ঢাকা ০২:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পীরগঞ্জে নির্বাচনী প্রচারণা জমে উঠেছে, ২ বিদ্রোহী প্রার্থী এগিয়ে

সারাদিন ডেস্ক:: দেশব্যাপি ১ম দফা নির্বাচনে জেলার পীরগঞ্জ পৌরসভায় নির্বাচনী প্রচারণা জমে উঠেছে। এখানে ৬ মেয়র প্রার্থী ও কাউন্সিলর সহ মোট ৫০ জন প্রার্থী নির্বাচনী লড়াইয়ে অবতীর্ণ। এদের মধ্যে মেয়র পদে আওয়ামীলীগ’র বর্তমান মেয়র কশিরুল আলম(নৌকা), বিএনপির রেজাউল করিম রাজা(ধানেরশীষ), জাপার অধ্যাপক তৈয়ব আলী(লাঙ্গল), ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ’র হাফিজুর রহমান(হাতপাখা), স্বতন্ত্র হিসেবে আ’লীগের জনপ্রিয় প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা ইকরামুল হক(খেজুরগাছ) ও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন(জগ) নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। সর্বত্র ২ বিদ্রোহী প্রার্থীর জয়-জয়কার ধ্বনিত হচ্ছে।

এবারের নির্বাচনে আ’লীগ ও বিএনপি এ বড় দুই দলেই প্রার্থী নির্বাচনে ভুল হয়েছে মনে করে দলীয় প্রতিকের বাইরে ব্যাক্তি জনপ্রিয়তা ও গ্রহনযোগ্যতাকে প্রাধান্য দিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীদের দিকে ঝুকেছেন সাধারন ভোটাররা। পৌর আ’লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বলেন, আ’লীগের প্রার্থী মনোনয়ন সভায় সর্বসম্মতিক্রমে দলীয় প্রার্থী হিসেবে সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইকরামূল হকসহ ৩ জনের নাম চুড়ান্ত করে উপজেলা আ’লীগের সুপারিশ সহ কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে জেলায় পাঠানো হলে, সুপারিশকৃত ৩ জনের বাইরে, জনসমর্থনহীন কশিরুল আলমকে মনোনয়ন দেন কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড। তৃনমূলের সুপারিশ অগ্রাহ্য করায় স্থানীয় আ’লীগের সিংহভাগ নেতাকর্মী দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

উপজেলা আ’লীগের সভাপতি সাবেক এমপি ইমদাদুল হক, সাধারন সম্পাদক রেজওয়ানুল হক বিপ্লব, উপজেলা চেয়ারম্যান আখতারুল ইসলাম সহ দলীয় নেতা-কর্মীরা দলীয় প্রার্থীকে জেতানোর জন্য প্রাণপন চেষ্টা করলেও দিন দিন অবস্থার অবনতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এদিকে ১৮ ডিসেম্বর জেলা আ’লীগের পক্ষ থেকে বিদ্রোহী প্রার্থী ইকরামুল হককে বহিষ্কার করা হলেও দল-মত নির্বিশেষে ভোটাররা আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষেই কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়া মহাজোটের শরিক দলগুলোও কাজ করছেন বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে। ওয়ার্কাস পার্টির জেলা সম্পাদক কমরেড ফয়জুল ইসলাম বলেন, আমরা ১৪ দলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বীরমু্ক্তিযোদ্ধা ইকরামুল হকের পক্ষে ছিলাম এবং আছি। উপজেলা যুবলীগ সভাপতি খোরশেদ আলম মোল্লা বলেন, দল থেকে বহিষ্কার করলে কি হবে, মানুষের হৃদয় থেকেতো বহিষ্কার করা যাবেনা। ভোটাররা প্রতিটি মহল্লা থেকে এই প্রার্থীকে নগদ টাকা, টাকার মালা উপহার দিচ্ছেন প্রতিদিনই। যা সর্ব মহলে আলোচনার বিষয়বস্তুতে পরিনত হয়েছে।

