ঢাকা ১২:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পীরগঞ্জে নিকাহ্ ও তালাক রেজিস্ট্রার পদ শূন্য ৩ বছর, অন্য জেলার কাজীরা সুবিধা নিচ্ছেন

পীরগঞ্জ(ঠাকুরগাঁও):: ঠাকুরগাঁও জেলা রেজিষ্ট্রারের গাফিলতি, খামখেয়ালী ও রহস্যজনক কারনে জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ১১নং বৈরচুনা ইউনিয়নে ৩ বছর ধরে নিকাহ্ ও তালাক রেজিস্ট্রারের ১ টি পদ শূন্য রয়েছে। বিবাহ নিবন্ধনে বর কনের অভিভাবকরা প্রতিনিয়ত হয়রানী ও প্রতারনার শিকার হচ্ছেন। পাশ^বর্তী দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলার কাজীরা গিয়ে বিয়ে ও তালাক নিবন্ধনের কাজ করে লাভবান হওয়া সহ নানাভাবে প্রতারনা করছেন।

জানা গেছে, বৈরচুনা ইউনিয়নের নিকাহ্ ও তালাক রেজিস্ট্রার মো: শামসুল হক প্রায় ৩ বছর আগে তার পদ থেকে স্বেচ্ছায় ইস্তফা দেন। ফলে নিকাহ্ ও তালাক রেজিস্ট্রারের পদটি শূন্য হয়। শুন্য পদে পীরগঞ্জ পৌরসভার ৫ ও ৮নং ওয়ার্ডের নিকাহ্,তালাক রেজিস্টার রাজিউর রহমান রাজু কে দুই দফায় মোট ৮ মাস অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের জন্যে পত্র দেন জেলা রেজিস্ট্রার। যার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে অনেক আগেই। ঠাকুরগাঁও জেলা রেজিস্ট্রার এসব বিষয় অবগত হয়েও তিনি কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় ওই ইউনিয়নে অবৈধ ভাবে অনেকেই নিকাহ্ ও তালাক নিবন্ধন করছেন। দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার নাড়াবাড়ি, বোচাগঞ্জ উপজেলার ছাতইল ইউনিয়নের নিকাহ্ রেজিস্ট্রারগণ বেআইনী ও অবৈধ ভাবে ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার বৈরচুনা ইউনিয়নে এসে বর কনের বিবাহ নিবন্ধন করছেন। এছাড়া পীরগঞ্জ উপজেলার ২ জন নিকাহ্ ও তালাক রেজিস্ট্রার এলাকায় দালাল নিযুক্ত করে অবৈধ ভাবে বর কনের বিয়ের নিবন্ধন করার অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে বিয়ের পর অভিভাবকরা নিকাহ নিবন্ধনের নকল নিতে গিয়ে সীমাহিন হয়রানি হওয়া সহ প্রতারণার শিকার হচ্ছে। বিবাহের পর বর কনের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ দেখা দিলে কনে পক্ষ ওই সব নিকাহ্ ও তালাক রেজিস্ট্রারদের কাছে গিয়ে হয়রানি হয়েও বিয়ের কাবিননামা সংগ্রহ করতে না পারায় তারা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছেন না বলে ওই ইউনিয়নের ভুক্তভোগী আব্দুল জব্বার এ প্রতিনিধিকে জানায়। এছাড়া ওই ইউনিয়নের বৈধ নিকাহ্ ও তালাক রেজিস্ট্রার না থাকায় যে যার মত করে সুযোগ বুঝে মোটা অংকের টাকা নিয়ে বাল্য বিবাহ নিবন্ধন করছেন। ফলে ওই ইউনিয়নে দিন দিন বাল্য বিবাহ বাড়ছে। এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও জেলা রেজিস্ট্রার হেলাল উদ্দীন সোমবার এ প্রতিনিধিকে জানায়, ফাইল পত্র দেখে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বিষয়টি এলাকার সচেতন মহল আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

