ঢাকা ১২:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
সংবাদকর্মী মামুনের ওপর হামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের অবস্থান কর্মসূচী, সন্ত্রাশীকে দল থেকে বহিষ্কার অনলাইন বই বাজার: ঘরে বসেই যে ১০ ওয়েবসাইট থেকে কিনতে পারেন পছন্দের বই পদোন্নতি পেয়ে সচিব হলেন সাত কর্মকর্তা স্টারলিংক এলে আর কেউ ইন্টারনেট বন্ধ করতে পারবে না: শফিকুল আলম গণঅভ্যুত্থানের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে মাঠে থেকে কাজ করতেই পদত্যাগ করেছি: নাহিদ পীরগঞ্জে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস পালিত ১৭ লাখ মৃত ভোটার কবর থেকে ভোট দিয়েছে : সিইসি দেশ টিভির এমডি আরিফ গ্রেপ্তার চ্যানেল ওয়ান সম্প্রচারে বাধা নেই : আপিল বিভাগ স্বাধীন, বস্তুনিষ্ঠ ও শক্তিশালী গণমাধ্যম গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে কমিশন- গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ

চট্টগ্রাম বিএনপির ৫২ নেতা-কর্মী কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক:: চট্টগ্রামে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নাশকতার অভিযোগে করা ‘গায়েবি’ মামলায় বিএনপির ৫২ নেতা-কর্মীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মো. আল ইমরান খান শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

কারাগারে পাঠানো আসামিদের সবাই নগরের পতেঙ্গা থানা বিএনপির নেতা-কর্মী। তাঁদের মধে৵ চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহসভাপতি মো. মিয়া ভোলা, নগর যুবদলের সহসভাপতি মো. ইকবাল, পতেঙ্গা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাবুদ্দিন, পতেঙ্গা ৪১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. ইলিয়াছ রয়েছেন।

গত বছরের জানুয়ারি থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগর ও জেলার ৩২ থানায় নাশকতার অভিযোগে মামলা হয়েছে ২৩২টি । এর মধ্যে শুধু অক্টোবর মাসেই হয় ১০৩ মামলা। এসব মামলায় বিএনপি-জামায়াত ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের আসামি করেছে পুলিশ।

আদালত সূত্র জানায়, গত বছরের ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে নাশকতার অভিযোগে পুলিশের নগরের পতেঙ্গা থানায় করা ১০ মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন ৫৭ আসামি। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাঁরা নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আজ দুপুর থেকে চট্টগ্রাম আদালত ভবনের দ্বিতীয় তলায় ভিড় করতে থাকেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। বিকেলে শুনানি শুরু হওয়ার আগে ৫৯ আসামি এজলাসে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়ান।
শুনানিতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী নাজিম উদ্দিন চৌধুরী। তিনি আদালতকে বলেন, আসামিরা সবাই হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছিলেন। এরা কেউ ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ কিংবা নাশকতার সঙ্গে জড়িত নন। যে ১০টি মামলায় তাঁদের আসামি করা হয়েছে এগুলো সম্পূর্ণ গায়েবি মামলা। ওই ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। শুধু বিএনপির রাজনীতি করার কারণে তাঁরা মামলার আসামি হয়েছেন। নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি অনেক সাধারণ মানুষও গায়েবি এসব মামলার আসামি। তাঁদের জামিন মঞ্জুর করা হোক। জামিনে থাকলে তাঁরা কোনো ধরনের অপরাধে জড়াবেন না। এখন সেই পরিস্থিতিও নেই।
ওই সময় রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে বলে, এরা সবাই ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ মামলার আসামি। জামিনে থাকলে পরিস্থিতির আবারও অবনতি ঘটাতে পারেন।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত অসুস্থ ও বয়স্ক হওয়ায় সাতজনের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। বাকি ৫২ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে সন্ধ্যায় তাঁদের চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

সংবাদকর্মী মামুনের ওপর হামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের অবস্থান কর্মসূচী, সন্ত্রাশীকে দল থেকে বহিষ্কার

চট্টগ্রাম বিএনপির ৫২ নেতা-কর্মী কারাগারে

আপডেট টাইম ০৮:৪০:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০১৯
নিজস্ব প্রতিবেদক:: চট্টগ্রামে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নাশকতার অভিযোগে করা ‘গায়েবি’ মামলায় বিএনপির ৫২ নেতা-কর্মীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মো. আল ইমরান খান শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

কারাগারে পাঠানো আসামিদের সবাই নগরের পতেঙ্গা থানা বিএনপির নেতা-কর্মী। তাঁদের মধে৵ চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহসভাপতি মো. মিয়া ভোলা, নগর যুবদলের সহসভাপতি মো. ইকবাল, পতেঙ্গা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাবুদ্দিন, পতেঙ্গা ৪১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. ইলিয়াছ রয়েছেন।

গত বছরের জানুয়ারি থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগর ও জেলার ৩২ থানায় নাশকতার অভিযোগে মামলা হয়েছে ২৩২টি । এর মধ্যে শুধু অক্টোবর মাসেই হয় ১০৩ মামলা। এসব মামলায় বিএনপি-জামায়াত ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের আসামি করেছে পুলিশ।

আদালত সূত্র জানায়, গত বছরের ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে নাশকতার অভিযোগে পুলিশের নগরের পতেঙ্গা থানায় করা ১০ মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন ৫৭ আসামি। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাঁরা নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আজ দুপুর থেকে চট্টগ্রাম আদালত ভবনের দ্বিতীয় তলায় ভিড় করতে থাকেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। বিকেলে শুনানি শুরু হওয়ার আগে ৫৯ আসামি এজলাসে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়ান।
শুনানিতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী নাজিম উদ্দিন চৌধুরী। তিনি আদালতকে বলেন, আসামিরা সবাই হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছিলেন। এরা কেউ ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ কিংবা নাশকতার সঙ্গে জড়িত নন। যে ১০টি মামলায় তাঁদের আসামি করা হয়েছে এগুলো সম্পূর্ণ গায়েবি মামলা। ওই ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। শুধু বিএনপির রাজনীতি করার কারণে তাঁরা মামলার আসামি হয়েছেন। নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি অনেক সাধারণ মানুষও গায়েবি এসব মামলার আসামি। তাঁদের জামিন মঞ্জুর করা হোক। জামিনে থাকলে তাঁরা কোনো ধরনের অপরাধে জড়াবেন না। এখন সেই পরিস্থিতিও নেই।
ওই সময় রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে বলে, এরা সবাই ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ মামলার আসামি। জামিনে থাকলে পরিস্থিতির আবারও অবনতি ঘটাতে পারেন।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত অসুস্থ ও বয়স্ক হওয়ায় সাতজনের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। বাকি ৫২ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে সন্ধ্যায় তাঁদের চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।