ঢাকা ০৮:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
পীরগঞ্জে প্রাইভেট কারের ধাক্কায় ভ্যান চালকের চালকের মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা ঠাকুরগাঁও জেলা আ.লীগের সভাপতি হলেন বাবলু স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও ঠাকুরগাঁওয়ে শহীদ জায়া’রা ভিক্ষাবৃত্তি করে পীরগঞ্জ থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে ৬ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার পীরগঞ্জে রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় র‌্যালী পীরগঞ্জে দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা ছাদে অবৈধ রেস্তোরাঁ, সিলিন্ডারে লিকেজ: ল্যাবএইড হাসপাতালকে ২ লাখ টাকা জরিমানা অকটেনে ৪ টাকা, পেট্রোলে ৩ টাকা, ডিজেলে ৭৫ পয়সা কমল মজুতদারি-কালোবাজারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মাঠে সিআইডির ১২ টিম যেভাবে রক্ষা পেয়েছিল ৭ই মার্চের ভাষণের ভিডিও

পীরগঞ্জ পৌর নির্বাচনে নৌকার পরাজয়ের নেপথ্যে

আজম রেহমান,পীরগঞ্জ(ঠাকুরগাঁও)।- ২৮ ডিসেম্বর ১ম দফা পৌর নির্বাচনে পীরগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামীলগের বর্তমান মেয়র উপজেলা আ’লীগের যুগ্ন সম্পাদক মো.কশিরুল আলম বিপুল ভোটের ব্যবধানে একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর কাছে হেরে যান। আওয়ামীলীগের ঘাটি হিসেবে পরিচিত এ পৌরসভায় ২ মেয়াদে প্রায় ১২ বছর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবারে হেরে যাওয়া কশিরুল আলম।
সমগ্র উপজেলায় আওয়ামীলীগের ব্যাপক জনপ্রিয়তা এবং তৃণমূল পর্যায়ে দলটির সংগঠন অত্যন্ত শক্তিশালী হলেও শুধুমাত্র প্রার্থী মনোনয়নে ভুলের কারনে এখানে নৌকার মারাতœক পরাজয় ঘটে। দলের সকল স্তরের নেতাকর্মীরা মনে করেন, মনোনয়নের ক্ষেত্রে তৃণমূলকে উপেক্ষা করে অযোগ্য ব্যাক্তিকে মনোনয়ন দেয়ায় সাধারন ভোটাররা নৌকার প্রতি নাখোস হন এবং ভোটে যার প্রভাব পড়ে। মূলত: মেয়র থাকাকালে কশিরুল আলম ক্ষমতার অপব্যবহার, দায়িত্বে অবহেলা, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি নানামূখী অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। মূলত: পৌর প্রশাসন কে নিজের ইচ্ছেমত ব্যবহার করে নিজের আখের গুছিয়েছেন তিনি। নাগরিক সেবাবঞ্চিত ছিলেন পৌরবাসী, তাই তার বিরুদ্ধে সাধারন মানুষের ক্ষোভের অন্ত ছিলনা কিন্তু সরকারী দলের সাথে যুক্ত থাকায় তার বিরুদ্ধাচারন করতেননা কেউই। এমনকি পৌরসভার সাধারন কর্মচারীদের একটা বড় অংশ এই মেয়রের কর্মকান্ডে ছিলেন নাখোস। হাতে গোনা কয়েকজন কর্মচারীকে হাতে রেখে তিনি তার কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। অফিসিয়াল বিভিন্ন কর্মকান্ডেও তার বিরুদ্ধে রয়েছে মারাতœক অনিয়ম দুর্নিতীর অভিযোগ। নিরপেক্ষ তদন্ত হলে যা অনায়াসে বেরিয়ে আসবে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন দায়িত্বশীল কর্মচারী।
পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. আব্দুল খালেক বলেন, পৌর কমিটি একাধিক সভা করে সর্ব সম্মত সিদ্ধান্তে গঠনতন্ত্র মোতাবেক ৩ জনের নাম চুড়ান্ত করা হয়। যা উপজেলা আওয়ামীলীগের সুপারিশ সহ জেলা কমিটির মাধ্যমে কেন্দ্রে পাঠানো হয়। এই সুপারিশমালা তৈরীর আগে স্থানীয় আওয়ামীলীগ মহাজোটের শরীক দলগুলোর সাথে বেশ কয়েক দফায় বৈঠক করে উপজেলা আ’লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি,৬নং পীরগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক সফল চেয়ারম্যান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক সভাপতি বৗরমুক্তিযোদ্ধা ইকরামুল হকের নাম প্রাথমিকভাবে চুড়ান্ত করে জেলা কমিটির কাছে দাখিল করা হয়। সুপারিশে ইকরামুল হক ছাড়াও ২ নম্বরে মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী সেতারা হক ও ৩ নম্বরে পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি মো.আব্দুল খালেকের নাম পাঠানো হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড তৃণমূলের সুপারিশ উপেক্ষা করে এলাকায় বিতর্কত হিসেবে পরিচিত বর্তমান মেয়র কশিরুল আলমকে মনোনয়ন প্রদান করেন। প্রার্থী মনোনয়নে ভুলের বিষয়টি মানতে পারেননি দলের নেতা-কর্মী সমর্থক সহ সাধারন ভোটাররা।
অন্যদিকে এলাকার উল্লেখযোগ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান যেমন ডায়াবেটিস হাসপাতাল ও চক্ষু হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সভাপতি, বীরমুক্তিযোদ্ধা ইকরামুল হকের গ্রহনযোগ্যতা, সততা ও জনপ্রিয়তার কারনে তার পক্ষেই ঝুকে পড়েন সাধারন মানুষ সহ মহাজোটের শরীক দল গুলোও। ভোটারদের চাপের মুখে তিনি আর ভোটের মাঠ ছেড়ে যেতে পানেনি, তাই বাধ্য হন স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে। প্রতিক বরাদ্দের পর যখন ভোটারদের কাছে যাওয়া শুরু হলো তখন প্রতিদিনই প্রতিটি মহল্লা থেকে টাকা দিয়ে তৈরী মালা উপহার পেতে থাকলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ইকরামুল হক। ভোটের মাঠজুড়ে যখন এই প্রার্থীর জয়-জয়কার সে মুহুত্বে জেলা আওয়ামীলীগ থেকে ইকরামুল হককে বহিষ্কার করা হয়। জনপ্রিয় এই নেতার বহিষ্কারের ঘটনায় ভোটারদের মধ্যে আরো বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। আওয়ামীলীগের সামগ্রিক কার্ক্রমে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। ফলে যা হবার তাই হয়, নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী ইকরামুল হক।
ফলাফলে নারিকেল গাছ প্রতিকে ইকরামুল হক পান ৯ হাজার ১শ’ ৩৩ ভোট আর নৌকার প্রার্থী বর্তমান মেয়র কশিরুল আলম পান ২ হাজার ৭ শ’ ৯০ ভোট, বিএনপি প্রার্থী রেজাউল করিম রাজা ধানের শীষে পান ২ হাজার ৭ শ’ ১৪ ভোট, বিএনপি’র বিদ্রোহী প্রার্থী জয়নাল আবেদীন জগ প্রতিকে পান ৯শ’৯১ ভোট, জাতীয় পার্টীর মো. তৈয়ব আলী লাঙ্গলে পান ৪শ’২২ ভোট আর ইসলামী আন্দোলন এর হাফিজুর রহমান হাতপাখায় পান ১শ’৪৩ ভোট। মূলত আ’লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্ট, জামায়াত সহ সব গুলো দলের সিংহভাগ ভোটই যায় জনপ্রিয় এই প্রার্থীর বাক্সে। বাইরে নিজ নিজ দলের পক্ষে ভোট করলেও ভিতরে সকলে চেয়েছেন নারিকেল গাছ জিতে যাক। ফলাফলে তাই হয়েছে। বড় দলগুলোকে চমকে দিয়ে এ যাবৎকালের ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন এই প্রার্থী।
উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. ইমদাদুল হক বলেন, আমরা দলীয়ভাবে যথেষ্ট চেষ্টা করেছি কিন্তু প্রার্থীর নানামূখী ব্যাক্তিগত সমস্যা ও দূর্বলতার কারনে ভোটাররা তার বিপক্ষে অবস্থান নেন এমনকি দলের নেতা-কর্মীরাও ক্রমশ: সরে গেছেন।
আ’লীগের পরাজিত প্রার্থী কশিরুল আলম বলেছেন, দলের নেতা-কর্মীরা শুরু থেকেই তার পক্ষে ছিলেননা, তারা মুখে মুখে কাজ করলেও ভিতরে ভিতরে ছিলেন বিপক্ষে।
