ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি \ ঠাকুরগাঁও জেলা রাণীশংকৈল উপজেলার ভান্ডারা গ্রামের চাউল ব্যবসায়ী আলহাজ¦ মো: গোলাম মোস্তফার দুই লক্ষাধিক টাকা মূল্যের চাউল আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের মো: কাশেম আলী, মো: মিনহাজুল ও মোছা: মেহেরুনের বিরুদ্ধে। তারা সম্পর্কে বাবা, ছেলে ও মেয়ে। এ অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবসায়ী আলহাজ¦ মো: গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-৪, ঠাকুরগাঁও একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ০৮/০৬/২০১৫ ইং তারিখে আভিযুক্তগণ ওই ব্যবসায়ীর বাসায় এসে কৌশলে তার থেকে ১৩’শ টাকা বস্তা মূল্যে, ২’শ ০৫ বস্তা চাল মাত্র আট হাজার টাকা নগদ দিয়ে নিয়ে যায়। তৎকালীন সময়ে যার বাজার মূল্য ২ লক্ষ ৬৬ হাজার ৫’শ টাকা এবং এক বছরের মধ্যে বাকি টাকা পরিশোধ করবে বলে ওই ব্যবসায়ীকে মৌখিকভাবে কথা দেন। কিন্তু টাকা আজ দেবো কাল দেবো বলে কালক্ষেপন করেন তারা অথচ কোন টাকা পরিশোধ করেনা।
একটা সময় টাকা না দেওয়ার জন্য গা ঢাকা দেন অভিযুক্তগণ। পরবর্তীতে কয়েক মাস পর তারা গ্রামে ফিরে আসলে টাকা দেনা পাওনা নিয়ে মামলার ১ নং আসামীর বাড়িতে গত ০৫/০৮/২০১৭ ইং তারিখে একটি আপোষ বৈঠক বসে। সেখানে চাউল আত্মসাৎকারীগণ টাকা পরিশোধ তো দূরের কথা বরং টাকা চাইলে এই চাউল ব্যবসায়ীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। শুধু খারাপ আচরণ নয়। আইনের তোয়াক্কা না করে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে এবং আর কখনো পাওনা টাকা চাইতে আসলে এই চাউল ব্যবসায়ীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। এছাড়াও আভিযুক্তগণ প্রকাশ্যে স্বিকার করে আমরা চাউল হাওলাদ করেছি আত্মসাতের উদ্দেশ্যেই।
অভিযোগকারী চাউল ব্যবসায়ী আলহাজ¦ গোলাম মোস্তফা বলেন, অভিযুক্তগণ যে চাউল আত্মাসৎ করেছে এটা প্রমানিত। কিন্তু টাকা পরিশোধের ব্যপারে তারা কোন কর্ণপাত করেনা। শুধু শুধুই কালক্ষেপনের মানেটা আমার কাছে পরিস্কার হচ্ছেনা। তাই আমি অনুরোধ করবো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন বিষয়টি খুব দ্রæত নি:পত্তি করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মিনাহাজের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।