ঢাকা ০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশি মিডিয়া কী বলছে? দিল্লিতে মুখপাত্রের ব্রিফিং, মমতার মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া, বাংলাদেশে দ্রুত শান্তির প্রত্যাশা কবে ট্রেন চলবে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি : রেলের ডিজি বাংলাদেশ ব্যাংকের হ্যাক হওয়া ওয়েবসাইট উদ্ধার হয়েছে গুলিতে নিহিত আবু সাঈদের জন্য কাদছে পীরগঞ্জের মানুষ নিহত-আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশের দাবি সিপিবি’র আন্দালিব রহমান পার্থকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেয়ার অভিযোগ এখনই খুলছে না স্কুল-কলেজ, মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়াল! জারি থাকছে কার্ফু, ধৃত ১৭৫৮ আগামীতে আইসিটি সেক্টরে ১০ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে ………….ঠাকুরগাঁওয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পীরগঞ্জে বিদায় সংবর্ধনা ও দায়িত্বভার গ্রহণ শেখ সমশের আলী

আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন চিত্রনায়িকা ববিতা

আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক:: ২০১৮ সালের মেরিল-প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন চিত্রনায়িকা ববিতা। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ২০১৭-এর ২০তম আসরে তাঁর হাতে এ সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। চিত্রনায়িকা ববিতার হাতে সম্মাননা ও ক্রেস্ট তুলে দেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেমে অনুষ্ঠিত হচ্ছে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ২০১৭। জমকালো পরিবেশনা ও দেশের শীর্ষস্থানীয় তারকাদের উপস্থিতিতে এ আয়োজন পরিণত হয়েছে মিলনমেলায়। হাজির হয়েছেন নবীন, প্রবীণ ও খ্যাতিমান সব তারকা।

দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অবদান রাখার জন্য চিত্রনায়িকা ববিতাকে দেওয়া হয়েছে ‘আজীবন সম্মাননা’। পরিবার ও কাছের মানুষের কাছে ষাটোর্ধ্ব এই নায়িকার নাম ফরিদা আক্তার পপি। চলচ্চিত্রজগতে শুরুর দিকে তাঁর নাম ছিল ‘সুবর্ণা’। জহির রায়হানের ‘জ্বলতে সুরজ কে নিচে’ ছবিতে অভিনয় করতে গিয়ে তাঁর নাম হয়ে যায় ‘ববিতা’। সেই থেকে এখনো ববিতা নামেই দেশ-বিদেশের মানুষের ভালোবাসা কুড়িয়ে চলেছেন তিনি।১৯৫৩ সালের ৩০ জুলাই বাগেরহাট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই অভিনেত্রী। মা-বাবা চেয়েছিলেন, তাঁদের মেয়ে যেন বড় হয়ে চিকিৎসক হন। বড় বোন সুচন্দার অনুপ্রেরণায় চলচ্চিত্রে নাম লেখান ববিতা। ১৯৬৮ সালে জহির রায়হানের ‘সংসার’ ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে রুপালি পর্দায় তাঁর অভিষেক হয়।

সত্যজিৎ রায়ের ‘অশনি সংকেত’ ছবিতে অনঙ্গ বউ চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করে আন্তর্জাতিক খ্যাতি পান ববিতা। গ্রামীণ, শহুরে কিংবা সামাজিক, অ্যাকশন—সব ধরনের ছবিতেই তিনি ছিলেন সাবলীল।

ববিতা অভিনীত ছবির সংখ্যা আড়াই শতাধিক। এর মধ্যে ‘বাঁদী থেকে বেগম’ (১৯৭৫), ‘নয়নমণি’ (১৯৭৬), ‘বসুন্ধরা’ (১৯৭৭), ‘রামের সুমতি’ (১৯৮৫) ও ‘পোকামাকড়ের ঘরবসতি’ (১৯৯৬) ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশি মিডিয়া কী বলছে?

আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন চিত্রনায়িকা ববিতা

আপডেট টাইম ০৮:০১:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মার্চ ২০১৮

আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক:: ২০১৮ সালের মেরিল-প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন চিত্রনায়িকা ববিতা। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ২০১৭-এর ২০তম আসরে তাঁর হাতে এ সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। চিত্রনায়িকা ববিতার হাতে সম্মাননা ও ক্রেস্ট তুলে দেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেমে অনুষ্ঠিত হচ্ছে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ২০১৭। জমকালো পরিবেশনা ও দেশের শীর্ষস্থানীয় তারকাদের উপস্থিতিতে এ আয়োজন পরিণত হয়েছে মিলনমেলায়। হাজির হয়েছেন নবীন, প্রবীণ ও খ্যাতিমান সব তারকা।

দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অবদান রাখার জন্য চিত্রনায়িকা ববিতাকে দেওয়া হয়েছে ‘আজীবন সম্মাননা’। পরিবার ও কাছের মানুষের কাছে ষাটোর্ধ্ব এই নায়িকার নাম ফরিদা আক্তার পপি। চলচ্চিত্রজগতে শুরুর দিকে তাঁর নাম ছিল ‘সুবর্ণা’। জহির রায়হানের ‘জ্বলতে সুরজ কে নিচে’ ছবিতে অভিনয় করতে গিয়ে তাঁর নাম হয়ে যায় ‘ববিতা’। সেই থেকে এখনো ববিতা নামেই দেশ-বিদেশের মানুষের ভালোবাসা কুড়িয়ে চলেছেন তিনি।১৯৫৩ সালের ৩০ জুলাই বাগেরহাট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই অভিনেত্রী। মা-বাবা চেয়েছিলেন, তাঁদের মেয়ে যেন বড় হয়ে চিকিৎসক হন। বড় বোন সুচন্দার অনুপ্রেরণায় চলচ্চিত্রে নাম লেখান ববিতা। ১৯৬৮ সালে জহির রায়হানের ‘সংসার’ ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে রুপালি পর্দায় তাঁর অভিষেক হয়।

সত্যজিৎ রায়ের ‘অশনি সংকেত’ ছবিতে অনঙ্গ বউ চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করে আন্তর্জাতিক খ্যাতি পান ববিতা। গ্রামীণ, শহুরে কিংবা সামাজিক, অ্যাকশন—সব ধরনের ছবিতেই তিনি ছিলেন সাবলীল।

ববিতা অভিনীত ছবির সংখ্যা আড়াই শতাধিক। এর মধ্যে ‘বাঁদী থেকে বেগম’ (১৯৭৫), ‘নয়নমণি’ (১৯৭৬), ‘বসুন্ধরা’ (১৯৭৭), ‘রামের সুমতি’ (১৯৮৫) ও ‘পোকামাকড়ের ঘরবসতি’ (১৯৯৬) ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।