অপর দিকে বিএনপি’র বিদ্রোহী প্রার্থী জয়নাল আবেদীন প্রায় ২ বছর আগে থেকে নির্বাচন শুরু করে মাঠে আছেন। করোনাকালে অসহায়দের মাঝে ত্রাণ বিতরন, ঈদে শ্যামাই-চিনি বিতরন করে ভোটারদের মনে বেশ-খানিকটা স্থান করে নিয়েছেন। বিএনপি দলীয় প্রার্থীর তুলনায় তার অবস্থান বেশ মজবুত। এক মন্তব্যে পৌর শ্রমিকদলের সভাপতি শাসসুল হক সামু বলেন, জেলা বিএনপি অযোগ্য লোককে মনোনয়ন দিয়েছে যার একজন কাউন্সিলর হওয়ারও যোগ্যতা নেই। তিনি আরো বলেন নির্বাচন করতে টাকা লাগে। এসব দিক থেকে জয়নাল আবেদীন অনেক গ্রহনযোগ্য এবং জনগন তার পক্ষেই রায় দেবেন। ইতোমধ্যে বিএনপি থেকে জয়নাল আবেদীনকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এই বহিষ্কারাদেশ কোন প্রতিকুল অবস্থার সৃষ্টি করেনি বরং পক্ষভুক্তরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। বিএনপি এখানে নির্বাচনকে ঘিরে আ’লীগের মতই বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এ অবস্থার জন্য স্থানীয় বিএনপি নেতা রনজিত রায় সহ অনেকেই বর্তমান এমপি জাহিদুর রহমানকে দায়ী করেছেন।

বর্তমানে শহরের অলিগলি, রাস্তাঘাট, হোটেল রেস্তরায় ব্যাপক ভাবে পোষ্টারিং করা সহ মাইকিং প্রচার প্রচারণা করছে প্রার্থীরা। শহরের আনাচে কানাচে ও বাড়িতে গিয়ে ভোটারদের মন জয় করতে প্রার্থীরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন। এছাড়া সংরক্ষিত মহিলা আসনে ১২ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩২ প্রার্থী নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। ইকরামুল হক স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় এবং সব মানুষের কাছে তার যথেষ্ট গ্রহণ যোগ্যতা থাকায় নৌকার প্রার্থী কশিরুল আলমকে নির্বাচনী প্রচারণায় অনেকটা দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া কশিরুল আলম দুই বার মেয়র থাকায় তার নানা অনিয়ম, দূর্নীতি ও সাধারন মানুষের সাথে দুব্যবহারের জন্য, প্রচারণা অনেকটা কঠিন হচ্ছে কর্মীদের কাছে।
এছাড়া বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় বিএনপি’র প্রার্থী রেজাউল করিম রাজা অনেকটা বেকায়দায় পড়েছেন। এখানে বিএনপি’র ভাল অবস্থান থাকলেও দলীয় প্রার্থী জ্বলছেন গৃহদাহে।

জাতীয় পার্টির অবস্থান এখানে নড়বড়ে। পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হাফিজ উদ্দিন ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে পর পর ২ বার এমপি নির্বাচিত হলেও বিগত নির্বাচনে তিনি শরিকদল আ’লীগকে উপেক্ষা করায় মহাজোটের টিকেট পাননি,ফলে এখানে তার অবস্থান এখন নড়বড়ে। তাছাড়া দলে নতুন নেতৃত্ব তৈরীর সুযোগ না দেযায় এক সময়ের জনপ্রিয় জাতীয় পার্টি এবং তার নিজের অবস্থান সঙ্কটময়। জাপা থেকে সহকারী অধ্যাপক তৈয়ব আলী নতুন প্রার্থী হওয়ায় তার বিষয়ে জনগনের আগ্রহ নেই বললেই চলে। পার্টিতে কিংবা সামাজিকভাবে জনপ্রিয় না হলেও নির্বাচনের আগে আকষ্মিকভাবে তাকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়।

এদিকে নির্বাচন সুষ্টু ও অবাদ নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশন তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। আচরন বিধি সঠিকভাবে প্রতিপালনের লক্ষ্যে জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার জিলহাজ্ব হোসেন, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তরিকুল ইসলামকে নিয়ে শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখেছেন। আচরন বিধি প্রতিপালনের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন। অভিজ্ঞ মহলের মতে সুষ্টু নির্বাচন হলে এ পৌরসভায় জনসাধারনের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটবে এবং আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সাথে বিএনপি’র বিদ্রোহী প্রার্থীর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।

১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ১ম শ্রেণীর এ পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ২১ হাজার ১৭৯ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ৫৪৭ ও মহিলা ১০ হাজার ৬৩২ ভোটার রয়েছে। ৯টি ভোট কেন্দ্রের ৫৯টি বুথে ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে, জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

 

