ঢাকা ০৩:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জায়াস কুমার : সংগীতের বিস্ময় বালক

ফাইল ছবি

জুনায়েদ চৌধুরী জীবন,লেখক ও সাংবাদিক :: ভারতের সংগীতবিষয়ক রিয়েলিটি শো ‘সারেগামাপা লিটল চ্যাম্প ২০১৭’ অনুষ্ঠানের মঞ্চ কাঁপিয়ে আলোচনায় এসেছে এক শিশু। নাম জায়াস কুমার। বিচারকরা যাকে ডাকেন ‘ছোট ভগবান’ বলে। যে গান এবং দুষ্টুমিতে জয় করেছে বিশ্বের অগণিত দর্শকের হৃদয়। আলোচিত এ শিশুর জন্ম মোটেই সুখকর ছিল না। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, জন্মের সময় ওর হৃৎপিণ্ড বুকের ডানপাশে খুঁজে পাওয়া যায়। অথচ একজন স্বাভাবিক মানুষের হৃৎপিণ্ড থাকে বামপাশে। শুধু তা-ই নয়, এ বিস্ময় বালক জন্মের পর চার বছর বয়স পর্যন্ত কথা বলতে পারেনি। সমাজের সবাই তখন বলতো, ‘আহারে, আপনার ছেলে কথা বলতে পারে না? বলেন কী?’ পরে যদিও কথা বলতো, তা-ও আবার তোতলামিপূর্ণ ছিল।

সেই ছেলেই যে, দুনিয়াবাসীকে অবাক করে দেবে- তা কেউ ভাবতে পারেনি। ২০১৭ সালের ‘সারেগামাপা লিটল চ্যাম্প’র গ্রান্ড ফিনালে পর্যন্ত বিশেষ অংশগ্রহণকারী হিসেবে গিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ছেলেটি। ফাইনালে প্রতিযোগিতার বাইরে থেকেও বিশেষভাবে অংশগ্রহণ করে জায়াস। ফলে আয়োজকদের কাছ থেকে বিশেষ পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে দুই লাখ টাকা। ফলে জায়াসকে ‌‘মিরাকল অব দ্য মিলেনিয়াম’ ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানে সঞ্জয় দত্ত, শাহরুখ খান, সালমান খান, অক্ষয় কুমার থেকে শুরু করে কুমার শানু এবং লতা মুঙ্গেশকরসহ পুরো মুম্বাই শহর প্রবলভাবে জায়াস জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। তাদের মতে, ‘ছোট ভগবান মঞ্চে আসেন আশীর্বাদ নিতে নয়, আশীর্বাদ দিতে।’

জায়াস কুমার ২০১১ সালে ভারতের দিল্লি শহরে জন্মগ্রহণ করে। বর্তমানে অ্যামিটি গ্লোবাল স্কুলে পড়াশোনা করছে। পাঁচ বছর বয়সে সে দিল্লি অঞ্চল থেকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। যার নিবন্ধন নম্বর ছিল ডিএল ১০১৪। প্রতিযোগিতায় ‘চান্না মেরেয়া’ গানটির মাধ্যমে জনপ্রিয় হতে শুরু করে। প্রতিযোগিতায় পাঁচ বছর বয়সে সংগীত পরিবেশন করা শিশুর সংখ্যা হয়তো কম নেই। তবে শুধু সংগীত পরিবেশন নয়; গানের সঙ্গে সঙ্গে জায়াসের পারফর্মও সবাইকে মুগ্ধ করে। গানের সুর শুনেই সার্কেল বলে দিতেও পটু এ শিশু। হয়তো আরো বিস্ময় অপেক্ষা করছে বিশ্ববাসীর জন্য। এবারের সারেগামাপা লিটল চ্যাম্প’র প্রধান তিন বিচারক ছিলেন নেহা কক্কর, হিমেশ রেশমিয়া এবং জাবেদ আলী। এছাড়া ত্রিশ জন গ্রান্ড জুড়ি বিচার কাজে যুক্ত ছিলেন। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন আদিত্য নারায়ণ।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জায়াস কুমার : সংগীতের বিস্ময় বালক

