ঢাকা ১২:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অনিয়ম-দুর্নিতী, অর্থ-আত্নসাৎ, হয়রানী, তথ্যগোপন ও মিথ্যা তথ্য প্রদান :: ঠাকুরগাঁও ডিসি’র কাছে রানীশংকৈল ইউএনও’র বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী সাংবাদিকের অভিযোগ

রানীশকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি::জেলার রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্নসাৎ, স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম, তথ্য প্রদানের নামে হয়রানী ও মিথ্যা তথ্য প্রদানের বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী এক সাংবাদিক ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক বরাবরে ২৫ ফেব্রুয়ারী লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানা যায়, দৈনিক জনকন্ঠের পীরগঞ্জ প্রতিনিধি মোশাররফ হোসেন সম্প্রতি রানীশংকৈল উপজেলাধীণ কাতিহার হাটের টোল আদায়কারী/ইজারাদার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে এতদ সংক্রান্ত তথ্যের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে তথ্য অধিকার আইনে নির্ধারিত ফরমে কতিপয় তথ্য চেয়ে গত ৩০.০৮.১৭ ইং আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে ইউএনও খন্দকার মো. নাহিদ হাসান কয়েক দফায় তথ্য প্রদানের নামে ডেকে নিয়ে তথ্য না দিয়ে হয়রানী ও তথ্য গোপন করে নিজের অনিয়ম-দুর্নিতী ঢাকবার চেষ্টা করেন। অত:পর ২৭.০৯.১৭ ইং তারিখে স্বাক্ষরিত তথ্য আরো বেশ কয়েকদিন পরে প্রদান করেন। প্রদেয় তথ্য যাচাই বাছাই করে যথেষ্ঠ অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার উপাদান পাওয়া যায়। মাঠ পর্যায়ে প্রাপ্ত তথ্যের সাথে ইউএনও প্রদেয় তথ্যের বিস্তর ফারাক পরিলক্ষিত হওয়ায় ইউএনও’র বক্তব্য চাওয়া হলে তিনি সদুত্তর দিতে ব্যর্থ হন এবং কতিপয় বিষয় আমি জানিনা বা আমার জানা নেই বলে এড়িয়ে যান।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ব্যাপক প্রচার না করার কারনে কাতিহার হাটটি নিলামে ইজারাদার নিয়োগ না হওয়ায় খাস আদায়ের জন্য ৬ মাসের জন্য ঠিকাদার নিয়োগের লক্ষ্যে জনৈক গোলাম আজমের সাথে ৫৫ লক্ষ টাকা পে-অর্ডার এবং চেকের মাধ্যমে গ্রহন করা হয়। এছাড়াও অতিরিক্ত আরো দেড় লক্ষ টাকা ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে গ্রহন করা হয়। সর্বমোট ৫৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে গ্রহন করা হলেও এতদ্বিষয়ে দেয় তথ্যে তিনি হাট আদায় বাবদ ৪৪ লক্ষ ১০ হাজার টাকা অফিসিয়ালী চুক্তি সাপেক্ষে আদায়ের কথা উল্লেখ করেন। অবশিষ্ঠ ১২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার বিষয়ে ইউএনও সাহেব কিছুই জানেননা বলে জানান। এভাবে সরকারী রাজস্ব আদায়কৃত টাকা নানা ভাবে ও খেয়াল খুমিমত লেনদেন করে আত্নসাৎ করার কারনে তিনি তথ্য প্রদানে সাংবাদিককে সীমাহীন হয়রানী করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এসব বিষয় বিভাগীয় তদন্ত সাপেক্ষে বিীধগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সাংবাদিক মোশাররফ হোসেন গত ২৫ ফেব্রুয়ারী ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। যার অনুলিপি জনপ্রশান সচিব ও রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়েও প্রেরণ করেছেন বলে জানান ভুক্তভোগী সাংবাদিক। সচেতন মহল একজন প্রশাসকের বিুরুদ্ধে এহেন আর্থিক অনিয়মের গুরুতর অভিযোগটি নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট উদ্ধতন প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

