আজম রেহমান,ঠাকুরগাঁও অফিস:: ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলায় গৃহবধু মৌসুমী আক্তারের (২০) মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে মহল বিশেষের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে২৫ ডিসেম্বর ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে গৃহবধুর মা দুখি বেওয়া।
তিনি বলেন, আমার জামাতা জাহাঙ্গীরের অনুপস্থিতিতে আমার মেয়ে মৌসুমী আক্তার নিজ দেবর হাসিবুলের সঙ্গে দৈহিক সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। গত ১৪ ডিসেম্বর তাদেরকে হাতেনাতে ধরে ফেলে জামাতা জাহাঙ্গীর। ওই দিন রাতেই ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম ওরফে ফকিরকে সাথে নিয়ে হরিপুরে জামাতার বাড়ি যাই। আমার মেয়েকে ঘটনার কথা বললে সে ঘটনার কথা স্বীকার করে। অবশেষে আমার মেয়ে মৌসুমী জামাতা জাহাঙ্গীরের হাত ধরে ক্ষমা চেয়ে নেয়। এরপর জাহাঙ্গীর আমার মেয়ে সহ আমার বাড়িতে বেড়াতে আসে এবং ৩ দিন অবস্থানের পর তাদের বাড়িতে ফিরে যায়। গত ২১ ডিসেম্বর বিকেলে আমার মেয়ে তাদের শয়ন ঘরে বাঁশের সরের সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। আমি সেখানে গেলে এলাকাবাসী ও পাড়া প্রতিবেশিদের সাথে কথা বলে সে আত্মহত্যা করেছে বলে নিশ্চিত হই। থানায় একটি ইউডি মামলা হয়।
কিন্তু পরবির্ততে আত্নহত্যার বিষয়টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহের উদ্দেশ্যে আমার সতিনের কন্যা ফিরোজা বেগম আমার জামাতা জাহাঙ্গীর আলম, তার পরিবারের লোকজন ও স্থানীয় কাজী আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে হরিপুর থানায় একটি লিখিত মনগড়া অভিযোগ করে। পরে গত ২৮ ডিসেম্বর মেয়ের চাচা আব্দুল হাই বাদী হয়ে একই উদ্দেশ্যে আরেকটি অভিযোগ দায়ের করে।
গৃহবধুর মা সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে অপমৃত্যুর বিষয়ে কেউ দায়ী নন। পরবর্তিতে করা অভিযোগ ২টি উদ্দেশ্য প্রনোদিত। আমি এ বিষয়ে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ সময় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।