আপডেট টাইম ০৩:১৩:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০১৭

জুনায়েদ চৌধুরী জীবন,লেখক ও সাংবাদিক :: ভারতের সংগীতবিষয়ক রিয়েলিটি শো ‘সারেগামাপা লিটল চ্যাম্প ২০১৭’ অনুষ্ঠানের মঞ্চ কাঁপিয়ে আলোচনায় এসেছে এক শিশু। নাম জায়াস কুমার। বিচারকরা যাকে ডাকেন ‘ছোট ভগবান’ বলে। যে গান এবং দুষ্টুমিতে জয় করেছে বিশ্বের অগণিত দর্শকের হৃদয়। আলোচিত এ শিশুর জন্ম মোটেই সুখকর ছিল না। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, জন্মের সময় ওর হৃৎপিণ্ড বুকের ডানপাশে খুঁজে পাওয়া যায়। অথচ একজন স্বাভাবিক মানুষের হৃৎপিণ্ড থাকে বামপাশে। শুধু তা-ই নয়, এ বিস্ময় বালক জন্মের পর চার বছর বয়স পর্যন্ত কথা বলতে পারেনি। সমাজের সবাই তখন বলতো, ‘আহারে, আপনার ছেলে কথা বলতে পারে না? বলেন কী?’ পরে যদিও কথা বলতো, তা-ও আবার তোতলামিপূর্ণ ছিল।

সেই ছেলেই যে, দুনিয়াবাসীকে অবাক করে দেবে- তা কেউ ভাবতে পারেনি। ২০১৭ সালের ‘সারেগামাপা লিটল চ্যাম্প’র গ্রান্ড ফিনালে পর্যন্ত বিশেষ অংশগ্রহণকারী হিসেবে গিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ছেলেটি। ফাইনালে প্রতিযোগিতার বাইরে থেকেও বিশেষভাবে অংশগ্রহণ করে জায়াস। ফলে আয়োজকদের কাছ থেকে বিশেষ পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে দুই লাখ টাকা। ফলে জায়াসকে ‌‘মিরাকল অব দ্য মিলেনিয়াম’ ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানে সঞ্জয় দত্ত, শাহরুখ খান, সালমান খান, অক্ষয় কুমার থেকে শুরু করে কুমার শানু এবং লতা মুঙ্গেশকরসহ পুরো মুম্বাই শহর প্রবলভাবে জায়াস জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। তাদের মতে, ‘ছোট ভগবান মঞ্চে আসেন আশীর্বাদ নিতে নয়, আশীর্বাদ দিতে।’

জায়াস কুমার ২০১১ সালে ভারতের দিল্লি শহরে জন্মগ্রহণ করে। বর্তমানে অ্যামিটি গ্লোবাল স্কুলে পড়াশোনা করছে। পাঁচ বছর বয়সে সে দিল্লি অঞ্চল থেকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। যার নিবন্ধন নম্বর ছিল ডিএল ১০১৪। প্রতিযোগিতায় ‘চান্না মেরেয়া’ গানটির মাধ্যমে জনপ্রিয় হতে শুরু করে। প্রতিযোগিতায় পাঁচ বছর বয়সে সংগীত পরিবেশন করা শিশুর সংখ্যা হয়তো কম নেই। তবে শুধু সংগীত পরিবেশন নয়; গানের সঙ্গে সঙ্গে জায়াসের পারফর্মও সবাইকে মুগ্ধ করে। গানের সুর শুনেই সার্কেল বলে দিতেও পটু এ শিশু। হয়তো আরো বিস্ময় অপেক্ষা করছে বিশ্ববাসীর জন্য। এবারের সারেগামাপা লিটল চ্যাম্প’র প্রধান তিন বিচারক ছিলেন নেহা কক্কর, হিমেশ রেশমিয়া এবং জাবেদ আলী। এছাড়া ত্রিশ জন গ্রান্ড জুড়ি বিচার কাজে যুক্ত ছিলেন। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন আদিত্য নারায়ণ।