সংসদ বহাল রেখে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটটি করা হয়েছে জানিয়ে আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, আবেদনটি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মোহাম্মদ আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে কাল শুনানির জন্য তালিকায় আসবে।
রিট আবেদনকারী এ আইনজীবীর যুক্তি, সংবিধানের ১২৩(৩) অনুচ্ছেদে অনুসারে মেয়াদ অবসান ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার ক্ষেত্রে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সংসদ সদস্যের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেহেতু সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন অসাংবিধানিক। সংবিধানের ৬৬(২)(চ) অনুসারে কোনো ব্যক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার এবং সংসদ সদস্য থাকার যোগ্য হবে না, যদি আইনের দ্বারা পদাধিকারীকে অযোগ্য ঘোষণা করছে না—এমন পদ ব্যতীত তিনি প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোনো লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত থাকেন।
রিট আবেদনকারী আরও যুক্তি দেন, সংসদ সদস্য সরকারের রাজস্ব থেকে বেতন–ভাতা পাচ্ছেন। তাই পদটি লাভজনক। এ কারণে সংসদ ভেঙে না দিয়ে তফসিল ঘোষণা অসাংবিধানিক। দুর্নীতি দমন আইন এবং দণ্ডবিধি অনুযায়ী সংসদ সদস্য পদটি লাভজনক। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১২ ধারা তুলে ধরে এই আইনজীবী বলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য পদে থাকা অবস্থায় সরকারের বেতন–ভাতা রাজস্ব থেকে নিচ্ছেন—এ অবস্থায় নির্বাচনের তফসিল ওই অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।