ক্যাসিনো কেলেঙ্কারী ও দুর্নীতির নানা অভিযোগে পদ হারালেন ৭১ বছর বয়সী যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। সম্প্রতি ক্যাসিনো ও দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে তার সম্পৃক্তার প্রমাণ পাওয়ায় তাকে সংগঠনে ওএসডি করে রাখা হয়েছিল। এর আগে তার দেশত্যাগের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। পাশাপাশি তার ব্যাংক হিসাবও তলব করা হয়েছে।
ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে বাধ্য হয়ে নিজেকে সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে গুটিয়ে নেন ওমর ফারুক চৌধুরী। এরপর থেকে ওমর ফারুককে যুবলীগের কোনো কার্যক্রমে দেখা যায়নি।
রোববার (২০ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিনিধি দলের বৈঠকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ক্যাসিনো অভিযানে বিতর্কিত হওয়ার পর গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিস্তর লেখালেখিও হয় যুবলীগের সদ্য বহিষ্কৃত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ছিল ক্যাসিনো কেলেঙ্কারী। এছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে আরও কিছু অভিযোগ নিয়েও আলোচনার ঝড় উঠেছে।
আসুন জেনে নেই ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে যত অভিযোগ-
১. ক্যাসিনো কেলেঙ্কারী।
২. টেন্ডার বাণিজ্য।
২. গঠনতন্ত্রের তোয়াক্কা না করে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে ৬ বছর ধরে যুবলীগের কর্মকাণ্ড চালানো।
৩. ঋণ খেলাপি ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন।
৪. ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত যুবলীগ নেতাদের সঙ্গে তার নিবিড় যোগাযোগ।
৫. ৩ মাসের চট্টগ্রামের আহবায়ক কমিটি দায়িত্ব পালন প্রায় ৬ বছর ধরে।
তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত-যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে অভিযোগের যেন শেষ নেই। নেতাদের অভিযোগ, সংগঠন পরিচালনায় যেমন তিনি স্বেচ্ছাচারিতার পরিচয় দিয়েছেন, তেমনি প্রশ্রয় দিয়েছেন অনিয়মের সাথে সম্পৃক্তদেরও।