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

পীরগঞ্জে নির্বাচনী প্রচারণা জমে উঠেছে, ২ বিদ্রোহী প্রার্থী এগিয়ে

আপডেট টাইম ০৪:১১:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২০

সারাদিন ডেস্ক:: দেশব্যাপি ১ম দফা নির্বাচনে জেলার পীরগঞ্জ পৌরসভায় নির্বাচনী প্রচারণা জমে উঠেছে। এখানে ৬ মেয়র প্রার্থী ও কাউন্সিলর সহ মোট ৫০ জন প্রার্থী নির্বাচনী লড়াইয়ে অবতীর্ণ। এদের মধ্যে মেয়র পদে আওয়ামীলীগ’র বর্তমান মেয়র কশিরুল আলম(নৌকা), বিএনপির রেজাউল করিম রাজা(ধানেরশীষ), জাপার অধ্যাপক তৈয়ব আলী(লাঙ্গল), ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ’র হাফিজুর রহমান(হাতপাখা), স্বতন্ত্র হিসেবে আ’লীগের জনপ্রিয় প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা ইকরামুল হক(খেজুরগাছ) ও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন(জগ) নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। সর্বত্র ২ বিদ্রোহী প্রার্থীর জয়-জয়কার ধ্বনিত হচ্ছে।

এবারের নির্বাচনে আ’লীগ ও বিএনপি এ বড় দুই দলেই প্রার্থী নির্বাচনে ভুল হয়েছে মনে করে দলীয় প্রতিকের বাইরে ব্যাক্তি জনপ্রিয়তা ও গ্রহনযোগ্যতাকে প্রাধান্য দিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীদের দিকে ঝুকেছেন সাধারন ভোটাররা। পৌর আ’লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বলেন, আ’লীগের প্রার্থী মনোনয়ন সভায় সর্বসম্মতিক্রমে দলীয় প্রার্থী হিসেবে সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইকরামূল হকসহ ৩ জনের নাম চুড়ান্ত করে উপজেলা আ’লীগের সুপারিশ সহ কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে জেলায় পাঠানো হলে, সুপারিশকৃত ৩ জনের বাইরে, জনসমর্থনহীন কশিরুল আলমকে মনোনয়ন দেন কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড। তৃনমূলের সুপারিশ অগ্রাহ্য করায় স্থানীয় আ’লীগের সিংহভাগ নেতাকর্মী দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

উপজেলা আ’লীগের সভাপতি সাবেক এমপি ইমদাদুল হক, সাধারন সম্পাদক রেজওয়ানুল হক বিপ্লব, উপজেলা চেয়ারম্যান আখতারুল ইসলাম সহ দলীয় নেতা-কর্মীরা দলীয় প্রার্থীকে জেতানোর জন্য প্রাণপন চেষ্টা করলেও দিন দিন অবস্থার অবনতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এদিকে ১৮ ডিসেম্বর জেলা আ’লীগের পক্ষ থেকে বিদ্রোহী প্রার্থী ইকরামুল হককে বহিষ্কার করা হলেও দল-মত নির্বিশেষে ভোটাররা আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষেই কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়া মহাজোটের শরিক দলগুলোও কাজ করছেন বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে। ওয়ার্কাস পার্টির জেলা সম্পাদক কমরেড ফয়জুল ইসলাম বলেন, আমরা ১৪ দলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বীরমু্ক্তিযোদ্ধা ইকরামুল হকের পক্ষে ছিলাম এবং আছি। উপজেলা যুবলীগ সভাপতি খোরশেদ আলম মোল্লা বলেন, দল থেকে বহিষ্কার করলে কি হবে, মানুষের হৃদয় থেকেতো বহিষ্কার করা যাবেনা। ভোটাররা প্রতিটি মহল্লা থেকে এই প্রার্থীকে নগদ টাকা, টাকার মালা উপহার দিচ্ছেন প্রতিদিনই। যা সর্ব মহলে আলোচনার বিষয়বস্তুতে পরিনত হয়েছে।

