ঢাকা ০৯:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এসিল্যান্ডের বাড়িতে বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিকা, শারীরিক নির্যাতনঃ আটোয়ারী ইউএনও’র মধ্যস্থতার আশ্বাস

সারাদিন ডেস্ক::
জেলার পীরগন্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার ( ভূমি) বিয়ে করতে টালবাহানা করায় প্রেমিকা বিয়ের দাবিতে এসিল্যান্ডের গ্রামের বাড়িতে ওঠে। স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন তাকে সরিয়ে দিতে না পেরে গভীর রাতে পরিবারের লোকজন তাকে টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তুলে অপহরনের কায়দায় নিয়ে যায় ইউএনওর বাসায়। শুক্রবার তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।

.
বৃহস্পতিবার দুপুরে আটোয়ারী উপজেলার আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের পিতা কুড়ান চন্দ্র পালের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে ওঠে রামা নন্দ পাল’র প্রেমিকা দিনাজপুর সদরের নির্মল রায় এর মেয়ে মমতা রায় (২০)। অবস্থা বুঝে রামা নন্দ পাল বাড়ী থেকে সটকে পড়েন।
খবর পেয়ে আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন সুলতানা ও আটোয়ারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চালান। কিন্তু ওই কর্মকর্তাগণ সুরাহা করতে না পেরে ফিরে যান। পরবর্তীতে ইউএনও’র নির্দেশে ওই দিন রাত আনুমানিক ১টায় রমানাথ কান্তের পরিবারের লোকজন মমতাকে শারীরিক নির্যাতন করে টেনেহেচড়ে মাইক্রোবাসে তুলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসায় রেখে আসেন।

এ সময় প্রেমিকা মমতা রায় স্থানীয় সাংবাদিকদের জানায়, দীর্ঘদিন থেকে তাদের মধ্যে মন দেয়া নেয়া চলছিল। রামা নন্দ পাল বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে বলে দাবী করেন ওই প্রেমিকা।
ইতিপূর্বে রামা নন্দ পাল মমতাকে তার নিজ বাড়ি দেখানোর কথাবলে নিজ বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে তার সাথে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্ত প্রেমিকার। সেসময় রমানন্দ পাল নিজেকে রক্ষা করার জন্য মমতাকে আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাস ভবনে নিয়ে গেলে নির্বাহী অফিসার বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মমতাকে তার দিনাজপুরের বাড়িতে ফেরৎ পাঠান।
এরপর নিয়মিত মোবাইলে কথা বার্তা হলেও বিয়ের কোন ব্যবস্থা না নিয়ে টালবাহানা করায় নিরুপায় হয়ে ১৪ ডিসেম্বর প্রেমিকা মমতা রায় রমা নন্দ পালের বাড়িতে গিয়ে ওঠে।

এলাকাবাসীর অভিমত রামা নন্দ পাল বিসিএস ক্যাডার হওয়ায় উপজেলা প্রশাসনের দাযিত্বশীল ব্যাক্তিরা তাকে সহায়তা করছে। এতে অসহায় হয়ে পড়েছে প্রেমিকা মমতা। এ ঘটনায় এসিল্যান্ড রামানাথ কান্ত পালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
অবশ্য আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন সুলতানা জানান, পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসককে জানিয়ে তিনি তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেন। আগামী ১৮ ডিসেম্বর প্রশাসনিক ও পারিবারিক ভাবে বৈঠকের মাধ্যেমে বিষয়টির সমাধান করা হবে। এই মর্মে পুনরায় মমতাকে দিনাজপুরের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

এসিল্যান্ডের বাড়িতে বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিকা, শারীরিক নির্যাতনঃ আটোয়ারী ইউএনও’র মধ্যস্থতার আশ্বাস

আপডেট টাইম ০৮:৪০:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭

সারাদিন ডেস্ক::
জেলার পীরগন্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার ( ভূমি) বিয়ে করতে টালবাহানা করায় প্রেমিকা বিয়ের দাবিতে এসিল্যান্ডের গ্রামের বাড়িতে ওঠে। স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন তাকে সরিয়ে দিতে না পেরে গভীর রাতে পরিবারের লোকজন তাকে টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তুলে অপহরনের কায়দায় নিয়ে যায় ইউএনওর বাসায়। শুক্রবার তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।

.
বৃহস্পতিবার দুপুরে আটোয়ারী উপজেলার আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের পিতা কুড়ান চন্দ্র পালের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে ওঠে রামা নন্দ পাল’র প্রেমিকা দিনাজপুর সদরের নির্মল রায় এর মেয়ে মমতা রায় (২০)। অবস্থা বুঝে রামা নন্দ পাল বাড়ী থেকে সটকে পড়েন।
খবর পেয়ে আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন সুলতানা ও আটোয়ারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চালান। কিন্তু ওই কর্মকর্তাগণ সুরাহা করতে না পেরে ফিরে যান। পরবর্তীতে ইউএনও’র নির্দেশে ওই দিন রাত আনুমানিক ১টায় রমানাথ কান্তের পরিবারের লোকজন মমতাকে শারীরিক নির্যাতন করে টেনেহেচড়ে মাইক্রোবাসে তুলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসায় রেখে আসেন।

এ সময় প্রেমিকা মমতা রায় স্থানীয় সাংবাদিকদের জানায়, দীর্ঘদিন থেকে তাদের মধ্যে মন দেয়া নেয়া চলছিল। রামা নন্দ পাল বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে বলে দাবী করেন ওই প্রেমিকা।
ইতিপূর্বে রামা নন্দ পাল মমতাকে তার নিজ বাড়ি দেখানোর কথাবলে নিজ বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে তার সাথে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্ত প্রেমিকার। সেসময় রমানন্দ পাল নিজেকে রক্ষা করার জন্য মমতাকে আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাস ভবনে নিয়ে গেলে নির্বাহী অফিসার বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মমতাকে তার দিনাজপুরের বাড়িতে ফেরৎ পাঠান।
এরপর নিয়মিত মোবাইলে কথা বার্তা হলেও বিয়ের কোন ব্যবস্থা না নিয়ে টালবাহানা করায় নিরুপায় হয়ে ১৪ ডিসেম্বর প্রেমিকা মমতা রায় রমা নন্দ পালের বাড়িতে গিয়ে ওঠে।

এলাকাবাসীর অভিমত রামা নন্দ পাল বিসিএস ক্যাডার হওয়ায় উপজেলা প্রশাসনের দাযিত্বশীল ব্যাক্তিরা তাকে সহায়তা করছে। এতে অসহায় হয়ে পড়েছে প্রেমিকা মমতা। এ ঘটনায় এসিল্যান্ড রামানাথ কান্ত পালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
অবশ্য আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন সুলতানা জানান, পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসককে জানিয়ে তিনি তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেন। আগামী ১৮ ডিসেম্বর প্রশাসনিক ও পারিবারিক ভাবে বৈঠকের মাধ্যেমে বিষয়টির সমাধান করা হবে। এই মর্মে পুনরায় মমতাকে দিনাজপুরের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।