ঢাকা ০১:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
পীরগঞ্জে জেন্ডার সহিংসতা প্রতিরোধ ওয়ার্কশপ কর্মসূচী পীরগঞ্জে গ্রাম আদালত কার্যক্রমের অগ্রগতি এবং করনীয় শীর্ষক সমন্বয় সভা সম্পন্ন এনবিআর বিলুপ্তির কারণ জানালো সরকার ১৪টি মামলার মোস্ট ওয়ান্টেড আসামিকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবকে নিয়ে ফেসবুকে মানহানিকর পোস্ট : থানায় পৃথক ৩ এজাহার পীরগঞ্জে জবা সমিতির প্রতিষ্ঠাতা কোটি টাকা নিয়ে উধাও ইউনূস সাহেব দয়া করে অতিদ্রুত নির্বাচনটা দিন : মির্জা ফখরুল পীরগঞ্জে নিকাহ্ ও তালাক রেজিস্ট্রার পদ শূন্য ৩ বছর, অন্য জেলার কাজীরা সুবিধা নিচ্ছেন আমরা আরেকটা গাজায় পরিণত হতে চাইনা, সংষ্কার কি? আমি বুঝিনা, নির্বাচনের সঠিক রোডম্যাপ দেন …………………..ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পাটুয়াপাড়া হাফিজিয়া এতিমখানায় প্রশাসনের পরিদর্শনে সত্যতা মিলেছে, পীরগঞ্জে ভূয়া এতিম দেখিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ

রুহিয়ার অনিতা রানী হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার

রুহিয়া (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি :ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়ায় অনিতা রানী ঘোষ হত্যা মামলার প্রধান আসামী সাবেক ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম (৫০)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার ভোরে রুহিয়া থানার পুলিশ তাকে আটোয়ারী উপজেলার তোড়েয়া ডুহাপাড়া গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানায়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঘনিমহেশপুর (খ্রিষ্টান মিশনপাড়া) গ্রামের সিলপাটা ব্যবসায়ী বাবলু ঘোষের সঙ্গে প্রতিবেশি সাবেক ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। বাবলু ঘোষের বাড়ির সম্মুখ অংশ দখল করে জাহাঙ্গীর আলম তার প্রথম স্ত্রী লিলি বেগমকে নিয়ে সেখানে বসবাস করে আসছিল। গত বছরের ৫ নভেম্বর সকালে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে নিহত অনিতা ঘোষ এবং আসামী লিলি বেগমের মাঝে বাক বিতন্ডা শুরু হয়।খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে জাহাঙ্গীর আলম মেম্বার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে জাহাঙ্গীর মেম্বার বাশের লাঠি নিয়ে অনিতা ঘোষের মাথায় সজোরে আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটে পড়েন। প্রত্যক্ষদর্শীরা তাকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ নভেম্বর ভোর সাড়ে ৫ টায় অনিতা রানী মারা যায়। এ ঘটনায় অনিতা ঘোষের স্বামী বাবলু ঘোষ বাদী হয়ে রুহিয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী লিলি বেগমকে আসামী করে রুহিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এদিকে জাহাঙ্গীর পলাতক থাকার পর বুধবার ভোরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। রুহিয়া থানা ওসি (তদন্ত) বাবলু কুমার রায় জানান, আসামী জাহাঙ্গীর মেম্বার ঘটনার পর থেকে পালাতক রয়েছিলেন। তিনি ঘনঘন জায়গা ও মোবাইলের সিম পরিবর্তন করায় তাকে সনাক্ত করা যাচ্ছিল না। অবশেষে তিনি আটোয়ারী উপজেলার তোড়েয়া ইউনিয়নের ডুহাপাড়া গ্রামের অটো চালক আনিসুরের বাড়িতে ৩দিন পূর্বে আশ্রয় নিলে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

পীরগঞ্জে জেন্ডার সহিংসতা প্রতিরোধ ওয়ার্কশপ কর্মসূচী

রুহিয়ার অনিতা রানী হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার

আপডেট টাইম ০৫:২৪:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

রুহিয়া (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি :ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়ায় অনিতা রানী ঘোষ হত্যা মামলার প্রধান আসামী সাবেক ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম (৫০)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার ভোরে রুহিয়া থানার পুলিশ তাকে আটোয়ারী উপজেলার তোড়েয়া ডুহাপাড়া গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানায়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঘনিমহেশপুর (খ্রিষ্টান মিশনপাড়া) গ্রামের সিলপাটা ব্যবসায়ী বাবলু ঘোষের সঙ্গে প্রতিবেশি সাবেক ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। বাবলু ঘোষের বাড়ির সম্মুখ অংশ দখল করে জাহাঙ্গীর আলম তার প্রথম স্ত্রী লিলি বেগমকে নিয়ে সেখানে বসবাস করে আসছিল। গত বছরের ৫ নভেম্বর সকালে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে নিহত অনিতা ঘোষ এবং আসামী লিলি বেগমের মাঝে বাক বিতন্ডা শুরু হয়।খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে জাহাঙ্গীর আলম মেম্বার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে জাহাঙ্গীর মেম্বার বাশের লাঠি নিয়ে অনিতা ঘোষের মাথায় সজোরে আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটে পড়েন। প্রত্যক্ষদর্শীরা তাকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ নভেম্বর ভোর সাড়ে ৫ টায় অনিতা রানী মারা যায়। এ ঘটনায় অনিতা ঘোষের স্বামী বাবলু ঘোষ বাদী হয়ে রুহিয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী লিলি বেগমকে আসামী করে রুহিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এদিকে জাহাঙ্গীর পলাতক থাকার পর বুধবার ভোরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। রুহিয়া থানা ওসি (তদন্ত) বাবলু কুমার রায় জানান, আসামী জাহাঙ্গীর মেম্বার ঘটনার পর থেকে পালাতক রয়েছিলেন। তিনি ঘনঘন জায়গা ও মোবাইলের সিম পরিবর্তন করায় তাকে সনাক্ত করা যাচ্ছিল না। অবশেষে তিনি আটোয়ারী উপজেলার তোড়েয়া ইউনিয়নের ডুহাপাড়া গ্রামের অটো চালক আনিসুরের বাড়িতে ৩দিন পূর্বে আশ্রয় নিলে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।