ঢাকা ০৪:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
১৫ বছর ধরে ‘নিখোঁজ’ বিএনপি নেতা চৌধুরী আলম, অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে যা জানা গেলো সরকারের ভেতরে সরকার ড. ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ও অভ্যুত্থানে নিহতদের ‘জাতীয় শহীদ’ ঘোষণার নির্দেশ কেন নয় পীরগঞ্জে হুসেইন মুহাম্মদ এর ৬ষ্ঠ মৃত্যু বার্ষিকী পালিত যুক্তরাষ্ট্র ও মালয়েশিয়ায় বেনজীরের সম্পদ ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ সোহাগ কিলিং মিশন রজনী বোস লেনে হত্যা, হাসপাতালের সামনে নিয়ে চলে বর্বরতা ভিডিও সংকটে বাংলাদেশ, ইউনূস কী করবেন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, ফলাফল স্থগিতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ঠাকুরগাঁয়ের মিনাপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত পীরগঞ্জে ১১০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কৃষি বিভাগের নারিকেলের চারা বিতরণ

এবার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ ১১ জনকে শোকজ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি::পটুয়াখালীর কলাপাড়া প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল বাশার ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম বজলুল করিমসহ ১১ জনকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার কলাপাড়া সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক মো. আনোয়ার হোসেন কারণ দর্শানোর এ আদেশ জারি করেন।

১০৫ নং বৌলতলি সৈয়দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রের অভিভাবক মো. কামাল হোসেনের দায়ের করা মোকদ্দমার আরজি শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্র জানায়, বৌলতলি সৈয়দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন সংক্রান্ত তফসিলসহ সকল কার্যক্রম বন্ধে কেন স্থগিতের আদেশ দেয়া হবে না- এই মর্মে নোটিশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল বাশার, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম বজলুল করিম, ধূলাসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেন (প্রিজাইডিং অফিসার), ১০৫ নং বৌলতলি সৈয়দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাজী হারুন অর রশিদসহ ১১ জনকে কারণ দর্শাতে বলেছেন আদালত।

বাদীপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসাইন বলেন, ১০৫ নং বৌলতলি সৈয়দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার দেলোয়ার হোসেন সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাজী হারুন অর রশিদের যোগসাজশে এবং প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদ্বয়ের সহায়তায় বিবাদীরা যাতে বেআইনিভাবে স্কুল পরিচালনা কমিটির তফসিল ঘোষণা করে কমিটি গঠন করতে না পারে, তার প্রতিকারে আদালতে বাদী এ মোকদ্দমা আনয়ন করেন।

এদিকে বাদী তার মোকদ্দমার আরজিতে জানান, তিনি তফসিল ঘোষিত নির্বাচনে একজন অংশগ্রহণেচ্ছু প্রার্থী। তা সত্ত্বেও বিবাদীরা গোপনে নির্বাচন সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে অপসারণসহ পুনরায় তফসিল ঘোষণার জন্য লিখিত আবেদন করলেও শিক্ষা কর্মকর্তা বিবাদীদের দ্বারা প্রভাবিত হওয়ায় কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বিবাদীরা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী তফসিল ঘোষণা না করে তফসিল ঘোষণা গোপন রেখে কমিটি গঠনের পায়তারায় লিপ্ত রয়েছেন। তাই বিদ্যালয়ের স্বার্থে বাদী মোকদ্দমা দায়ের করেন বলে জানান।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

১৫ বছর ধরে ‘নিখোঁজ’ বিএনপি নেতা চৌধুরী আলম, অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে যা জানা গেলো

এবার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ ১১ জনকে শোকজ

আপডেট টাইম ০৫:৪৭:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২১
পটুয়াখালী প্রতিনিধি::পটুয়াখালীর কলাপাড়া প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল বাশার ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম বজলুল করিমসহ ১১ জনকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার কলাপাড়া সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক মো. আনোয়ার হোসেন কারণ দর্শানোর এ আদেশ জারি করেন।

১০৫ নং বৌলতলি সৈয়দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রের অভিভাবক মো. কামাল হোসেনের দায়ের করা মোকদ্দমার আরজি শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্র জানায়, বৌলতলি সৈয়দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন সংক্রান্ত তফসিলসহ সকল কার্যক্রম বন্ধে কেন স্থগিতের আদেশ দেয়া হবে না- এই মর্মে নোটিশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল বাশার, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম বজলুল করিম, ধূলাসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেন (প্রিজাইডিং অফিসার), ১০৫ নং বৌলতলি সৈয়দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাজী হারুন অর রশিদসহ ১১ জনকে কারণ দর্শাতে বলেছেন আদালত।

বাদীপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসাইন বলেন, ১০৫ নং বৌলতলি সৈয়দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার দেলোয়ার হোসেন সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাজী হারুন অর রশিদের যোগসাজশে এবং প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদ্বয়ের সহায়তায় বিবাদীরা যাতে বেআইনিভাবে স্কুল পরিচালনা কমিটির তফসিল ঘোষণা করে কমিটি গঠন করতে না পারে, তার প্রতিকারে আদালতে বাদী এ মোকদ্দমা আনয়ন করেন।

এদিকে বাদী তার মোকদ্দমার আরজিতে জানান, তিনি তফসিল ঘোষিত নির্বাচনে একজন অংশগ্রহণেচ্ছু প্রার্থী। তা সত্ত্বেও বিবাদীরা গোপনে নির্বাচন সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে অপসারণসহ পুনরায় তফসিল ঘোষণার জন্য লিখিত আবেদন করলেও শিক্ষা কর্মকর্তা বিবাদীদের দ্বারা প্রভাবিত হওয়ায় কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বিবাদীরা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী তফসিল ঘোষণা না করে তফসিল ঘোষণা গোপন রেখে কমিটি গঠনের পায়তারায় লিপ্ত রয়েছেন। তাই বিদ্যালয়ের স্বার্থে বাদী মোকদ্দমা দায়ের করেন বলে জানান।