ঢাকা ১১:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
পীরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৯ ডাক্তারের পদ শূন্য, দায়িত্বরত ৩ জন ৪ বিঘা জমি নিয়ে দুই পক্ষের বিবাদ ১৫ বছর ধরে : সংঘর্ষে আহত অর্ধশত, ১৪৪ ধারা জারি গাজায় গনহত্যার প্রতিবাদে ঠাকুরগায়ের পীরগঞ্জে আল-হাসানার শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন প্রতিবাদসভা আওয়ামীপন্থি ৯৩ আইনজীবীর আদালতে আত্মসমর্পণ, জামিন আবেদন আনন্দবাজারের প্রতিবেদন, ঢাকার প্রস্তাব দ্বিধায় দিল্লি সত্যের মুখোমুখি আসিফ নজরুল পীরগঞ্জে মাস ব্যাপী হস্ত কুটির শিল্প মেলার উদ্বোধন পীরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের ঈদ পূণর্মিলনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক প্রতিবেদন সংখ্যালঘুদের দমিয়ে ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টা পবিত্র শবে কদর আজ

শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে সরকার স্বাগত জানায়

স্টাফ রিপোর্টার::দেশের জনগণকে তার ওপর আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি জনগণেরই একজন হয়ে থাকতে চান। দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে তা অব্যাহত থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজরা যত শক্তিশালীই হোক তাদের ছাড় দেয়া হবে না । যে কোন গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে সরকার স্বাগত জানায় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, অযৌক্তিক দাবিতে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডকে আমরা বরদাশত করবো না। গতকাল সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। টানা তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগের সরকার গঠনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ভাষণ রেডিও টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়। প্রায় আধা ঘণ্টার ভাষণে প্রধানমন্ত্রী গত এক বছরে নেয়া সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম এবং উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপের বিষয় দেশবাসীকে অবহিত করেন। একই সঙ্গে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে তা বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। বক্তব্যের শুরুতে দেশবাসীকে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ২০২০ সাল জাতীয় জীবনে এক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বছর।

এ বছর উদযাপিত হতে যাচ্ছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। আগামী ১৭ই মার্চ বর্ণাঢ্য উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালার শুভ সূচনা হবে। এই উদযাপন শুধু আনুষ্ঠানিকতা-সর্বস্ব নয়, এই উদযাপনের লক্ষ্য জাতির জীবনে নতুন জীবনীশক্তি সঞ্চারিত করা। তিনি বলেন, আমরা আপনাদের জন্য কী করতে চেয়েছিলাম আর কী করতে পেরেছি এ বিষয়ে আমরা সব সময়ই সচেতন। আপনারাও নিশ্চয়ই মূল্যায়ন করবেন। তবে আমরা মুখরোচক প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাসী নই। আমরা তা-ই বলি, যা আমাদের বাস্তবায়নের সামর্থ রয়েছে। তিনি বলেন, একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ আমরা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। যেখানে হিংসা-বিদ্বেষ হানাহানি থাকবে না। সকল ধর্ম-বর্ণ এবং সম্প্রদায়ের মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবেন। সকলে নিজ নিজ ধর্ম যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালন করতে সক্ষম হচ্ছেন। তিনি বলেন, এটুকু জোর দিয়ে বলতে পারি, আমাদের চেষ্টার ত্রুটি ছিল না। অতীতের ভুল-ভ্রান্তি এবং অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব। আমাদের সামনে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আসবে। সকলের সহযোগিতায় আমরা সেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবো, ইনশাআল্লাহ। সাধারণ মানুষকে ঘিরেই আমার সকল কার্যক্রম। আপনাদের উপর আমরা পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আমার উপর ভরসা রাখুন। আমি আপনাদেরই একজন হয়ে থাকতে চাই।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

পীরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৯ ডাক্তারের পদ শূন্য, দায়িত্বরত ৩ জন

শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে সরকার স্বাগত জানায়

আপডেট টাইম ০১:০২:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার::দেশের জনগণকে তার ওপর আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি জনগণেরই একজন হয়ে থাকতে চান। দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে তা অব্যাহত থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজরা যত শক্তিশালীই হোক তাদের ছাড় দেয়া হবে না । যে কোন গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে সরকার স্বাগত জানায় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, অযৌক্তিক দাবিতে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডকে আমরা বরদাশত করবো না। গতকাল সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। টানা তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগের সরকার গঠনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ভাষণ রেডিও টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়। প্রায় আধা ঘণ্টার ভাষণে প্রধানমন্ত্রী গত এক বছরে নেয়া সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম এবং উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপের বিষয় দেশবাসীকে অবহিত করেন। একই সঙ্গে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে তা বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। বক্তব্যের শুরুতে দেশবাসীকে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ২০২০ সাল জাতীয় জীবনে এক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বছর।

এ বছর উদযাপিত হতে যাচ্ছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। আগামী ১৭ই মার্চ বর্ণাঢ্য উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালার শুভ সূচনা হবে। এই উদযাপন শুধু আনুষ্ঠানিকতা-সর্বস্ব নয়, এই উদযাপনের লক্ষ্য জাতির জীবনে নতুন জীবনীশক্তি সঞ্চারিত করা। তিনি বলেন, আমরা আপনাদের জন্য কী করতে চেয়েছিলাম আর কী করতে পেরেছি এ বিষয়ে আমরা সব সময়ই সচেতন। আপনারাও নিশ্চয়ই মূল্যায়ন করবেন। তবে আমরা মুখরোচক প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাসী নই। আমরা তা-ই বলি, যা আমাদের বাস্তবায়নের সামর্থ রয়েছে। তিনি বলেন, একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ আমরা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। যেখানে হিংসা-বিদ্বেষ হানাহানি থাকবে না। সকল ধর্ম-বর্ণ এবং সম্প্রদায়ের মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবেন। সকলে নিজ নিজ ধর্ম যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালন করতে সক্ষম হচ্ছেন। তিনি বলেন, এটুকু জোর দিয়ে বলতে পারি, আমাদের চেষ্টার ত্রুটি ছিল না। অতীতের ভুল-ভ্রান্তি এবং অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব। আমাদের সামনে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আসবে। সকলের সহযোগিতায় আমরা সেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবো, ইনশাআল্লাহ। সাধারণ মানুষকে ঘিরেই আমার সকল কার্যক্রম। আপনাদের উপর আমরা পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আমার উপর ভরসা রাখুন। আমি আপনাদেরই একজন হয়ে থাকতে চাই।