ঢাকা ০৯:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্যায় ৪০ লাখের বেশি মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ও ঝুঁকিতে পড়েছে।

অনলাই্ন ডেস্ক ॥ কয়েক দিনের ব্যাপক বৃষ্টিতে বাংলাদেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ৪০ লাখের বেশি মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ও রোগের ঝুঁকিতে পড়েছে।

শুক্রবার ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ (আইএফআরসি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বন্যা ও ভূমিধসের কারণে সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কয়েকলাখ মানুষ বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আটকে পড়েছে। ৬৬ হাজারের বেশি বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে।“খাদ্য ও পরিষ্কার পানির সংকটের সঙ্গে পানিবাহিত রোগ বাড়ার খবরও পাওয়া গেছে।”

আইএফআরসির বাংলাদেশ প্রধান আজমত উল্লাহ বলেন, এসব মানুষ মওসুমি বৃষ্টি, বন্যার প্রকোপ ও ভূমিধসের মধ্যে নাকাল হচ্ছে। বৃষ্টি কমলেও উজান থেকে নদীগুলোর উপচেপড়া প্রবাহে সামনের দিনগুলোতে বন্যার অবনতি ঘটাবে।

বিস্তৃর্ণ কৃষি অঞ্চলে বন্যায় খাদ্য শস্য নষ্ট হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে, যাতে খাদ্য সংকটের হুমকিও তৈরি হয়েছে। এর ফলে শিশু, প্রসূতি মা, গর্ভবতী মা ও বৃদ্ধরা সবচেয়ে ঝুঁকির মুখে পড়বে বলে শংকা প্রকাশ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

আইএফআরসি বলছে, বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্টের ৬৭৫ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছে। তারা খাবার, সুপেয় পানি, পরিচ্ছনতা সরঞ্জাম এবং বন্যায় বা ভূমিধসে বাড়িঘর হারানো মানুষদের মধ্যে তাঁবু বিতরণ করছে।

বন্যাদুর্গতদের এর মধ্যেই আইএফআরসি ৪ লাখ ৫২ হাজার ৪৩৯ সুইস ফ্রাঁ (প্রায় ৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা) ছাড় করেছে।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

বন্যায় ৪০ লাখের বেশি মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ও ঝুঁকিতে পড়েছে।

আপডেট টাইম ১০:০৫:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ জুলাই ২০১৯

অনলাই্ন ডেস্ক ॥ কয়েক দিনের ব্যাপক বৃষ্টিতে বাংলাদেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ৪০ লাখের বেশি মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ও রোগের ঝুঁকিতে পড়েছে।

শুক্রবার ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ (আইএফআরসি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বন্যা ও ভূমিধসের কারণে সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কয়েকলাখ মানুষ বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আটকে পড়েছে। ৬৬ হাজারের বেশি বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে।“খাদ্য ও পরিষ্কার পানির সংকটের সঙ্গে পানিবাহিত রোগ বাড়ার খবরও পাওয়া গেছে।”

আইএফআরসির বাংলাদেশ প্রধান আজমত উল্লাহ বলেন, এসব মানুষ মওসুমি বৃষ্টি, বন্যার প্রকোপ ও ভূমিধসের মধ্যে নাকাল হচ্ছে। বৃষ্টি কমলেও উজান থেকে নদীগুলোর উপচেপড়া প্রবাহে সামনের দিনগুলোতে বন্যার অবনতি ঘটাবে।

বিস্তৃর্ণ কৃষি অঞ্চলে বন্যায় খাদ্য শস্য নষ্ট হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে, যাতে খাদ্য সংকটের হুমকিও তৈরি হয়েছে। এর ফলে শিশু, প্রসূতি মা, গর্ভবতী মা ও বৃদ্ধরা সবচেয়ে ঝুঁকির মুখে পড়বে বলে শংকা প্রকাশ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

আইএফআরসি বলছে, বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্টের ৬৭৫ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছে। তারা খাবার, সুপেয় পানি, পরিচ্ছনতা সরঞ্জাম এবং বন্যায় বা ভূমিধসে বাড়িঘর হারানো মানুষদের মধ্যে তাঁবু বিতরণ করছে।

বন্যাদুর্গতদের এর মধ্যেই আইএফআরসি ৪ লাখ ৫২ হাজার ৪৩৯ সুইস ফ্রাঁ (প্রায় ৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা) ছাড় করেছে।