ঢাকা ০৩:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সচিবালয়ে সাংবাদিক হেনস্থায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যসচিবের পদত্যাগ দাবী করলেন মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার,ঠাকুরগাঁও : প্রথম আলোর অনুসন্ধানী সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে ৫ ঘন্টা আটকে রেখে মানসিক শাররীক নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদ , তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানালেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ঠাকুরগাঁওয়ের কালিবাড়িস্থ নিজ বাসভবনে এক জনাকীর্ণ সাংবাদিক বৈঠকে মির্জা ফখরুল এই ঘটনায় রোজিনা ইসলামের সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তাঁর মুক্তি এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও স্বাস্থ্য সচিবের পদত্যাগ দাবী করেন। তিনি মন্তব্য করেন, রোজিনা ইসলামের অপরাধ হচ্ছে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করে করোনাকালীন স্বাস্থ্য বিভাগের দূর্নীতি ও অনিয়ম তুলে ধরা। তিনি বলেন , গণতন্ত্রের মূল কথাই হচ্ছে ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতা। তিনি সাগর-রুনি হত্যা মামলার কোনো বিচার না হওয়া, ফটো সাংবাদিক শহিদুল ইসলামের মিথ্যা থেকে শুরু করে গণতন্ত্রের অন্যতম স্তম্ভ সাংবাদিক নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে বলেন, এসব করা সরকারের পরিকল্পিত কাজ, যাতে কেউ জাতির সামনে সরকারের অন্যায় ও দূর্নীতি তুলে ধরতে ভয় পায়। সবখানে ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করে এভাবে দেশে একটা ফ্যাসিবাদ কায়েম করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি সাগর-রুনি হত্যা মামলার কোনো বিচার না হওয়া, ফটো সাংবাদিক শহিদুল ইসলামের মিথ্যা থেকে শুরু করে গণতন্ত্রের অন্যতম স্তম্ভ সাংবাদিক নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে বলেন, এসব করা সরকারের পরিকল্পিত কাজ, যাতে কেউ জাতির সামনে সরকারের অন্যায় ও দূর্নীতি তুলে ধরতে ভয় পায়। সবখানে ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করে এভাবে দেশে একটা ফ্যাসিবাদ কায়েম করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। সাগর রুনি হত্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রুনি আমার চাচাতো বোন। তার হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বললেন ২৪ ঘন্টার মধ্যে তিনি খুনীদের গ্রেফতার করবেন। অথচ ৯ বছর পার হলো সে হত্যাকাণ্ডের কোনো কিনারা হলো না।
তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে সাংবাদিক ও মিডিয়ার কন্ঠ চেপে ধরা হয়েছে। মন্ত্রী এমপিদের বিরুদ্ধে নিউজ করলে সাংবাদিকদের হাত-পা ভেঙ্গে দেয়া এমন কি খুন করা , মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পোড়া হচ্ছে সরকারের নিত্য দিনের কাজ। এসব পরিকল্পিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, এভাবে দেশের যে মূল আত্মা তাকে আঘাত করা হচ্ছে, গণতন্ত্রকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হচ্ছে , যা প্রতিষ্ঠার জন্য এ দেশের মানুষ প্রৃাণ দিয়েছেন দীর্ঘদিন লড়াই করেছেন।
তিনি মন্তব্য করেন, সাংবাদিকসহ সর্বত্র কিছু চাটুকারের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করেছে এ সরকার। আর চামচারা হুক্ক হুয়া করে যাচ্ছে। রোজিনা ইসলাম ইস্যুতে সাংবাদিকসহ সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে অবতীর্ণ হওয়ার আহবান জানান মির্জা ফখরুল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সহ-সভাপতি মামুন উর রশীদ, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদসহ নেতাকর্মী ও অন্যরা।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

সচিবালয়ে সাংবাদিক হেনস্থায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যসচিবের পদত্যাগ দাবী করলেন মির্জা ফখরুল

আপডেট টাইম ০৩:২৮:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মে ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার,ঠাকুরগাঁও : প্রথম আলোর অনুসন্ধানী সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে ৫ ঘন্টা আটকে রেখে মানসিক শাররীক নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদ , তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানালেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ঠাকুরগাঁওয়ের কালিবাড়িস্থ নিজ বাসভবনে এক জনাকীর্ণ সাংবাদিক বৈঠকে মির্জা ফখরুল এই ঘটনায় রোজিনা ইসলামের সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তাঁর মুক্তি এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও স্বাস্থ্য সচিবের পদত্যাগ দাবী করেন। তিনি মন্তব্য করেন, রোজিনা ইসলামের অপরাধ হচ্ছে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করে করোনাকালীন স্বাস্থ্য বিভাগের দূর্নীতি ও অনিয়ম তুলে ধরা। তিনি বলেন , গণতন্ত্রের মূল কথাই হচ্ছে ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতা। তিনি সাগর-রুনি হত্যা মামলার কোনো বিচার না হওয়া, ফটো সাংবাদিক শহিদুল ইসলামের মিথ্যা থেকে শুরু করে গণতন্ত্রের অন্যতম স্তম্ভ সাংবাদিক নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে বলেন, এসব করা সরকারের পরিকল্পিত কাজ, যাতে কেউ জাতির সামনে সরকারের অন্যায় ও দূর্নীতি তুলে ধরতে ভয় পায়। সবখানে ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করে এভাবে দেশে একটা ফ্যাসিবাদ কায়েম করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি সাগর-রুনি হত্যা মামলার কোনো বিচার না হওয়া, ফটো সাংবাদিক শহিদুল ইসলামের মিথ্যা থেকে শুরু করে গণতন্ত্রের অন্যতম স্তম্ভ সাংবাদিক নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে বলেন, এসব করা সরকারের পরিকল্পিত কাজ, যাতে কেউ জাতির সামনে সরকারের অন্যায় ও দূর্নীতি তুলে ধরতে ভয় পায়। সবখানে ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করে এভাবে দেশে একটা ফ্যাসিবাদ কায়েম করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। সাগর রুনি হত্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রুনি আমার চাচাতো বোন। তার হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বললেন ২৪ ঘন্টার মধ্যে তিনি খুনীদের গ্রেফতার করবেন। অথচ ৯ বছর পার হলো সে হত্যাকাণ্ডের কোনো কিনারা হলো না।
তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে সাংবাদিক ও মিডিয়ার কন্ঠ চেপে ধরা হয়েছে। মন্ত্রী এমপিদের বিরুদ্ধে নিউজ করলে সাংবাদিকদের হাত-পা ভেঙ্গে দেয়া এমন কি খুন করা , মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পোড়া হচ্ছে সরকারের নিত্য দিনের কাজ। এসব পরিকল্পিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, এভাবে দেশের যে মূল আত্মা তাকে আঘাত করা হচ্ছে, গণতন্ত্রকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হচ্ছে , যা প্রতিষ্ঠার জন্য এ দেশের মানুষ প্রৃাণ দিয়েছেন দীর্ঘদিন লড়াই করেছেন।
তিনি মন্তব্য করেন, সাংবাদিকসহ সর্বত্র কিছু চাটুকারের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করেছে এ সরকার। আর চামচারা হুক্ক হুয়া করে যাচ্ছে। রোজিনা ইসলাম ইস্যুতে সাংবাদিকসহ সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে অবতীর্ণ হওয়ার আহবান জানান মির্জা ফখরুল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সহ-সভাপতি মামুন উর রশীদ, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদসহ নেতাকর্মী ও অন্যরা।