ঢাকা ১১:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
জাতিকে বিভক্ত করার প্রচেষ্টা রুখতে ঐক্য জরুরি: ফখরুল খালেদার চিকিৎসায় সুবিধা দেওয়ায় কাতার ও যুক্তরাজ্যকে ধন্যবাদ দিল বিএনপি চলচ্চিত্র তারকা প্রবীর মিত্রের শেষ বিদায়, ইসলামী রীতিতে দাফন ঠাকুরগাঁওয়ে ‘ইত্যাদি’ ধারন অনুষ্ঠানে ভাঙচুর-মারামারি, অনুষ্ঠান স্থগিত হাজীপুর কলেজে জীবন্ত গাছ কেটে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট, সভাপতি বলেছেন ব্যবস্থা নেয়া হবে ঠাকুরগাঁওয়ে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নিহত চাচাকে দেখতে যাবার পথে স্কুলশিক্ষিকা ভাস্তি মিনিবাস’র ধাক্কায় নিহত সংবিধান বাতিল করে গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সাংবাদিক আব্দুর রহমান মারা গেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কার্যালয় গুঁড়িয়ে দিলেন শিক্ষার্থীরা হজরত সোলায়মান (আ.) ও রানি বিলকিসের ঘটনা

‘নাস্তানাবুদ হতেই প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে যান সম্পাদকরা’-ড. আসিফ নজরুল ইসলাম

প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে করা সাংবাদিকদের প্রশ্নের সমালোচনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল ইসলাম।

তিনি বলেছেন, প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক মিডিয়ার সম্পাদকরা প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে যানই নাস্তানাবুদ হতে! সেখানেই শেষ নয়, নাস্তানাবুদ হওয়ার পর তাদের যে কী একটা বেহায়া হাসি দেখি, সেটা হচ্ছে বাংলাদেশের সংবাদ সম্মেলন।

শনিবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন আসিফ নজরুল। ‘হুমকির মুখে বাক স্বাধীনতা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে মৌলিক অধিকার সুরক্ষা কমিটি।

ঢাবির এই আইনের শিক্ষক বলেন, আমি প্রায়ই বিবিসি, সিএনএন দেখি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী যখন সংবাদ সম্মেলন করেন, তখন সাংবাদিকরা তাদের নাস্তানাবুদ করে ফেলেন। কিসের ট্রাম্প, কিসের কী! তিনবার, চারবার তারা দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করেন। বারবার তারা বলতে থাকেন, ‘আপনার (রাষ্ট্রপতি/প্রধানমন্ত্রীর) কোনো অধিকার নেই আমার প্রশ্ন বন্ধ করার।’ প্রেসিডেন্টদের ঘাম ছেড়ে জ্বর চলে আসার মতো অবস্থা হয়। আর বাংলাদেশে হয় উল্টো।

সভায় ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া দাবি করেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে চিন্তা নিয়ন্ত্রণের ধারাও রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, আপনি অপরাধ করার চিন্তা করতে পারেন, এটাকেও অপরাধ হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে মামলা করার বিধান রাখা হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে। অর্থাৎ আপনি কী ভাবতে পারেন, সেটা আগে থেকেই আরেকজন ভেবে আপনার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে! আপনি ভাবলেন কেন, আপনার ভাবনাটা তো অপরাধ। তার মানে আপনার কল্পনা, চিন্তাশক্তি আগে থেকেই নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা এই আইনে আছে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও মৌলিক অধিকার সুরক্ষা কমিটির সদস্য ড. শাহদীন মালিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. সি আর আবরার, ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক রুবায়েত ফেরদৌস প্রমুখ।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

জাতিকে বিভক্ত করার প্রচেষ্টা রুখতে ঐক্য জরুরি: ফখরুল

‘নাস্তানাবুদ হতেই প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে যান সম্পাদকরা’-ড. আসিফ নজরুল ইসলাম

আপডেট টাইম ০৫:১৪:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০১৯

প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে করা সাংবাদিকদের প্রশ্নের সমালোচনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল ইসলাম।

তিনি বলেছেন, প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক মিডিয়ার সম্পাদকরা প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে যানই নাস্তানাবুদ হতে! সেখানেই শেষ নয়, নাস্তানাবুদ হওয়ার পর তাদের যে কী একটা বেহায়া হাসি দেখি, সেটা হচ্ছে বাংলাদেশের সংবাদ সম্মেলন।

শনিবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন আসিফ নজরুল। ‘হুমকির মুখে বাক স্বাধীনতা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে মৌলিক অধিকার সুরক্ষা কমিটি।

ঢাবির এই আইনের শিক্ষক বলেন, আমি প্রায়ই বিবিসি, সিএনএন দেখি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী যখন সংবাদ সম্মেলন করেন, তখন সাংবাদিকরা তাদের নাস্তানাবুদ করে ফেলেন। কিসের ট্রাম্প, কিসের কী! তিনবার, চারবার তারা দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করেন। বারবার তারা বলতে থাকেন, ‘আপনার (রাষ্ট্রপতি/প্রধানমন্ত্রীর) কোনো অধিকার নেই আমার প্রশ্ন বন্ধ করার।’ প্রেসিডেন্টদের ঘাম ছেড়ে জ্বর চলে আসার মতো অবস্থা হয়। আর বাংলাদেশে হয় উল্টো।

সভায় ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া দাবি করেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে চিন্তা নিয়ন্ত্রণের ধারাও রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, আপনি অপরাধ করার চিন্তা করতে পারেন, এটাকেও অপরাধ হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে মামলা করার বিধান রাখা হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে। অর্থাৎ আপনি কী ভাবতে পারেন, সেটা আগে থেকেই আরেকজন ভেবে আপনার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে! আপনি ভাবলেন কেন, আপনার ভাবনাটা তো অপরাধ। তার মানে আপনার কল্পনা, চিন্তাশক্তি আগে থেকেই নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা এই আইনে আছে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও মৌলিক অধিকার সুরক্ষা কমিটির সদস্য ড. শাহদীন মালিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. সি আর আবরার, ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক রুবায়েত ফেরদৌস প্রমুখ।