পীরগঞ্জে নিকাহ্ ও তালাক রেজিস্ট্রার পদ শূন্য ৩ বছর, অন্য জেলার কাজীরা সুবিধা নিচ্ছেন

আপডেট টাইম ০৪:২৫:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫

পীরগঞ্জ(ঠাকুরগাঁও):: ঠাকুরগাঁও জেলা রেজিষ্ট্রারের গাফিলতি, খামখেয়ালী ও রহস্যজনক কারনে জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ১১নং বৈরচুনা ইউনিয়নে ৩ বছর ধরে নিকাহ্ ও তালাক রেজিস্ট্রারের ১ টি পদ শূন্য রয়েছে। বিবাহ নিবন্ধনে বর কনের অভিভাবকরা প্রতিনিয়ত হয়রানী ও প্রতারনার শিকার হচ্ছেন। পাশ^বর্তী দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলার কাজীরা গিয়ে বিয়ে ও তালাক নিবন্ধনের কাজ করে লাভবান হওয়া সহ নানাভাবে প্রতারনা করছেন।

জানা গেছে, বৈরচুনা ইউনিয়নের নিকাহ্ ও তালাক রেজিস্ট্রার মো: শামসুল হক প্রায় ৩ বছর আগে তার পদ থেকে স্বেচ্ছায় ইস্তফা দেন। ফলে নিকাহ্ ও তালাক রেজিস্ট্রারের পদটি শূন্য হয়। শুন্য পদে পীরগঞ্জ পৌরসভার ৫ ও ৮নং ওয়ার্ডের নিকাহ্,তালাক রেজিস্টার রাজিউর রহমান রাজু কে দুই দফায় মোট ৮ মাস অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের জন্যে পত্র দেন জেলা রেজিস্ট্রার। যার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে অনেক আগেই। ঠাকুরগাঁও জেলা রেজিস্ট্রার এসব বিষয় অবগত হয়েও তিনি কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় ওই ইউনিয়নে অবৈধ ভাবে অনেকেই নিকাহ্ ও তালাক নিবন্ধন করছেন। দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার নাড়াবাড়ি, বোচাগঞ্জ উপজেলার ছাতইল ইউনিয়নের নিকাহ্ রেজিস্ট্রারগণ বেআইনী ও অবৈধ ভাবে ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার বৈরচুনা ইউনিয়নে এসে বর কনের বিবাহ নিবন্ধন করছেন। এছাড়া পীরগঞ্জ উপজেলার ২ জন নিকাহ্ ও তালাক রেজিস্ট্রার এলাকায় দালাল নিযুক্ত করে অবৈধ ভাবে বর কনের বিয়ের নিবন্ধন করার অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে বিয়ের পর অভিভাবকরা নিকাহ নিবন্ধনের নকল নিতে গিয়ে সীমাহিন হয়রানি হওয়া সহ প্রতারণার শিকার হচ্ছে। বিবাহের পর বর কনের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ দেখা দিলে কনে পক্ষ ওই সব নিকাহ্ ও তালাক রেজিস্ট্রারদের কাছে গিয়ে হয়রানি হয়েও বিয়ের কাবিননামা সংগ্রহ করতে না পারায় তারা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছেন না বলে ওই ইউনিয়নের ভুক্তভোগী আব্দুল জব্বার এ প্রতিনিধিকে জানায়। এছাড়া ওই ইউনিয়নের বৈধ নিকাহ্ ও তালাক রেজিস্ট্রার না থাকায় যে যার মত করে সুযোগ বুঝে মোটা অংকের টাকা নিয়ে বাল্য বিবাহ নিবন্ধন করছেন। ফলে ওই ইউনিয়নে দিন দিন বাল্য বিবাহ বাড়ছে। এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও জেলা রেজিস্ট্রার হেলাল উদ্দীন সোমবার এ প্রতিনিধিকে জানায়, ফাইল পত্র দেখে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বিষয়টি এলাকার সচেতন মহল আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।