পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের পার্বতীপুরে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্য দিবালোকে মঞ্জু আরা (৩৮) নামে এক নারীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়েছে।
একই ঘটনায় মঞ্জু আরার স্বামী আবদুস সালামকেও (৫৫) মারধর করা হয়েছে। এর আগে তাদের মেয়ে রঘুনাথপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়ারা সুন্দরী (৯) ও ছেলে রংপুরের শ্যামপুর কেশবপুর হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র নাসির উদ্দীনও (১৫) নির্যাতনের শিকার হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে, গত ১৬ আগস্ট পার্বতীপুর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের জমিরহাট প্রামাণিক পাড়া গ্রামে।
মঞ্জু আরা তার স্বামী আবদুস সালাম ও ছেলে নাসির উদ্দীনকে স্বজনেরা ঘটনার পর পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করান।
পার্বতীপুর মডেল থানা পুলিশ ঘটনার পরপর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় গত ২১ আগস্ট আবদুস সালাম পার্বতীপুর মডেল থানায় মামলা করতে যান। কিন্তু অফিসার ইনচার্জ (ওসি) থানায় না থাকায় মামলা দায়ের করতে পারেননি বলে আবদুস সালাম জানান।
অন্যদিকে, পার্বতীপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোখলেছুর রহমান জানান, এঘটনায় কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের জমিরহাট প্রামাণিক পাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের (৫৫) নেতৃত্বে হাফিজুল ইসলাম, জান্নাতুল, ওয়াসকুরুনি, ফিরোজ, খয়রাত আলীসহ ১০ থেকে ১৫ জন মিলে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে গত ১৬ আগস্ট আব্দুস সালাম (৫৫), তার স্ত্রী মঞ্জু আরা (৩৮) মেয়ে সুমাইয়া (৯) ও ছেলে নাসির উদ্দীন (১৫)কে মারধর করে।
ভিকটিমের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ১ আগস্ট ৭০ শতক জমিতে রোপা আমন লাগান তারা। প্রতিপক্ষ রফিকুল ইসলাম ও হাফিজুল ইসলাম দলবল নিয়ে জমির চারাগুলো তুলে ফেলেন ওইদিন। পরে এ ঘটনা নিয়ে আবদুস সালাম ও তার পরিবারের ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় হামলা চালানো হয়।
পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আলম মিয়া জানান, মারপিটের ঘটনায় মঞ্জু আরা, তার স্বামী আবদুস সালাম ও ছেলে নাসির উদ্দীন ১৬ থেকে ২০ আগস্ট হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।