সারাদিন ডেস্ক::
আধুনিক প্রযুক্তির এই যুগে অফিসে আমাদের অনেক মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে কাজ করতে হয়। আবার বাসা থেকে বের হলেই ধুলোবালির ছড়াছড়ি। কাজেই রাতে বাসায় ফিরে ত্বকের একটু আলাদা যত্ন নিতেই হয়। সেইসঙ্গে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাসের দিকেও খেয়াল রাখা জরুরি। তা না হলে ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে ত্বকের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন গাজরের রস-হলুদের পেস্ট। এটি অনুজ্জ্বল, মলিন ও রুক্ষ যে কোন ত্বকের সমস্যা সমাধানে খুবই উপকারী।
যা যা লাগবে-
গাজরের রস তিন টেবিল চামচ, হলুদ ২ চা চামচ
যেভাবে ব্যবহার করবেন-
প্রথমে একটি বাটিতে গাজরের রস ও হলুদ ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার পেস্টটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। পরে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ব্যবহারে যেসব উপকার পাবেন-
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়ঃ
প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি গাজরের রস-হলুদের পেস্টটিতে ভিটামিন এং নানা পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এসব উপাদান ভেতর থেকে ত্বকের পুষ্টির জোগান দেয়। এর ফলে ত্বক হয়ে ওঠে আরও উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত।
কালচে দাগ দূর করেঃ
গাজরের রস এবং হলুদের তৈরি এই পেস্টে ভিটামিন এ এবং বেটা -ক্যারোটিন থাকায় তা ত্বকের ছোটখাট যে কোন কালচে দাগ দূর করতে ভূমিকা রাখে।
বলি রেখা প্রতিরোধ করেঃ
প্যাকটিতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বিদ্যমান থাকায় তা ত্বকের কোলাজেনের উৎপাদন বাড়ায়। এর ফলে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতার উন্নতি ঘটে এবং বলিরেখা প্রতিহত হয়।
অতি বেগুণি রশ্মি থেকে রক্ষা করেঃ
প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন হিসেবে এই উপাদান দুটি বেশ কার্যকর। এছাড়া এটি সূর্যের আলট্রা ভায়োলেট রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকেও ত্বককে রক্ষা করে। এটি ত্বক পুড়ে যাওয়াসহ যে কোন ক্ষতি থেকে আমাদের সুরক্ষা দেয়।
ত্বকের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনেঃ
প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি এই প্যাকটি শুষ্ক ত্বকের প্রতিটি কোষে আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে ভূমিকা রাখে। এতে ত্বকের শুষ্ক ভাব অনেক কমে যায়। সেইসঙ্গে ত্বক হয়ে ওঠে আরও নরম।
ব্রণ কমায়ঃ
গাজরের জুস-হলুদের এই পেস্টটিতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকায় তা আপনার ত্বকের ছিদ্রগুলো দিয়ে ময়লা বের করে দেয়। এতে সহজেই ব্রণ কমে আসে।
ত্বকের ক্ষত সারাতেঃ
অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকায় গাজরের জুস এবং হলুদের এই পেস্টটি ত্বকের জন্য খুবই কার্যকরী। এটি ফুসকুড়ি, ত্বক কেটে গেলে কিংবা পুড়ে গেলে তা সারাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।