ঢাকা ০৮:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ সাগর-রুনি হত্যা মামলা র‌্যাব থেকে তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইয়ের কাছে সংস্কারের পরেই নির্বাচন: ড. ইউনূস বশিরউদ্দীন ও ফারুকীকে কার বুদ্ধিতে নিলেন, প্রশ্ন মান্নার ভূমি সেবায় দুর্নীতি-অনিয়মে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা ভোট কারচুপির তদন্ত সাবেক ডিসি-এসপি-ইউএনওদের ঘুম হারাম আসিফ নজরুলকে হেনস্তা,দূতাবাসের কাউন্সেলরকে দেশে ফেরত, চাকরি হারাচ্ছেন স্টাফ হাসিনাকে ফেরানোর উদ্যোগ, যা বলছে আনন্দবাজার পীরগঞ্জ পাইলট হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের রিরুদ্ধে এবার শিক্ষকদের ১২ দফা অভিযোগ

সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন সেই মেয়র

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি।। দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদের রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি খুরশিদ আলম শাওনকে ‘কেটে ফেলার’ হুমকি দেওয়ার ঘটনায় মেয়র আলমগীর সরকার সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।

বুধবার বিকেলে রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন রাণীশংকৈল পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলমগীর সরকার।

রাণীশংকৈলে জাইকার রাস্তা সংস্কারে অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় গত বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার রাণীশংকৈল উপজেলা প্রতিনিধি খুরশিদ আলম শাওনকে মুঠোফোনের মাধ্যমে ‘কেটে ফেলার’ হুমকি দিয়েছিলেন রাণীশংকৈল পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলমগীর সরকার। এছাড়া মেয়র আলমগীর সরকার সাংবাদিকতা পেশা নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন।

এরপর বিষয়টি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরালে পরিণত হয়। এসব বিষয় নিয়ে মঙ্গলাবার রাণীশংকৈলের সাংবাদিকরা ‘কলম বিরতীর কর্মসূচিও পালন করেছেন।

বুধবার বিকেলে রাণীশংকৈল উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা খন্দকার মো. নাহিদ হাসানের তত্ত্বাবধানে তার কার্যালয়ে সাংবাদিক নেতা, মেয়র ও রাজনৈতিক নেতাসহ সুশীল সমাজের ব্যক্তিদের নিয়ে মিমাংসা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকের এক পর্যায়ে মেয়র আলমগীর সরকার তার ভুল স্বীকার করে সাংবাদিক আলম শাওন সহ সাংবাদিক নেতাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এরপর সাংবাদিকরা বিষয়টি সমাধান করে নেয়।

পরে মেয়র আলমগীর সরকার ও সাংবাদিক খুরশিদ আলম শাওন হাতে হাত মিলিয়ে কুশল বিনিময় করেন।

রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মো. নাহিদ হাসান বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করতে চাই। এখানে সাংবাদিককে হুমকি দেয়ার বিষয়টি নিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তাই উভয় পক্ষকে ডেকে বিষয়টি সমাধান করে দেয়া হয়েছে।

মিমাংসা বৈঠকে রাণীশংকৈল থানার ওসি আব্দুল মান্নান, রাণীশংকৈল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল হক, জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু তোরাব মানিক, ঠাকুরগাঁও টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফিরোজ আমিন সরকার, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান তানু, ঠাকুরগাঁও অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি মো. শাকিল আহমেদ, রাণীশংকৈল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোবারক আলী সহ সাংবাদিক, রাজনৈতিক সহ সুশীল সমাজের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ২৮ জানুয়ারি প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকায় ‘বদলি ঠিকাদার ও নিম্নমানের ইট দিয়ে চলছে রানীশংকৈলে জাইকার কাজ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান

সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন সেই মেয়র

আপডেট টাইম ১২:১৪:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি।। দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদের রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি খুরশিদ আলম শাওনকে ‘কেটে ফেলার’ হুমকি দেওয়ার ঘটনায় মেয়র আলমগীর সরকার সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।

বুধবার বিকেলে রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন রাণীশংকৈল পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলমগীর সরকার।

রাণীশংকৈলে জাইকার রাস্তা সংস্কারে অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় গত বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার রাণীশংকৈল উপজেলা প্রতিনিধি খুরশিদ আলম শাওনকে মুঠোফোনের মাধ্যমে ‘কেটে ফেলার’ হুমকি দিয়েছিলেন রাণীশংকৈল পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলমগীর সরকার। এছাড়া মেয়র আলমগীর সরকার সাংবাদিকতা পেশা নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন।

এরপর বিষয়টি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরালে পরিণত হয়। এসব বিষয় নিয়ে মঙ্গলাবার রাণীশংকৈলের সাংবাদিকরা ‘কলম বিরতীর কর্মসূচিও পালন করেছেন।

বুধবার বিকেলে রাণীশংকৈল উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা খন্দকার মো. নাহিদ হাসানের তত্ত্বাবধানে তার কার্যালয়ে সাংবাদিক নেতা, মেয়র ও রাজনৈতিক নেতাসহ সুশীল সমাজের ব্যক্তিদের নিয়ে মিমাংসা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকের এক পর্যায়ে মেয়র আলমগীর সরকার তার ভুল স্বীকার করে সাংবাদিক আলম শাওন সহ সাংবাদিক নেতাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এরপর সাংবাদিকরা বিষয়টি সমাধান করে নেয়।

পরে মেয়র আলমগীর সরকার ও সাংবাদিক খুরশিদ আলম শাওন হাতে হাত মিলিয়ে কুশল বিনিময় করেন।

রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মো. নাহিদ হাসান বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করতে চাই। এখানে সাংবাদিককে হুমকি দেয়ার বিষয়টি নিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তাই উভয় পক্ষকে ডেকে বিষয়টি সমাধান করে দেয়া হয়েছে।

মিমাংসা বৈঠকে রাণীশংকৈল থানার ওসি আব্দুল মান্নান, রাণীশংকৈল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল হক, জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু তোরাব মানিক, ঠাকুরগাঁও টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফিরোজ আমিন সরকার, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান তানু, ঠাকুরগাঁও অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি মো. শাকিল আহমেদ, রাণীশংকৈল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোবারক আলী সহ সাংবাদিক, রাজনৈতিক সহ সুশীল সমাজের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ২৮ জানুয়ারি প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকায় ‘বদলি ঠিকাদার ও নিম্নমানের ইট দিয়ে চলছে রানীশংকৈলে জাইকার কাজ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়।