ঢাকা ১১:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতিবেশীর বাঁধের পানিতে ভেসে গেছে সাড়ে ছয়শত মুরগির বাচ্চা!

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতিবেশীর বাঁধের পানিতে আরেক প্রতিবেশীর ভেসে গেছে প্রায় সাড়ে ছয়শত মুরগির বাচ্চা।এই ঘটনায় বিমর্ষ হয়ে পড়েছে সেই পরিবারটি।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়,ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের আকচা সামসনগর এলাকার বাসিন্দা নজরুল খুব অভাব-অনটনে পড়ে। বছর খানেক আগে তার এক শুভাকাঙ্ক্ষী আবু জাহিদ বাবু তাকে সহযোগিতা করতে পুজি দিয়ে নজরুলের বাড়িতে মুরগির খামার গড়ে তোলে।গত ২৫ দিন আগে নজরুল তার বাড়িতে দুটি মুরগির শেড তৈরি করে।একটিতে ৭২০টি বাচ্চা ও অন্যটিতে প্রায় ১২০০টি মুরগির বাচ্চা ছিল।কিন্তু শুক্রবার দিবাগত রাত ও শনিবার ভোরে ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়।এসময় প্রতিবেশী হেলাল ও তার কর্মচারী সুজন চলাচলের রাস্তার উপর বালিভর্তি বস্তা দিয়ে বাঁধ তৈরি করে যেন তার বাড়িতে পানি প্রবেশ করতে না পারে।কিন্তু বাঁধ দেওয়ায় সেই পানি গিয়ে ঢোকে নজরুলের বাড়িতে।ভোর বেলা নজরুল ও তার পরিবার মুরগির শেডে গিয়ে দেখে ছোট শেডের ৭২০টি বাচ্চা পানিতে ভাসছে।সেখান থেকে কোন রকম ৯০টি বাচ্চা বাঁচাতে পারলেও মারা যায় প্রায় সাড়ে ছয়শত মুরগির বাচ্চা।এতে ক্ষতি হয় প্রায় ষাট হাজার টাকা।সকালে উঠে নজরুল প্রতিবেশী হেলালকে ডেকে এনে দেখালেও সে কোন কর্ণপাত করেনি।পরে আকচা ৯নং ইউপি সদস্য কুলুরাম রায় বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।অভিযুক্ত হেলাল উল্টো অভিযোগ করে বলেন,নজরুল বাঁধ সরিয়ে ফেলাতে তার পুকুরে অত্যাধুনিক ভিয়েতনাম প্রযুক্তিতে মাছের পোনা ছাড়েন এতে তার প্রায় চার লক্ষ টাকার পোনা নষ্ট হয়ে যায়।
ইউপি সদস্য কুলুরাম রায় জানান,কেউ চলাচলের রাস্তায় বিনা অনুমতিতে বাঁধ দিতে পারেনা।তাছাড়া হেলালের পুকুরে সত্যিকারে পোনা ছেড়েছে কিনা সেটা সে দেখাতে পারেনি।তিনি আরও জানান,কোন সমাধান না করতে পেরে তিনি নজরুল ও বাবুকে আইনি সহযোগিতা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
এই ঘটনায় নজরুল ঠাকুরগাঁও সদর থানায় লিখিত অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতিবেশীর বাঁধের পানিতে ভেসে গেছে সাড়ে ছয়শত মুরগির বাচ্চা!

আপডেট টাইম ১২:৩৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০১৯

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতিবেশীর বাঁধের পানিতে আরেক প্রতিবেশীর ভেসে গেছে প্রায় সাড়ে ছয়শত মুরগির বাচ্চা।এই ঘটনায় বিমর্ষ হয়ে পড়েছে সেই পরিবারটি।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়,ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের আকচা সামসনগর এলাকার বাসিন্দা নজরুল খুব অভাব-অনটনে পড়ে। বছর খানেক আগে তার এক শুভাকাঙ্ক্ষী আবু জাহিদ বাবু তাকে সহযোগিতা করতে পুজি দিয়ে নজরুলের বাড়িতে মুরগির খামার গড়ে তোলে।গত ২৫ দিন আগে নজরুল তার বাড়িতে দুটি মুরগির শেড তৈরি করে।একটিতে ৭২০টি বাচ্চা ও অন্যটিতে প্রায় ১২০০টি মুরগির বাচ্চা ছিল।কিন্তু শুক্রবার দিবাগত রাত ও শনিবার ভোরে ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়।এসময় প্রতিবেশী হেলাল ও তার কর্মচারী সুজন চলাচলের রাস্তার উপর বালিভর্তি বস্তা দিয়ে বাঁধ তৈরি করে যেন তার বাড়িতে পানি প্রবেশ করতে না পারে।কিন্তু বাঁধ দেওয়ায় সেই পানি গিয়ে ঢোকে নজরুলের বাড়িতে।ভোর বেলা নজরুল ও তার পরিবার মুরগির শেডে গিয়ে দেখে ছোট শেডের ৭২০টি বাচ্চা পানিতে ভাসছে।সেখান থেকে কোন রকম ৯০টি বাচ্চা বাঁচাতে পারলেও মারা যায় প্রায় সাড়ে ছয়শত মুরগির বাচ্চা।এতে ক্ষতি হয় প্রায় ষাট হাজার টাকা।সকালে উঠে নজরুল প্রতিবেশী হেলালকে ডেকে এনে দেখালেও সে কোন কর্ণপাত করেনি।পরে আকচা ৯নং ইউপি সদস্য কুলুরাম রায় বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।অভিযুক্ত হেলাল উল্টো অভিযোগ করে বলেন,নজরুল বাঁধ সরিয়ে ফেলাতে তার পুকুরে অত্যাধুনিক ভিয়েতনাম প্রযুক্তিতে মাছের পোনা ছাড়েন এতে তার প্রায় চার লক্ষ টাকার পোনা নষ্ট হয়ে যায়।
ইউপি সদস্য কুলুরাম রায় জানান,কেউ চলাচলের রাস্তায় বিনা অনুমতিতে বাঁধ দিতে পারেনা।তাছাড়া হেলালের পুকুরে সত্যিকারে পোনা ছেড়েছে কিনা সেটা সে দেখাতে পারেনি।তিনি আরও জানান,কোন সমাধান না করতে পেরে তিনি নজরুল ও বাবুকে আইনি সহযোগিতা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
এই ঘটনায় নজরুল ঠাকুরগাঁও সদর থানায় লিখিত অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।