মনোয়ারা চৌধুরী বলেন, তার কর্মী সঞ্চয় টাকা আদায় করলেও সেই টাকা ব্যাংকে জমা না করে পকেটস্থ করেছেন । এ কারণে তিনি সঞ্চয়ের পুরো টাকা দিতে পারছেন না ।
অভিযোগকারীরা জানান, সঞ্চয়ের টাকা দেয়ার সময় জেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদফতরের প্রোগ্রাম অফিসার ছিলেন । এরপর তাদের সঞ্চয়ের পুরো টাকা দেয়া হয়নি । এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রোগ্রাম অফিসার নিরঞ্জন রায় বলেন , আমার কিছুই করার নেই । ইউ এন ও স্যার সব জানেন ।
এ প্রসঙ্গে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন , ওই এনজিও’র পরিচালক কে শোকজ করা হয়েছে ।
জানা গেছে, ভিজিডি কর্মসুচির আওতায় নির্বাচিত অতি দরিদ্র নারীদের খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি সামাজিক সুরক্ষায় স্থায়ী ভাবে জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, আয়বর্ধক প্রশিক্ষণ, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ে সচেতনার জন্য সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনণালয় এ প্রকল্প হাতে নিয়েছে । কর্মসুচি বাস্তবায়নে নির্বাচিত এনজিও কে সংশ্লিষ্ট এলাকার দায়িত্ব দেয়া হয় ।ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ২১টি ইউনিয়নে ভিজিডি কর্মসুচি বাস্তবায়নের কাজ পায় এইচ ডি ও । জেলার চার উপজেলায় ফিডসহ চারটি এনজিও কে দায়িত্ব পায় ।