ঢাকা ১০:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঠাকুরগাঁওয়ে গৃহবধু গণধর্ষণ, আটক ২

আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক::
ঠাকুরগাঁও সদরে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে এক গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার উপজেলার বড়গাঁও ইউনিয়নের মোলানখুড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে ওই গৃহবধূর অভিযোগ।

ওই নারীকে (৪০) ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় সদর উপজেলার রাজাগাঁও ইউনিয়নের সাবেক সদস্য রবীন্দ্র চন্দ্র রায় ও আব্দুল গফুল নামে দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ঠাকুরগাঁও সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কফিল উদ্দীন জানান, “হাসপাতালে গিয়ে গৃহবধূর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের জন্য আমরা অভিযান অব্যাহত রেখেছি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান পরিদর্শক কফিল। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নারী বলেন, তার স্বামী ঢাকায় গিয়েছেন কাজের প্রয়োজনে এবং তার সন্তানরা ঠাকুরগাঁওয়ে লেখাপড়া করে। এ কারণে তিনি বাসায় একা ছিলেন। রাত দেড়টার দিকে হঠাৎ একটি শব্দে তার ঘুম ভেঙে যায় এবং শব্দ পেয়ে বিছানা থেকে উঠে তিনি স্থানীয় জালাল উদ্দীন, রবীন্দ্র চন্দ্র রায়, মানিক, লিয়াকত, হামিদুর, আব্দুল গফুরসহ সাত জনকে দেখতে পান। তারা জানালা ভেঙে ঘরে ঢোকে বলে জানান গৃহবধূ। এরপর তারা আমাকে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মুখ চেপে ধরে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে একটি বাঁশ ঝাড়ে যায় এবং সেখানে দলবেঁধে ধর্ষণ করে। এ সময় তিনি চিৎকারের চেষ্টা করলে হামলাকারীরা তার মুখে কাপড় পেঁচিয়ে দেয় এবং একটি বাঁশের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে গলায় ছুরি চালিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় বলে তিনি অভিযোগ করেন।
সকাল ৬ টার দিকে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় বলে তিনি জানান।
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন শাহজাহান নেওয়াজ বলেন, “গৃহবধূকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। গৃহবধূর গলায় ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে; গলায় কাটা দাগ রয়েছে।”
ধর্ষণের বিষয়ে তিনি বলেন, “ধর্ষণের বিষয়ে এখন কিছু বলা যাচ্ছে না। আমরা ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করেছি; রিপোর্ট হাতে পেলেই পরিষ্কারভাবে বলা যাবে।”
বড়গাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাত সিংহ বলেন, গৃহবধূর পরিবারের সঙ্গে একটি মামলা নিয়ে রবিনের বিরোধ চলছিল। তার জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

ঠাকুরগাঁওয়ে গৃহবধু গণধর্ষণ, আটক ২

আপডেট টাইম ০৯:৩৮:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭

আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক::
ঠাকুরগাঁও সদরে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে এক গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার উপজেলার বড়গাঁও ইউনিয়নের মোলানখুড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে ওই গৃহবধূর অভিযোগ।

ওই নারীকে (৪০) ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় সদর উপজেলার রাজাগাঁও ইউনিয়নের সাবেক সদস্য রবীন্দ্র চন্দ্র রায় ও আব্দুল গফুল নামে দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ঠাকুরগাঁও সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কফিল উদ্দীন জানান, “হাসপাতালে গিয়ে গৃহবধূর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের জন্য আমরা অভিযান অব্যাহত রেখেছি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান পরিদর্শক কফিল। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নারী বলেন, তার স্বামী ঢাকায় গিয়েছেন কাজের প্রয়োজনে এবং তার সন্তানরা ঠাকুরগাঁওয়ে লেখাপড়া করে। এ কারণে তিনি বাসায় একা ছিলেন। রাত দেড়টার দিকে হঠাৎ একটি শব্দে তার ঘুম ভেঙে যায় এবং শব্দ পেয়ে বিছানা থেকে উঠে তিনি স্থানীয় জালাল উদ্দীন, রবীন্দ্র চন্দ্র রায়, মানিক, লিয়াকত, হামিদুর, আব্দুল গফুরসহ সাত জনকে দেখতে পান। তারা জানালা ভেঙে ঘরে ঢোকে বলে জানান গৃহবধূ। এরপর তারা আমাকে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মুখ চেপে ধরে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে একটি বাঁশ ঝাড়ে যায় এবং সেখানে দলবেঁধে ধর্ষণ করে। এ সময় তিনি চিৎকারের চেষ্টা করলে হামলাকারীরা তার মুখে কাপড় পেঁচিয়ে দেয় এবং একটি বাঁশের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে গলায় ছুরি চালিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় বলে তিনি অভিযোগ করেন।
সকাল ৬ টার দিকে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় বলে তিনি জানান।
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন শাহজাহান নেওয়াজ বলেন, “গৃহবধূকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। গৃহবধূর গলায় ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে; গলায় কাটা দাগ রয়েছে।”
ধর্ষণের বিষয়ে তিনি বলেন, “ধর্ষণের বিষয়ে এখন কিছু বলা যাচ্ছে না। আমরা ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করেছি; রিপোর্ট হাতে পেলেই পরিষ্কারভাবে বলা যাবে।”
বড়গাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাত সিংহ বলেন, গৃহবধূর পরিবারের সঙ্গে একটি মামলা নিয়ে রবিনের বিরোধ চলছিল। তার জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি।