ঢাকা ০৭:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিটফোর্ড হাসপাতালের ৫ চিকিৎসকসহ ১২ জন করোনা আক্রান্ত

সারাদিন ডেস্ক::একজন রোগীর স্বজনদের মিথ্যা তথ্যের কারণে আবারও করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন চিকিৎসক, নার্সসহ অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মো. রশিদ উন নবী।
তিনি জানান, সংক্রমিত হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন হাসপাতালে কর্মরত সার্জারি ও গাইনি বিভাগের পাঁচজন চিকিৎসক, চারজন নার্স ও তিনজন অন্য স্বাস্থকর্মী। তিনি জানান, গত শনিবার সার্জারি বিভাগে ভর্তি হওয়া একজন রোগীর অস্ত্রোপচার হয়, সে অস্ত্রোপচারের সঙ্গে যারা যুক্ত ছিলেন তারা সবাই আক্রান্ত হয়েছেন।
আক্রান্ত এক চিকিৎসক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গত শনিবার সার্জারি বিভাগে একজন রোগী আসে, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেদিনই অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। রোগীরা স্বজনরা জানান, তারা মাদারীপুর থেকে এসেছেন। কিন্তু অস্ত্রোপচার শেষে জ্ঞান ফেরার পর রোগীকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, তারা নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছেন। পরে চিকিৎসকরা কোভিড-১৯ টেস্ট করার সিদ্ধান্ত নেন। পরের দিন জানা যায়, রোগী করোনা পজিটিভ। তখনই ইমার্জেন্সি ওটি এবং পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ড লকডাউন করা হয়। আমরা যারা সে রোগীর সঙ্গে ছিলাম তারা হোম কোয়ারেন্টিনে চলে যাই। নিজেদের টেস্ট করাই। কিন্তু যেটা রিপোর্ট এলো, তার জন্য একদমই প্রস্তুত ছিলাম না আমরা। আমাদের চারজন চিকিৎসক, চারজন নার্স ও তিনজন বয় কোডিভ পজিটিভ। আরও কয়েকজনের রিপোর্ট কাল আসবে।’
যারা পজিটিভ তাদের পরিবারও এখন ঝুঁকিতে এবং তাদেরও নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শুধু একটা মিথ্যা তথ্যের জন্য এতগুলো মানুষ আজ ঝুঁকিতে। দয়া করে কেউ হাসপাতালে এসে মিথ্যা বলে আমাদের পরিবারের সদস্যদের জীবন বিপন্ন করবেন না।’
প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জকে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান করোনাভাইরাসের অন্যতম ক্লাস্টার হিসেবে ঘোষণা করেছে।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

মিটফোর্ড হাসপাতালের ৫ চিকিৎসকসহ ১২ জন করোনা আক্রান্ত

আপডেট টাইম ০৩:৪৭:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল ২০২০

সারাদিন ডেস্ক::একজন রোগীর স্বজনদের মিথ্যা তথ্যের কারণে আবারও করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন চিকিৎসক, নার্সসহ অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মো. রশিদ উন নবী।
তিনি জানান, সংক্রমিত হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন হাসপাতালে কর্মরত সার্জারি ও গাইনি বিভাগের পাঁচজন চিকিৎসক, চারজন নার্স ও তিনজন অন্য স্বাস্থকর্মী। তিনি জানান, গত শনিবার সার্জারি বিভাগে ভর্তি হওয়া একজন রোগীর অস্ত্রোপচার হয়, সে অস্ত্রোপচারের সঙ্গে যারা যুক্ত ছিলেন তারা সবাই আক্রান্ত হয়েছেন।
আক্রান্ত এক চিকিৎসক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গত শনিবার সার্জারি বিভাগে একজন রোগী আসে, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেদিনই অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। রোগীরা স্বজনরা জানান, তারা মাদারীপুর থেকে এসেছেন। কিন্তু অস্ত্রোপচার শেষে জ্ঞান ফেরার পর রোগীকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, তারা নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছেন। পরে চিকিৎসকরা কোভিড-১৯ টেস্ট করার সিদ্ধান্ত নেন। পরের দিন জানা যায়, রোগী করোনা পজিটিভ। তখনই ইমার্জেন্সি ওটি এবং পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ড লকডাউন করা হয়। আমরা যারা সে রোগীর সঙ্গে ছিলাম তারা হোম কোয়ারেন্টিনে চলে যাই। নিজেদের টেস্ট করাই। কিন্তু যেটা রিপোর্ট এলো, তার জন্য একদমই প্রস্তুত ছিলাম না আমরা। আমাদের চারজন চিকিৎসক, চারজন নার্স ও তিনজন বয় কোডিভ পজিটিভ। আরও কয়েকজনের রিপোর্ট কাল আসবে।’
যারা পজিটিভ তাদের পরিবারও এখন ঝুঁকিতে এবং তাদেরও নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শুধু একটা মিথ্যা তথ্যের জন্য এতগুলো মানুষ আজ ঝুঁকিতে। দয়া করে কেউ হাসপাতালে এসে মিথ্যা বলে আমাদের পরিবারের সদস্যদের জীবন বিপন্ন করবেন না।’
প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জকে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান করোনাভাইরাসের অন্যতম ক্লাস্টার হিসেবে ঘোষণা করেছে।