অনিয়ম-দুর্নিতী, অর্থ-আত্নসাৎ, হয়রানী, তথ্যগোপন ও মিথ্যা তথ্য প্রদান :: ঠাকুরগাঁও ডিসি’র কাছে রানীশংকৈল ইউএনও’র বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী সাংবাদিকের অভিযোগ

আপডেট টাইম ১২:২১:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

রানীশকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি::জেলার রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্নসাৎ, স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম, তথ্য প্রদানের নামে হয়রানী ও মিথ্যা তথ্য প্রদানের বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী এক সাংবাদিক ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক বরাবরে ২৫ ফেব্রুয়ারী লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানা যায়, দৈনিক জনকন্ঠের পীরগঞ্জ প্রতিনিধি মোশাররফ হোসেন সম্প্রতি রানীশংকৈল উপজেলাধীণ কাতিহার হাটের টোল আদায়কারী/ইজারাদার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে এতদ সংক্রান্ত তথ্যের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে তথ্য অধিকার আইনে নির্ধারিত ফরমে কতিপয় তথ্য চেয়ে গত ৩০.০৮.১৭ ইং আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে ইউএনও খন্দকার মো. নাহিদ হাসান কয়েক দফায় তথ্য প্রদানের নামে ডেকে নিয়ে তথ্য না দিয়ে হয়রানী ও তথ্য গোপন করে নিজের অনিয়ম-দুর্নিতী ঢাকবার চেষ্টা করেন। অত:পর ২৭.০৯.১৭ ইং তারিখে স্বাক্ষরিত তথ্য আরো বেশ কয়েকদিন পরে প্রদান করেন। প্রদেয় তথ্য যাচাই বাছাই করে যথেষ্ঠ অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার উপাদান পাওয়া যায়। মাঠ পর্যায়ে প্রাপ্ত তথ্যের সাথে ইউএনও প্রদেয় তথ্যের বিস্তর ফারাক পরিলক্ষিত হওয়ায় ইউএনও’র বক্তব্য চাওয়া হলে তিনি সদুত্তর দিতে ব্যর্থ হন এবং কতিপয় বিষয় আমি জানিনা বা আমার জানা নেই বলে এড়িয়ে যান।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ব্যাপক প্রচার না করার কারনে কাতিহার হাটটি নিলামে ইজারাদার নিয়োগ না হওয়ায় খাস আদায়ের জন্য ৬ মাসের জন্য ঠিকাদার নিয়োগের লক্ষ্যে জনৈক গোলাম আজমের সাথে ৫৫ লক্ষ টাকা পে-অর্ডার এবং চেকের মাধ্যমে গ্রহন করা হয়। এছাড়াও অতিরিক্ত আরো দেড় লক্ষ টাকা ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে গ্রহন করা হয়। সর্বমোট ৫৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে গ্রহন করা হলেও এতদ্বিষয়ে দেয় তথ্যে তিনি হাট আদায় বাবদ ৪৪ লক্ষ ১০ হাজার টাকা অফিসিয়ালী চুক্তি সাপেক্ষে আদায়ের কথা উল্লেখ করেন। অবশিষ্ঠ ১২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার বিষয়ে ইউএনও সাহেব কিছুই জানেননা বলে জানান। এভাবে সরকারী রাজস্ব আদায়কৃত টাকা নানা ভাবে ও খেয়াল খুমিমত লেনদেন করে আত্নসাৎ করার কারনে তিনি তথ্য প্রদানে সাংবাদিককে সীমাহীন হয়রানী করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এসব বিষয় বিভাগীয় তদন্ত সাপেক্ষে বিীধগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সাংবাদিক মোশাররফ হোসেন গত ২৫ ফেব্রুয়ারী ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। যার অনুলিপি জনপ্রশান সচিব ও রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়েও প্রেরণ করেছেন বলে জানান ভুক্তভোগী সাংবাদিক। সচেতন মহল একজন প্রশাসকের বিুরুদ্ধে এহেন আর্থিক অনিয়মের গুরুতর অভিযোগটি নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট উদ্ধতন প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।