ঢাকা ০২:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রীর কাছে নতুন মেয়রকে নিয়ে যেতে চান জাহাঙ্গীর

ইকবাল আহমদ সরকার, গাজীপুর থেকে:: গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র জায়েদা খাতুন পরাজিত প্রার্থী আজমত উল্লা খানসহ সবাইকে নিয়ে নগর সাজাতে চান। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খান নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে পরাজয় মেনে নিয়েছেন। গতকাল দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জায়েদা খাতুন বলেন, আমি নির্বাচিত হয়েছি। যে যে কাজগুলো করলে সিটি করপোরেশনকে ভালোভাবে সাজাতে পারবো, আমি সেই কাজগুলো এবং ছেলের যে কাজগুলো বাকি আছে সেই কাজগুলো আমার ছেলেকে নিয়ে উঠিয়ে দেবো।

তিনি বলেন, এত সুন্দর একটা ভোট হয়েছে এজন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। নির্বাচন কমিশনারের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। ভোটে আমি বিজয়ী হয়েছি। ভোটে বিজয়ী করার জন্য গাজীপুরবাসীকে ধন্যবাদ জানাই। শুভেচ্ছা জানাই।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও শুভেচ্ছা। ভোটটা সুষ্ঠু হয়েছে।আমি আমার ভোটের হিসাব পেয়েছি। এই জন্য আমি আরও ধন্যবাদ জানাই সবাইকে। এই বিজয়টা আমি গাজীপুরের মানুষকে উপহার দেবো। প্রধানমন্ত্রীকেও উপহার দেবো। আমি গাজীপুরবাসীর ঋণ শোধ করবো। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদেরও ঋণ শোধ করবো। আপনারাও আমার পাশে ছিলেন। আমার ছেলেকে সত্য প্রমাণের জন্যই আমার ভোটে আসা। ছেলের ওপর যে মিথ্যা হয়েছে, তার প্রতিবাদে আমি ভোটে এসেছি। গাজীপুরবাসীকে আমি আমার ছেলে অনেক ভালোবাসি। ?তারা আমাদের কতোটুকু ভালোবাসে সেটা প্রমাণ করার জন্য ভোটে এসেছি। গাজীপুরবাসীর জন্য আল্লাহর রহমতে আমি ভালোই করার চেষ্টা করবো। প্রয়োজন হলে আজমত উল্লা খানকেও পাশে রেখে উন্নয়ন কাজ করবো। এলাকার সবাইকে নিয়েই আমাকে কাজ করতে হবে।

মেয়র জায়েদা খাতুনের ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নগরবাসীর সেবায় সবসময় আমাদের ঘরের দরজা খোলা থাকবে। সুশাসনের জন্য সবাইকে নিয়ে এলাকাভিত্তিক কাজ করবেন মা জায়েদা খাতুন। আমি আমার মায়ের পাশে থেকে সব কাজে সহায়তা করবো। আমাদের বড় ভাই আজমত উল্লা খানসহ যারা যারা নির্বাচন করেছেন বা রাজনৈতিকভাবে এখানে যারা প্রতিষ্ঠিত তাদের সবার পরামর্শে গাজীপুরকে একটি আধুনিক শহর করার চেষ্টা করবো। বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় যেন শহরটা সুন্দর করে সাজাতে পারি। শহরবাসী আমাদের বিশ্বাস করেছে এবং আমাদের বড় বিপদের সময়ে আমাদের পাশে ছিলেন। শহরের খেটে খাওয়া মানুষ, নিবেদিত মানুষেরা আমাদের পাশে থেকে মা-সন্তানকে সহযোগিতা করেছে। এখন মা সন্তানেরও আমাদের যা কিছু আছে জীবনের সবকিছু দিয়ে শহরবাসীকে ভালো রাখতে চেষ্টা করবো। শহরবাসী যেন সুন্দরভাবে বসবাস করতে পারে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার সার্বিকভাবে সহযোগিতা চাই। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি এবং আমার মা যাবো। শহর গড়ে তুলতে আমরা সবকিছুর জন্য মা-সন্তান প্রস্তুতি নিয়েছি। তিনি বলেন, আমরা কারও সঙ্গে দ্বন্দ্ব চাই না। সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই। আর প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ন্যায় বিচার পাওয়া শুরু করেছি বলেও জানান জাহাঙ্গীর আলম। এ সময় জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মা-ছেলে মিলে আমরা এই শহরটাকে সাজাতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা এবং স্থানীয় সকলের সহযোগিতা নিয়ে একটা নতুন পরিকল্পিত নগর গরবো। অন্যদিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খান। তিনি গতকাল নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, আমি রায় মেনে নিয়েছি। অন্য কেউ পরাজিত হলে কি মেনে নিতো? নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। তবে কিছু ত্রুটি ছিল।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রধানমন্ত্রীর কাছে নতুন মেয়রকে নিয়ে যেতে চান জাহাঙ্গীর