অপর দিকে বিএনপি’র বিদ্রোহী প্রার্থী জয়নাল আবেদীন প্রায় ২ বছর আগে থেকে নির্বাচন শুরু করে মাঠে আছেন। করোনাকালে অসহায়দের মাঝে ত্রাণ বিতরন, ঈদে শ্যামাই-চিনি বিতরন করে ভোটারদের মনে বেশ-খানিকটা স্থান করে নিয়েছেন। বিএনপি দলীয় প্রার্থীর তুলনায় তার অবস্থান বেশ মজবুত। এক মন্তব্যে পৌর শ্রমিকদলের সভাপতি শাসসুল হক সামু বলেন, জেলা বিএনপি অযোগ্য লোককে মনোনয়ন দিয়েছে যার একজন কাউন্সিলর হওয়ারও যোগ্যতা নেই। তিনি আরো বলেন নির্বাচন করতে টাকা লাগে। এসব দিক থেকে জয়নাল আবেদীন অনেক গ্রহনযোগ্য এবং জনগন তার পক্ষেই রায় দেবেন। ইতোমধ্যে বিএনপি থেকে জয়নাল আবেদীনকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এই বহিষ্কারাদেশ কোন প্রতিকুল অবস্থার সৃষ্টি করেনি বরং পক্ষভুক্তরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। বিএনপি এখানে নির্বাচনকে ঘিরে আ’লীগের মতই বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এ অবস্থার জন্য স্থানীয় বিএনপি নেতা রনজিত রায় সহ অনেকেই বর্তমান এমপি জাহিদুর রহমানকে দায়ী করেছেন।

বর্তমানে শহরের অলিগলি, রাস্তাঘাট, হোটেল রেস্তরায় ব্যাপক ভাবে পোষ্টারিং করা সহ মাইকিং প্রচার প্রচারণা করছে প্রার্থীরা। শহরের আনাচে কানাচে ও বাড়িতে গিয়ে ভোটারদের মন জয় করতে প্রার্থীরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন। এছাড়া সংরক্ষিত মহিলা আসনে ১২ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩২ প্রার্থী নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। ইকরামুল হক স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় এবং সব মানুষের কাছে তার যথেষ্ট গ্রহণ যোগ্যতা থাকায় নৌকার প্রার্থী কশিরুল আলমকে নির্বাচনী প্রচারণায় অনেকটা দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া কশিরুল আলম দুই বার মেয়র থাকায় তার নানা অনিয়ম, দূর্নীতি ও সাধারন মানুষের সাথে দুব্যবহারের জন্য, প্রচারণা অনেকটা কঠিন হচ্ছে কর্মীদের কাছে।
এছাড়া বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় বিএনপি’র প্রার্থী রেজাউল করিম রাজা অনেকটা বেকায়দায় পড়েছেন। এখানে বিএনপি’র ভাল অবস্থান থাকলেও দলীয় প্রার্থী জ্বলছেন গৃহদাহে।

জাতীয় পার্টির অবস্থান এখানে নড়বড়ে। পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হাফিজ উদ্দিন ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে পর পর ২ বার এমপি নির্বাচিত হলেও বিগত নির্বাচনে তিনি শরিকদল আ’লীগকে উপেক্ষা করায় মহাজোটের টিকেট পাননি,ফলে এখানে তার অবস্থান এখন নড়বড়ে। তাছাড়া দলে নতুন নেতৃত্ব তৈরীর সুযোগ না দেযায় এক সময়ের জনপ্রিয় জাতীয় পার্টি এবং তার নিজের অবস্থান সঙ্কটময়। জাপা থেকে সহকারী অধ্যাপক তৈয়ব আলী নতুন প্রার্থী হওয়ায় তার বিষয়ে জনগনের আগ্রহ নেই বললেই চলে। পার্টিতে কিংবা সামাজিকভাবে জনপ্রিয় না হলেও নির্বাচনের আগে আকষ্মিকভাবে তাকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়।

এদিকে নির্বাচন সুষ্টু ও অবাদ নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশন তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। আচরন বিধি সঠিকভাবে প্রতিপালনের লক্ষ্যে জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার জিলহাজ্ব হোসেন, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তরিকুল ইসলামকে নিয়ে শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখেছেন। আচরন বিধি প্রতিপালনের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন। অভিজ্ঞ মহলের মতে সুষ্টু নির্বাচন হলে এ পৌরসভায় জনসাধারনের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটবে এবং আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সাথে বিএনপি’র বিদ্রোহী প্রার্থীর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।

১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ১ম শ্রেণীর এ পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ২১ হাজার ১৭৯ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ৫৪৭ ও মহিলা ১০ হাজার ৬৩২ ভোটার রয়েছে। ৯টি ভোট কেন্দ্রের ৫৯টি বুথে ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে, জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।