ঢাকা ১০:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পীরগঞ্জে দুই তরুণীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ২

ষ্টাফরিপোর্টার:: ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে দুই তরুণী ধর্ষনের শিকার হয়েছে। জুসের সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তাদের দফায় দফায় গণধর্ষণের অভিযোগ এনে ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত দুই অভিযুক্তকে মঙ্গলবার রাতে আটক করেছে পুলিশ।

মামলা এবং পীরগঞ্জ পুলিশ জানান, পূর্ব পরিচয়ের সুত্র ধরে সোমবার বিকালে পীরগঞ্জ উপজেলার সেনুয়া গ্রামের আলতাফুর রহমান ভোলার ছেলে আটো চার্জার চালক নয়ন (২১) এর সাথে দেখা করতে আসে পাশ্ববর্তী রানীশংকৈল উপজেলার ভোলাপাড়া গ্রামের দুই তরুনী। শহরের পূর্ব চৌরাস্তায় নয়নের সাথে দেখা হয় তাদের। সেখানে নয়ন তার বন্ধু ফরিদ, হিরণ ও সেলিমের সাথে ঐ দুই তরুনীর পরিচয় করে দেয়। এরপর এক তরুনী তার মোবাইল ফোনের ব্যাটারী কিনতে চাইলে- নয়ন জানায়, লোহাগাড়া বাজারে তার পরিচিত লোকের দোকান রয়েছে এবং সেখানে কম দামে ব্যাটারী কিনে দিবে। এমন কথা বলে নয়ন তার বন্ধুদের সহায়তায় কৌশলে তরুনীদ্বয়কে উপজেলার লোহাগাড়া বাজারে নিয়ে যায়। সেখানেরও ব্যাটারীর দাম বেশি হওয়া নয়ন ও তার ঐ তিন বন্ধু জনৈক সবুজের অটো চার্জারে করে তরুনীদের আবারো পীরগঞ্জ শহরে নিয়ে আসে। শহরের পূর্ব চৌরাস্তার রনি টেলিকমে মোবাইলের ব্যাটারী কিনতে তাদের সন্ধা হয়ে যায়। এরপর রাত হয়ে যাওয়ায় নয়ন তাদের বাড়ি না পাঠিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া কথা বলে কৌশল সবুজের অটো চার্জারে উঠিয়ে তাদের নিয়ে সেনুয়ার দিকে রওনা হয়। ঐ অটো চার্জারে তরুনীদের সাথে নয়ন ছাড়াও হিরণ, সেলিম এবং ফরিদও ছিল। চার্জার গাড়িতে তরুনীদের জুসের সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে নয়নের বাড়িতে না নিয়ে গিয়ে ভোমরাদহ ইউনিয়নের চিলাপাড়া গ্রামে চার্জার চালক সবুজের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর নয়ন, সবুজ, হিরণ, সেলিম ও ফরিদ মিলে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। এরপর তরুণীদের সবুজের এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তাদের(তরুনীদের) পাশ্ববর্তী জনৈক নজিবুলের আখক্ষেতে নিয়ে গিয়ে আবারো ৫ জন মিলে জোর করে ধর্ষণ করে। এরপর রাতে তাদের ভোমরাদহের জনৈক মসলিমার বাড়িতে নিয়ে যায় ধর্ষকরা। মসলিমা তাদের বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়ায় রাত তিনটার দিকে পাশ্ববর্তী রেল লাইনে নিয়ে যাওয়া হয় তরুনীদের। সেখানে জনৈক ব্যক্তির হাতের টর্চের আলো দেখে ধর্ষকরা তাদের(তরুনীদের) ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে ভোরে লোহাগাড়া বাজারে এসে অটো চার্জার যোগে বাড়ি গিয়ে ঘটনার কথা পরিবারের লোকজনকে জানায় গণধর্ষনের শিকার তরুনীরা।

পীরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) খায়রুল আনাম ডন জানান, খবর পাওয়ার সাথে সাথেই পুলিশ ধর্ষকদের গ্রেফতার অভিযান শুরু করে। ধৃত আসামীরা হলেন- পীরগঞ্জের সেনুয়া বানিয়া পাড়ার মো: আলতাফুর রহমানের ছেলে নয়ন ইসলাম (২২) ও ভোমরাদহ চিলাছাপা এলাকার মো: ওসমান আলীর ছেলে মো: সবুজ (২০)। মামলার অন্য আসামীরা হলেন- হিরেন চন্দ্র শীল(২৬), ফরিদ হোসেন(২২) ও সেলিম(২২)। ভিকটিমদের ডাক্তারী পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

