এসএম নুরুল ইসলাম,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:: ৯ এপ্রিল বিকেলে জেলার পীরগঞ্জ উপজেলা শহরের প্রানকেন্দ্রে চলা জুয়ার আসর থেকে আটক করা ৭ জুয়াড়ীকে মুচলেকায় ছেড়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়, শহরের মাইক্রোষ্টান্ডে দীর্ঘদিন ধওে চলে আসা জুয়ার আসওে অভিযান চালিয়ে ৯ এপ্রিল বিকেলে থানা পুলিশ আলম, মহিদুল,জসিম,স্বপন, ফ্রান্সিসকো,মানিক ও কালিসহ ৭ জুয়াড়ীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আটকের পর পরই মোটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন রাজ-৮৮ এর পীরগঞ্জ শাখার নেতা শাওন ও ড্রাইভার আলমের নেতৃত্বে শহরের পূর্ব চৌরাস্তায় বেশ কিছু মাইক্রেবাস-কার রেখে রাস্তা ব্যারিকেড দেয় ড্রাইভালরা। ৪৫ মিনিটব্যাপি ব্যারিকেড চলার পর থানার অফিসার ইনচার্জ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিক নেতাদের সাথে কথা বলেন এবং শান্তিপূর্ন সমাধানের লক্ষ্যে ব্যারিকেড প্রত্যাহার করে থানায় আলোচনায় বসার অনুরোধ করেন। এ বিষয়ে থানায় বসার পর শ্রমিক নেতারা আর ঐ স্থানে জুয়া খেলার আসর বসবেনা মর্মে মুচলেকা দিয়ে আটক ৭ জনকে ছাড়িয়ে আনেন। এ ঘটনায় শহরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে অফিসার ইনচার্জ মো. আমিরুজ্জামানের মতামত চাওয়া হলে তিনি বলেন শান্তিপূর্ন অবস্থা বজায় রাখার স্বার্থে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। যদিও ফৌজদারী বিধান কোষে যে কোন অপরাধি বা আসামীকে গ্রেপ্তারের পর উপযুক্ত জিম্মাদারের জিম্মায় বা আসামীর নিজ জিম্মায় মুচলেকা সাপেক্ষে নির্ধারিত সময়ে হাজিরের শর্তে জামিন দেয়ার ক্ষমতা পুলিশকে দেয়া হয়েছে তদুপরি কোন আসামীকে প্রেপ্তারের পর তার বিরুদ্ধে কোন মামলা রুজু না করে তাকে ছেড়ে দেয়ার ক্ষমতা তার আছে কিনা এ প্রশ্নের সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি। ঘটনাটি এলাকায় টক অব দা টাউনে পরিনত হয়েছে। শ্রমিক নেতা আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, নিজেদের বাচার তাগিদে শ্রমিকেরা স্বার্থে ড্রাইভাররা আইন তুলে নিয়েছে, তারা জেলে যেতেও প্রস্তুত আছে, তােই এখানে করার কিছুই নেই। তবে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার ফারহাত আহম্মেদ বলেছেন, আইন শৃঙ্খলার অবনতি হলে তাদের বিরুদ্ধে আমি কঠোর ব্যবস্থা নিতাম।