বিজয়ী প্রার্থী উপজেলা ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির সভাপতি বীর-মুক্তিযোদ্ধা মো. ইকরামুল হক বলেছেন, সাধারন মানুষের প্রত্যাশার ফল এটি। সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ তাকে ভোট দিয়েছেন তাই তাদের প্রত্যাশা পূরনে যথাসাধ্য সব কিছুই করবেন তিনি।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

পীরগঞ্জে প্রাইভেট কারের ধাক্কায় ভ্যান চালকের চালকের মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা

পীরগঞ্জ পৌর নির্বাচনে নৌকার পরাজয়ের নেপথ্যে

আপডেট টাইম ০২:৫২:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২১

আজম রেহমান,পীরগঞ্জ(ঠাকুরগাঁও)।- ২৮ ডিসেম্বর ১ম দফা পৌর নির্বাচনে পীরগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামীলগের বর্তমান মেয়র উপজেলা আ’লীগের যুগ্ন সম্পাদক মো.কশিরুল আলম বিপুল ভোটের ব্যবধানে একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর কাছে হেরে যান। আওয়ামীলীগের ঘাটি হিসেবে পরিচিত এ পৌরসভায় ২ মেয়াদে প্রায় ১২ বছর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবারে হেরে যাওয়া কশিরুল আলম।
সমগ্র উপজেলায় আওয়ামীলীগের ব্যাপক জনপ্রিয়তা এবং তৃণমূল পর্যায়ে দলটির সংগঠন অত্যন্ত শক্তিশালী হলেও শুধুমাত্র প্রার্থী মনোনয়নে ভুলের কারনে এখানে নৌকার মারাতœক পরাজয় ঘটে। দলের সকল স্তরের নেতাকর্মীরা মনে করেন, মনোনয়নের ক্ষেত্রে তৃণমূলকে উপেক্ষা করে অযোগ্য ব্যাক্তিকে মনোনয়ন দেয়ায় সাধারন ভোটাররা নৌকার প্রতি নাখোস হন এবং ভোটে যার প্রভাব পড়ে। মূলত: মেয়র থাকাকালে কশিরুল আলম ক্ষমতার অপব্যবহার, দায়িত্বে অবহেলা, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি নানামূখী অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। মূলত: পৌর প্রশাসন কে নিজের ইচ্ছেমত ব্যবহার করে নিজের আখের গুছিয়েছেন তিনি। নাগরিক সেবাবঞ্চিত ছিলেন পৌরবাসী, তাই তার বিরুদ্ধে সাধারন মানুষের ক্ষোভের অন্ত ছিলনা কিন্তু সরকারী দলের সাথে যুক্ত থাকায় তার বিরুদ্ধাচারন করতেননা কেউই। এমনকি পৌরসভার সাধারন কর্মচারীদের একটা বড় অংশ এই মেয়রের কর্মকান্ডে ছিলেন নাখোস। হাতে গোনা কয়েকজন কর্মচারীকে হাতে রেখে তিনি তার কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। অফিসিয়াল বিভিন্ন কর্মকান্ডেও তার বিরুদ্ধে রয়েছে মারাতœক অনিয়ম দুর্নিতীর অভিযোগ। নিরপেক্ষ তদন্ত হলে যা অনায়াসে বেরিয়ে আসবে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন দায়িত্বশীল কর্মচারী।
পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. আব্দুল খালেক বলেন, পৌর কমিটি একাধিক সভা করে সর্ব সম্মত সিদ্ধান্তে গঠনতন্ত্র মোতাবেক ৩ জনের নাম চুড়ান্ত করা হয়। যা উপজেলা আওয়ামীলীগের সুপারিশ সহ জেলা কমিটির মাধ্যমে কেন্দ্রে পাঠানো হয়। এই সুপারিশমালা তৈরীর আগে স্থানীয় আওয়ামীলীগ মহাজোটের শরীক দলগুলোর সাথে বেশ কয়েক দফায় বৈঠক করে উপজেলা আ’লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি,৬নং পীরগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক সফল চেয়ারম্যান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক সভাপতি বৗরমুক্তিযোদ্ধা ইকরামুল হকের নাম প্রাথমিকভাবে চুড়ান্ত করে জেলা কমিটির কাছে দাখিল করা হয়। সুপারিশে ইকরামুল হক ছাড়াও ২ নম্বরে মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী সেতারা হক ও ৩ নম্বরে পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি মো.আব্দুল খালেকের নাম পাঠানো হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড তৃণমূলের সুপারিশ উপেক্ষা করে এলাকায় বিতর্কত হিসেবে পরিচিত বর্তমান মেয়র কশিরুল আলমকে মনোনয়ন প্রদান করেন। প্রার্থী মনোনয়নে ভুলের বিষয়টি মানতে পারেননি দলের নেতা-কর্মী সমর্থক সহ সাধারন ভোটাররা।
