ঢাকা ০৫:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
পীরগঞ্জে ১১০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কৃষি বিভাগের নারিকেলের চারা বিতরণ রানীশংকৈল আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার ভারত থেকে পীরগঞ্জের বৈরচুনা সীমান্ত দিয়ে নড়াইলের কালিয়ার ৬ জনেক পুশ-ইন ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের বৈঠক রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমায় সীমা আরোপে একমত বিভাগীয় শহরে হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ বসাতে আপত্তি নেই * জাতীয় সনদ দ্রুত বাস্তবায়ন হোক -বিএনপি ছাত্রদলকে উদ্দেশ্য করে শিবির সভাপতি উদারতাকে দুর্বলতা ভাববেন না যতবার ছাত্র-যুব-জনতা এগিয়ে এসেছে ততবার বেচে গেছে বাংলাদেশ-ঠাকুরগাও ও পীরগঞ্জে নাহিদ ইসলাম পীরগঞ্জে দেয়ালে দেয়ালে আ’লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর পোষ্টার- ইউ’পি চেয়ারম্যান আটক ঠাকুরগাঁওয়ে মামলার আসামি ও আ’লীগ নেতাদের নিয়ে মাদক বিরোধী সমাবেশ ঠাকুরগাঁওয়ে খাদ্যবান্ধব র্কমসূচীর ডিলার থাকা অবস্থায় নতুন ডিলার নিয়োগের পদক্ষেপ নেয়ায় ইউএনও’কে হাইর্কোর্টে র শোকজ নিখোঁজের নাটক পীরগঞ্জে চুরি করতে বাঁধা দেয়ায় স্ত্রী হত্যা ৮দিন পর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার,স্বামী আটক

কাজে আসছে না বরেন্দ্রের গ্রামীন পানি সরবরাহ স্থাপনা

dig

খুরশিদ আলম শাওন রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি ঃ
সঠিক তদারকির অভাবে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আওতাধীন গ্রামীণ পানি সরবরাহ স্থাপনাগুলো কাজে আসছে না। তবে কর্তৃপক্ষ বলছেন সুবিধাভোগীরা সচেতন না হওয়ায় এ কার্যক্রমকে গতিশীল করা যাচ্ছে না।
গ্রামীন পর্যায়ের মানুষদের বিশুদ্ব পানি সরবরাহের অংশ হিসেবে রানীশংকৈল বরেন্দ্র বহুমখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গভীর নলকুপের সাথে সংযোগ করে এবং তাদের সার্বিক তত্বাবধানে উপজেলার হোসেনগাও বাচোর কাশিপুর রাতোর লেহেম্বাসহ মোট ৫টি ইউনিয়নে ৫টি পানি সরবারহ স্থাপনা(ট্যাংকি) নির্মাণ করা হয়। এ নির্মাণ কাজ চলার সময়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার সুবিাধাভোগী মানুষদের তালিকা করে প্রত্যক জনের কাছে নগদ পাচঁশত টাকা করে আদায় করা হয়। পাশাপাশি প্রতি মাসে ৬০/৭০ টাকা পানি সরবরাহের ফি দিতে হয় নিয়োগকৃত খন্ডকালীন স্থাপনা তত্বাবধায়কে। বরেন্দ্র বহুমখী কর্তৃপক্ষের হিসেব মতে ৫টি নলকুপের অনুকলে মোট ২০৫ টি ফসেটের আওতায় মোট এক হাজার পচিশটি পরিবার এ সুবিধা ভোগ করেন। একটি পানি সরবরাহ স্থাপনায় পানির ধারণ ক্ষমতার পরিমাণ বিশহাজার লিটার বলে কর্তৃপক্ষ জানায়।
গতকাল বুধবার হোসেনগাও ইউনিয়নের কেউটান এলাকায় পানি সরবরাহ স্থাপনার সুবিধাভোগীদের সাথে কথা হলে ভুপেস নামে একজন বলেন,তত্বাবধায়কের সঠিক তদারকির অভাবে আমরা ঠিক মত পানি পায় না। এ কারনে দিন দিন এ সুবিাধ থেকে আমরা ক্রমান্বয়ে সরে আসছি। তবে পানি সরবরাহ কার্যক্রম সচল থাকলে আমরা উপকৃত হতাম। এদিকে বাচোর ইউনিয়নের আমজুয়ান এলাকার পানি সরবারহ স্থাপনাটি পাইপ লিকেজ হওয়ায় চলতি বছরের ফ্রেবুয়ারী মাস থেকে এ পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছেন সুবিধাভোগীদের চাহিদা ও সচেতনতার অভাবে এ কাযক্রমকে তরান্বিত করা যাচ্ছে না। পাইপ লিকেজ ও পানি সরবারহ সঠিকভাবে হচ্ছে না এ অভিযোগ আমাদের কাছে তারা সেভাবে করে না। এ কারনে আমরা সঠিকভাবে জানতে পারি না। ঠিকমত পানি সরবরাহ না পাওয়ার অভিযোগ উপজেলার ৫টি পানি সরবারহ স্থাপনার আওতাধীন সুবিধাভোগীদের।
এদিকে অনন্ত পাচটির একাধিক সুবিধাভোগী পরিবারের অভিযোগ বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষের সঠিক তদারকির অভাবে এমনটা হচ্ছে । তারা যদি পানি সরবরাহ তত্বাধয়কে সার্বিকভাবে তদারকি করে তাহলেই সে আর ফাকি দিতে পারে না। তত্বাবধায়ক আবার ঠিকই মাস গেলেই তার ফি ৬০ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছে এক ধরনের জোর করে। এর প্রতিকার চাই। সঠিকভাবে পানি সরবরাহ চাই বলে উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষণ করেন।এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে হোসেনগার ইউপির পানি সরবারহ তত্বাবধায়ক খালেকের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন ধরেন নি।
উপজেলা বরেন্দ্র বহুমখী উন্নয়নের উপ-সহকারী প্রকৌশলী এ এস এম আসাদুজ্জামান বলেন, জনবল অভাব অনন্য কাজ সব মিলে কাজের অনেক চাপে থাকায় সেভাবে করে তত্বাবধায়কে তদারকি করা যায় না। তবে সুবিধাভোগীরা সঠিকভাবে অভিযোগ করলে আমরা নিয়মনুযায়ী তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিবো বলে আশ্বাস দেন।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