আপডেট টাইম ০১:০৫:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ মে ২০২৩
ইকবাল আহমদ সরকার, গাজীপুর থেকে:: গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র জায়েদা খাতুন পরাজিত প্রার্থী আজমত উল্লা খানসহ সবাইকে নিয়ে নগর সাজাতে চান। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খান নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে পরাজয় মেনে নিয়েছেন। গতকাল দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জায়েদা খাতুন বলেন, আমি নির্বাচিত হয়েছি। যে যে কাজগুলো করলে সিটি করপোরেশনকে ভালোভাবে সাজাতে পারবো, আমি সেই কাজগুলো এবং ছেলের যে কাজগুলো বাকি আছে সেই কাজগুলো আমার ছেলেকে নিয়ে উঠিয়ে দেবো।

তিনি বলেন, এত সুন্দর একটা ভোট হয়েছে এজন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। নির্বাচন কমিশনারের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। ভোটে আমি বিজয়ী হয়েছি। ভোটে বিজয়ী করার জন্য গাজীপুরবাসীকে ধন্যবাদ জানাই। শুভেচ্ছা জানাই।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও শুভেচ্ছা। ভোটটা সুষ্ঠু হয়েছে।আমি আমার ভোটের হিসাব পেয়েছি। এই জন্য আমি আরও ধন্যবাদ জানাই সবাইকে। এই বিজয়টা আমি গাজীপুরের মানুষকে উপহার দেবো। প্রধানমন্ত্রীকেও উপহার দেবো। আমি গাজীপুরবাসীর ঋণ শোধ করবো। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদেরও ঋণ শোধ করবো। আপনারাও আমার পাশে ছিলেন। আমার ছেলেকে সত্য প্রমাণের জন্যই আমার ভোটে আসা। ছেলের ওপর যে মিথ্যা হয়েছে, তার প্রতিবাদে আমি ভোটে এসেছি। গাজীপুরবাসীকে আমি আমার ছেলে অনেক ভালোবাসি। ?তারা আমাদের কতোটুকু ভালোবাসে সেটা প্রমাণ করার জন্য ভোটে এসেছি। গাজীপুরবাসীর জন্য আল্লাহর রহমতে আমি ভালোই করার চেষ্টা করবো। প্রয়োজন হলে আজমত উল্লা খানকেও পাশে রেখে উন্নয়ন কাজ করবো। এলাকার সবাইকে নিয়েই আমাকে কাজ করতে হবে।

মেয়র জায়েদা খাতুনের ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নগরবাসীর সেবায় সবসময় আমাদের ঘরের দরজা খোলা থাকবে। সুশাসনের জন্য সবাইকে নিয়ে এলাকাভিত্তিক কাজ করবেন মা জায়েদা খাতুন। আমি আমার মায়ের পাশে থেকে সব কাজে সহায়তা করবো। আমাদের বড় ভাই আজমত উল্লা খানসহ যারা যারা নির্বাচন করেছেন বা রাজনৈতিকভাবে এখানে যারা প্রতিষ্ঠিত তাদের সবার পরামর্শে গাজীপুরকে একটি আধুনিক শহর করার চেষ্টা করবো। বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় যেন শহরটা সুন্দর করে সাজাতে পারি। শহরবাসী আমাদের বিশ্বাস করেছে এবং আমাদের বড় বিপদের সময়ে আমাদের পাশে ছিলেন। শহরের খেটে খাওয়া মানুষ, নিবেদিত মানুষেরা আমাদের পাশে থেকে মা-সন্তানকে সহযোগিতা করেছে। এখন মা সন্তানেরও আমাদের যা কিছু আছে জীবনের সবকিছু দিয়ে শহরবাসীকে ভালো রাখতে চেষ্টা করবো। শহরবাসী যেন সুন্দরভাবে বসবাস করতে পারে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার সার্বিকভাবে সহযোগিতা চাই। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি এবং আমার মা যাবো। শহর গড়ে তুলতে আমরা সবকিছুর জন্য মা-সন্তান প্রস্তুতি নিয়েছি। তিনি বলেন, আমরা কারও সঙ্গে দ্বন্দ্ব চাই না। সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই। আর প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ন্যায় বিচার পাওয়া শুরু করেছি বলেও জানান জাহাঙ্গীর আলম। এ সময় জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মা-ছেলে মিলে আমরা এই শহরটাকে সাজাতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা এবং স্থানীয় সকলের সহযোগিতা নিয়ে একটা নতুন পরিকল্পিত নগর গরবো। অন্যদিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খান। তিনি গতকাল নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, আমি রায় মেনে নিয়েছি। অন্য কেউ পরাজিত হলে কি মেনে নিতো? নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। তবে কিছু ত্রুটি ছিল।