ঢাকা ০২:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
শনিবার খোলা থাকায় বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন বিআরটিএ গ্রাহক আন্দোলনকারী কর্মকর্তাদের ‘কঠোর বার্তা’ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য অনুযায়ী: সিইসি পুনরুজ্জীবিত হচ্ছে পদ্মা সেতু ‘দুর্নীতি’ মামলা ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ দিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে ১৫ দিন সময় আমরা এমন একটি দেশ গড়তে চাই যে দেশে কোনো বৈষম্য থাকবে না- ঠাকুরগাঁওয়ে ডা. শফিকুর রহমান সকল ধর্মের মানুষদের নিয়ে ‌সম্প্রীতির ঐক্যতানে গাহি সাম্যের গান’ সমাবেশ উপজেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের বদলীজনিত বিদায়ী সম্বর্ধনা অনুষ্ঠিত সীমান্ত হত্যা কখনোই মেনে নেওয়ার নয়: মির্জা ফখরুল আ. লীগ সাড়ে ১৫ বছর দেশের পরিবর্তে নিজেদেরকে সাজিয়েছে: জামায়াত আমির

মহাসড়কে টোল আদায়ের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক::মহাসড়কে কীভাবে টোল আদায় করা যায়, সেই পরিকল্পনা করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সংশ্লিষ্টদের সরকারপ্রধান এই নির্দেশ দেন বলে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে একনেক সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশনার কথা অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘এখানে (প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে) মন্তব্য এসেছে, সড়কে টোল বসানো। টোল সংযোজিত হবে। আমাদের রাস্তা বানাতে হবে। রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। মেরামত করতে হবে। মেরামত না করলে আপনারা সবাই বিরক্ত হন। টাকা লাগে তো। সুতরাং টোল করে সামান্য টাকা চাঁদা দিয়ে যাবেন। এটা উনি (প্রধানমন্ত্রী) মনে করেন, এটা বোধহয় ফ্রি হওয়া ঠিক নয়। আমি তার সাথে শতভাগ একমত।’

এম এ মান্নান বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন, এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য। টোল ফ্রি না করে, টোল যেন নেয়া হয়। যাতে কস্টটা রিকভারি হয়।’

‘তবে টোলের সিস্টেমটা দ্রুত করতে হবে। গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে এক ঘণ্টা, এটা ঠিক নয়। এখন টেকনোলজি আছে, তাড়াতাড়ি নিয়ে নিতে হবে’- বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

একনেক সভায় সব মিলিয়ে ৩ হাজার ৪৬২ কোটি টাকার ৭টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পগুলো হলো- ৫৯৫ কোটি টাকার ইমার্জেন্সি মাল্টি সেক্টর রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেসপন্স প্রজেক্ট (১ম সংশোধিত); ৮৪৫ কোটি টাকার বারইয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়ক প্রশস্ত করা; ৫২৪ কোটি টাকার দাউদকান্দি-গোয়ালমারী-শ্রীরায়েরচর (কুমিল্লা)-মতলব উত্তর (ছেঙ্গারচর) জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীত করা; ৫২৬ কোটি টাকার খুলনা সড়ক জোনের আওতাধীন মহাসড়কে বিদ্যমান সরু ও ঝুঁকিপূর্ণ পুরাতন কংক্রিট সেতু-বেইলি সেতুর স্থলে কংক্রিট সেতু নির্মাণ; ৭১২ কোটি টাকার তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙন থেকে পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার ধুলিয়া লঞ্চঘাট হতে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপাশা রক্ষা; ৫৩১ কোটি টাকার কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূর করা (২য় পর্যায়) এবং ৬১ কোটি টাকার গভীর সমুদ্রে টুনা ও সমজাতীয় পেলাজিক মাছ আহরণে পাইলট প্রকল্প।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

শনিবার খোলা থাকায় বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন বিআরটিএ গ্রাহক

মহাসড়কে টোল আদায়ের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম ০১:০৭:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ অগাস্ট ২০২০
ডেস্ক::মহাসড়কে কীভাবে টোল আদায় করা যায়, সেই পরিকল্পনা করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সংশ্লিষ্টদের সরকারপ্রধান এই নির্দেশ দেন বলে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে একনেক সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশনার কথা অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘এখানে (প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে) মন্তব্য এসেছে, সড়কে টোল বসানো। টোল সংযোজিত হবে। আমাদের রাস্তা বানাতে হবে। রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। মেরামত করতে হবে। মেরামত না করলে আপনারা সবাই বিরক্ত হন। টাকা লাগে তো। সুতরাং টোল করে সামান্য টাকা চাঁদা দিয়ে যাবেন। এটা উনি (প্রধানমন্ত্রী) মনে করেন, এটা বোধহয় ফ্রি হওয়া ঠিক নয়। আমি তার সাথে শতভাগ একমত।’

এম এ মান্নান বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন, এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য। টোল ফ্রি না করে, টোল যেন নেয়া হয়। যাতে কস্টটা রিকভারি হয়।’

‘তবে টোলের সিস্টেমটা দ্রুত করতে হবে। গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে এক ঘণ্টা, এটা ঠিক নয়। এখন টেকনোলজি আছে, তাড়াতাড়ি নিয়ে নিতে হবে’- বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

একনেক সভায় সব মিলিয়ে ৩ হাজার ৪৬২ কোটি টাকার ৭টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পগুলো হলো- ৫৯৫ কোটি টাকার ইমার্জেন্সি মাল্টি সেক্টর রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেসপন্স প্রজেক্ট (১ম সংশোধিত); ৮৪৫ কোটি টাকার বারইয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়ক প্রশস্ত করা; ৫২৪ কোটি টাকার দাউদকান্দি-গোয়ালমারী-শ্রীরায়েরচর (কুমিল্লা)-মতলব উত্তর (ছেঙ্গারচর) জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীত করা; ৫২৬ কোটি টাকার খুলনা সড়ক জোনের আওতাধীন মহাসড়কে বিদ্যমান সরু ও ঝুঁকিপূর্ণ পুরাতন কংক্রিট সেতু-বেইলি সেতুর স্থলে কংক্রিট সেতু নির্মাণ; ৭১২ কোটি টাকার তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙন থেকে পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার ধুলিয়া লঞ্চঘাট হতে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপাশা রক্ষা; ৫৩১ কোটি টাকার কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূর করা (২য় পর্যায়) এবং ৬১ কোটি টাকার গভীর সমুদ্রে টুনা ও সমজাতীয় পেলাজিক মাছ আহরণে পাইলট প্রকল্প।