অন্যদিকে এলাকার উল্লেখযোগ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান যেমন ডায়াবেটিস হাসপাতাল ও চক্ষু হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সভাপতি, বীরমুক্তিযোদ্ধা ইকরামুল হকের গ্রহনযোগ্যতা, সততা ও জনপ্রিয়তার কারনে তার পক্ষেই ঝুকে পড়েন সাধারন মানুষ সহ মহাজোটের শরীক দল গুলোও। ভোটারদের চাপের মুখে তিনি আর ভোটের মাঠ ছেড়ে যেতে পানেনি, তাই বাধ্য হন স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে। প্রতিক বরাদ্দের পর যখন ভোটারদের কাছে যাওয়া শুরু হলো তখন প্রতিদিনই প্রতিটি মহল্লা থেকে টাকা দিয়ে তৈরী মালা উপহার পেতে থাকলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ইকরামুল হক। ভোটের মাঠজুড়ে যখন এই প্রার্থীর জয়-জয়কার সে মুহুত্বে জেলা আওয়ামীলীগ থেকে ইকরামুল হককে বহিষ্কার করা হয়। জনপ্রিয় এই নেতার বহিষ্কারের ঘটনায় ভোটারদের মধ্যে আরো বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। আওয়ামীলীগের সামগ্রিক কার্ক্রমে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। ফলে যা হবার তাই হয়, নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী ইকরামুল হক।
ফলাফলে নারিকেল গাছ প্রতিকে ইকরামুল হক পান ৯ হাজার ১শ’ ৩৩ ভোট আর নৌকার প্রার্থী বর্তমান মেয়র কশিরুল আলম পান ২ হাজার ৭ শ’ ৯০ ভোট, বিএনপি প্রার্থী রেজাউল করিম রাজা ধানের শীষে পান ২ হাজার ৭ শ’ ১৪ ভোট, বিএনপি’র বিদ্রোহী প্রার্থী জয়নাল আবেদীন জগ প্রতিকে পান ৯শ’৯১ ভোট, জাতীয় পার্টীর মো. তৈয়ব আলী লাঙ্গলে পান ৪শ’২২ ভোট আর ইসলামী আন্দোলন এর হাফিজুর রহমান হাতপাখায় পান ১শ’৪৩ ভোট। মূলত আ’লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্ট, জামায়াত সহ সব গুলো দলের সিংহভাগ ভোটই যায় জনপ্রিয় এই প্রার্থীর বাক্সে। বাইরে নিজ নিজ দলের পক্ষে ভোট করলেও ভিতরে সকলে চেয়েছেন নারিকেল গাছ জিতে যাক। ফলাফলে তাই হয়েছে। বড় দলগুলোকে চমকে দিয়ে এ যাবৎকালের ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন এই প্রার্থী।
উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. ইমদাদুল হক বলেন, আমরা দলীয়ভাবে যথেষ্ট চেষ্টা করেছি কিন্তু প্রার্থীর নানামূখী ব্যাক্তিগত সমস্যা ও দূর্বলতার কারনে ভোটাররা তার বিপক্ষে অবস্থান নেন এমনকি দলের নেতা-কর্মীরাও ক্রমশ: সরে গেছেন।
আ’লীগের পরাজিত প্রার্থী কশিরুল আলম বলেছেন, দলের নেতা-কর্মীরা শুরু থেকেই তার পক্ষে ছিলেননা, তারা মুখে মুখে কাজ করলেও ভিতরে ভিতরে ছিলেন বিপক্ষে।
বিজয়ী প্রার্থী উপজেলা ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির সভাপতি বীর-মুক্তিযোদ্ধা মো. ইকরামুল হক বলেছেন, সাধারন মানুষের প্রত্যাশার ফল এটি। সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ তাকে ভোট দিয়েছেন তাই তাদের প্রত্যাশা পূরনে যথাসাধ্য সব কিছুই করবেন তিনি।