ঢাকা ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
অবৈধ অনুপ্রবেশ করায় পীরগঞ্জ সীমান্তে বিজিবি’র হাতে ৪ জন গ্রেফতার পীরগঞ্জ পৌরসভায় দিনের পরিবর্তে রাতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার সাবেক এমপি সুজনকে কারাগারে প্রেরণ শরীরে শ’শ’ গুলি নি‌য়ে যন্ত্রণায় কাতরা‌চ্ছে লিটন, সরকারী সহায়তা নেই দেশে ফিরলেন মাহমুদুর রহমান শেখ পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, কী সিদ্ধান্ত আসছে? নিউইয়র্কে ড. ইউনূস বাংলাদেশের নতুন যাত্রায় মার্কিন ব্যবসায়ীদের অংশীদারিত্ব চাই ফিং ফিসার রেষ্টুরেন্টের সেফটি ট্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ উদ্ধার সাইবার মামলায় গ্রেপ্তার না করতে বলা হয়েছে : নাহিদ ইসলাম

নুসরাতকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চাকরি হারালেন যুবক

ব্যুরো প্রধান, রাজশাহী::ফেনীর সোনাগাজীতে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে চাকরি হারিয়েছেন এক যুবক। মামুন বিল্লাহ নামের ওই যুবক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। চাকরি হারানোর কথা স্বীকার করলেও আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মামুন।

মামুন বিল্লাহ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২০১৭ সালে স্নাতক শেষ করেছেন। স্নাতকোত্তরে এখনও ভর্তি হননি। তবে এখনও তার রাবিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ রয়েছে।

কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিহত নুসরাতকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে এখনই তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবি উঠেছে।

জানা গেছে, একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিহত নুসরাতের বিষয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ করে তা ফেসবুক পেজে শেয়ার করে। সেখানে মামুন বিল্লাহর ফেসবুক আইডি থেকে মন্তব্য করা হয়, ‘মেয়েটা কিন্তু জোস ছিল, মালটা ধর্ষণ করার মতোই ছিল।’ এমন আপত্তিকর মন্তব্যের পর অনেকেই তাকে ‘ভবিষ্যৎ ধর্ষক’ হিসেবে চিহ্নিত করে তার শাস্তির দাবি করে ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছেন।

মইনুল ইসলাম নামে এক ছাত্র তার ফেইসবুকে লিখেছেন, এমন মানসিকতার একটি ছেলে কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে? তাকে অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান তিনি। মর্তুজা বশির নামে আরেক ছাত্র মামুন বিল্লাহকে ভবিষ্যৎ ধর্ষক উল্লেখ করে লেখেন, আরেকটি অঘটন ঘটার আগেই সম্ভাব্য এই ধর্ষককে শাস্তি দেয়া হোক। ইফতেখার হোসেন লিখেছেন, লজ্জা লাগছে আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করি। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে এমন নিচু মন মানসিকতা কি করে হয়!

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাবি প্রক্টর প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান বলেন, নুসরাত জাহানকে নিয়ে রাবির কোনো শিক্ষার্থী যদি এমন মন্তব্য করে থাকে তাহলে ঘৃণিত, জঘন্য অপরাধ করেছে। এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এ ঘটনার সত্যতা পেলে ‘আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’ বলেও জানান তিনি।

যোগাযোগ করা হলে মামুন বিল্লাহ দাবি করেন, তার ফেসবুক আইডি থেকে মন্তব্যটি করা হলেও সেটা তিনি করেননি। কে করেছে তা তিনি জানেন না। মামুন বলেন, বিষয়টা নিয়ে খুব বেকায়দায় পড়েছি। একটা বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতাম, কমেন্টটা দেখার সাথে সাথে আমাকে বাদ দেয়া হয়েছে।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

অবৈধ অনুপ্রবেশ করায় পীরগঞ্জ সীমান্তে বিজিবি’র হাতে ৪ জন গ্রেফতার

নুসরাতকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চাকরি হারালেন যুবক

আপডেট টাইম ১২:০৮:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ এপ্রিল ২০১৯

ব্যুরো প্রধান, রাজশাহী::ফেনীর সোনাগাজীতে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে চাকরি হারিয়েছেন এক যুবক। মামুন বিল্লাহ নামের ওই যুবক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। চাকরি হারানোর কথা স্বীকার করলেও আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মামুন।

মামুন বিল্লাহ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২০১৭ সালে স্নাতক শেষ করেছেন। স্নাতকোত্তরে এখনও ভর্তি হননি। তবে এখনও তার রাবিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ রয়েছে।

কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিহত নুসরাতকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে এখনই তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবি উঠেছে।

জানা গেছে, একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিহত নুসরাতের বিষয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ করে তা ফেসবুক পেজে শেয়ার করে। সেখানে মামুন বিল্লাহর ফেসবুক আইডি থেকে মন্তব্য করা হয়, ‘মেয়েটা কিন্তু জোস ছিল, মালটা ধর্ষণ করার মতোই ছিল।’ এমন আপত্তিকর মন্তব্যের পর অনেকেই তাকে ‘ভবিষ্যৎ ধর্ষক’ হিসেবে চিহ্নিত করে তার শাস্তির দাবি করে ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছেন।

মইনুল ইসলাম নামে এক ছাত্র তার ফেইসবুকে লিখেছেন, এমন মানসিকতার একটি ছেলে কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে? তাকে অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান তিনি। মর্তুজা বশির নামে আরেক ছাত্র মামুন বিল্লাহকে ভবিষ্যৎ ধর্ষক উল্লেখ করে লেখেন, আরেকটি অঘটন ঘটার আগেই সম্ভাব্য এই ধর্ষককে শাস্তি দেয়া হোক। ইফতেখার হোসেন লিখেছেন, লজ্জা লাগছে আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করি। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে এমন নিচু মন মানসিকতা কি করে হয়!

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাবি প্রক্টর প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান বলেন, নুসরাত জাহানকে নিয়ে রাবির কোনো শিক্ষার্থী যদি এমন মন্তব্য করে থাকে তাহলে ঘৃণিত, জঘন্য অপরাধ করেছে। এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এ ঘটনার সত্যতা পেলে ‘আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’ বলেও জানান তিনি।

যোগাযোগ করা হলে মামুন বিল্লাহ দাবি করেন, তার ফেসবুক আইডি থেকে মন্তব্যটি করা হলেও সেটা তিনি করেননি। কে করেছে তা তিনি জানেন না। মামুন বলেন, বিষয়টা নিয়ে খুব বেকায়দায় পড়েছি। একটা বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতাম, কমেন্টটা দেখার সাথে সাথে আমাকে বাদ দেয়া হয়েছে।