পীরগঞ্জে ১১০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কৃষি বিভাগের নারিকেলের চারা বিতরণ

কাজে আসছে না বরেন্দ্রের গ্রামীন পানি সরবরাহ স্থাপনা

আপডেট টাইম ০৩:৫২:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুলাই ২০১৮

খুরশিদ আলম শাওন রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি ঃ
সঠিক তদারকির অভাবে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আওতাধীন গ্রামীণ পানি সরবরাহ স্থাপনাগুলো কাজে আসছে না। তবে কর্তৃপক্ষ বলছেন সুবিধাভোগীরা সচেতন না হওয়ায় এ কার্যক্রমকে গতিশীল করা যাচ্ছে না।
গ্রামীন পর্যায়ের মানুষদের বিশুদ্ব পানি সরবরাহের অংশ হিসেবে রানীশংকৈল বরেন্দ্র বহুমখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গভীর নলকুপের সাথে সংযোগ করে এবং তাদের সার্বিক তত্বাবধানে উপজেলার হোসেনগাও বাচোর কাশিপুর রাতোর লেহেম্বাসহ মোট ৫টি ইউনিয়নে ৫টি পানি সরবারহ স্থাপনা(ট্যাংকি) নির্মাণ করা হয়। এ নির্মাণ কাজ চলার সময়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার সুবিাধাভোগী মানুষদের তালিকা করে প্রত্যক জনের কাছে নগদ পাচঁশত টাকা করে আদায় করা হয়। পাশাপাশি প্রতি মাসে ৬০/৭০ টাকা পানি সরবরাহের ফি দিতে হয় নিয়োগকৃত খন্ডকালীন স্থাপনা তত্বাবধায়কে। বরেন্দ্র বহুমখী কর্তৃপক্ষের হিসেব মতে ৫টি নলকুপের অনুকলে মোট ২০৫ টি ফসেটের আওতায় মোট এক হাজার পচিশটি পরিবার এ সুবিধা ভোগ করেন। একটি পানি সরবরাহ স্থাপনায় পানির ধারণ ক্ষমতার পরিমাণ বিশহাজার লিটার বলে কর্তৃপক্ষ জানায়।
গতকাল বুধবার হোসেনগাও ইউনিয়নের কেউটান এলাকায় পানি সরবরাহ স্থাপনার সুবিধাভোগীদের সাথে কথা হলে ভুপেস নামে একজন বলেন,তত্বাবধায়কের সঠিক তদারকির অভাবে আমরা ঠিক মত পানি পায় না। এ কারনে দিন দিন এ সুবিাধ থেকে আমরা ক্রমান্বয়ে সরে আসছি। তবে পানি সরবরাহ কার্যক্রম সচল থাকলে আমরা উপকৃত হতাম। এদিকে বাচোর ইউনিয়নের আমজুয়ান এলাকার পানি সরবারহ স্থাপনাটি পাইপ লিকেজ হওয়ায় চলতি বছরের ফ্রেবুয়ারী মাস থেকে এ পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছেন সুবিধাভোগীদের চাহিদা ও সচেতনতার অভাবে এ কাযক্রমকে তরান্বিত করা যাচ্ছে না। পাইপ লিকেজ ও পানি সরবারহ সঠিকভাবে হচ্ছে না এ অভিযোগ আমাদের কাছে তারা সেভাবে করে না। এ কারনে আমরা সঠিকভাবে জানতে পারি না। ঠিকমত পানি সরবরাহ না পাওয়ার অভিযোগ উপজেলার ৫টি পানি সরবারহ স্থাপনার আওতাধীন সুবিধাভোগীদের।
এদিকে অনন্ত পাচটির একাধিক সুবিধাভোগী পরিবারের অভিযোগ বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষের সঠিক তদারকির অভাবে এমনটা হচ্ছে । তারা যদি পানি সরবরাহ তত্বাধয়কে সার্বিকভাবে তদারকি করে তাহলেই সে আর ফাকি দিতে পারে না। তত্বাবধায়ক আবার ঠিকই মাস গেলেই তার ফি ৬০ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছে এক ধরনের জোর করে। এর প্রতিকার চাই। সঠিকভাবে পানি সরবরাহ চাই বলে উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষণ করেন।এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে হোসেনগার ইউপির পানি সরবারহ তত্বাবধায়ক খালেকের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন ধরেন নি।
উপজেলা বরেন্দ্র বহুমখী উন্নয়নের উপ-সহকারী প্রকৌশলী এ এস এম আসাদুজ্জামান বলেন, জনবল অভাব অনন্য কাজ সব মিলে কাজের অনেক চাপে থাকায় সেভাবে করে তত্বাবধায়কে তদারকি করা যায় না। তবে সুবিধাভোগীরা সঠিকভাবে অভিযোগ করলে আমরা নিয়মনুযায়ী তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিবো বলে আশ্বাস দেন।