পীরগঞ্জে দুই তরুণীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ২

আপডেট টাইম ১১:৪৬:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ অগাস্ট ২০২০

ষ্টাফরিপোর্টার:: ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে দুই তরুণী ধর্ষনের শিকার হয়েছে। জুসের সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তাদের দফায় দফায় গণধর্ষণের অভিযোগ এনে ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত দুই অভিযুক্তকে মঙ্গলবার রাতে আটক করেছে পুলিশ।

মামলা এবং পীরগঞ্জ পুলিশ জানান, পূর্ব পরিচয়ের সুত্র ধরে সোমবার বিকালে পীরগঞ্জ উপজেলার সেনুয়া গ্রামের আলতাফুর রহমান ভোলার ছেলে আটো চার্জার চালক নয়ন (২১) এর সাথে দেখা করতে আসে পাশ্ববর্তী রানীশংকৈল উপজেলার ভোলাপাড়া গ্রামের দুই তরুনী। শহরের পূর্ব চৌরাস্তায় নয়নের সাথে দেখা হয় তাদের। সেখানে নয়ন তার বন্ধু ফরিদ, হিরণ ও সেলিমের সাথে ঐ দুই তরুনীর পরিচয় করে দেয়। এরপর এক তরুনী তার মোবাইল ফোনের ব্যাটারী কিনতে চাইলে- নয়ন জানায়, লোহাগাড়া বাজারে তার পরিচিত লোকের দোকান রয়েছে এবং সেখানে কম দামে ব্যাটারী কিনে দিবে। এমন কথা বলে নয়ন তার বন্ধুদের সহায়তায় কৌশলে তরুনীদ্বয়কে উপজেলার লোহাগাড়া বাজারে নিয়ে যায়। সেখানেরও ব্যাটারীর দাম বেশি হওয়া নয়ন ও তার ঐ তিন বন্ধু জনৈক সবুজের অটো চার্জারে করে তরুনীদের আবারো পীরগঞ্জ শহরে নিয়ে আসে। শহরের পূর্ব চৌরাস্তার রনি টেলিকমে মোবাইলের ব্যাটারী কিনতে তাদের সন্ধা হয়ে যায়। এরপর রাত হয়ে যাওয়ায় নয়ন তাদের বাড়ি না পাঠিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া কথা বলে কৌশল সবুজের অটো চার্জারে উঠিয়ে তাদের নিয়ে সেনুয়ার দিকে রওনা হয়। ঐ অটো চার্জারে তরুনীদের সাথে নয়ন ছাড়াও হিরণ, সেলিম এবং ফরিদও ছিল। চার্জার গাড়িতে তরুনীদের জুসের সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে নয়নের বাড়িতে না নিয়ে গিয়ে ভোমরাদহ ইউনিয়নের চিলাপাড়া গ্রামে চার্জার চালক সবুজের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর নয়ন, সবুজ, হিরণ, সেলিম ও ফরিদ মিলে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। এরপর তরুণীদের সবুজের এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তাদের(তরুনীদের) পাশ্ববর্তী জনৈক নজিবুলের আখক্ষেতে নিয়ে গিয়ে আবারো ৫ জন মিলে জোর করে ধর্ষণ করে। এরপর রাতে তাদের ভোমরাদহের জনৈক মসলিমার বাড়িতে নিয়ে যায় ধর্ষকরা। মসলিমা তাদের বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়ায় রাত তিনটার দিকে পাশ্ববর্তী রেল লাইনে নিয়ে যাওয়া হয় তরুনীদের। সেখানে জনৈক ব্যক্তির হাতের টর্চের আলো দেখে ধর্ষকরা তাদের(তরুনীদের) ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে ভোরে লোহাগাড়া বাজারে এসে অটো চার্জার যোগে বাড়ি গিয়ে ঘটনার কথা পরিবারের লোকজনকে জানায় গণধর্ষনের শিকার তরুনীরা।

পীরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) খায়রুল আনাম ডন জানান, খবর পাওয়ার সাথে সাথেই পুলিশ ধর্ষকদের গ্রেফতার অভিযান শুরু করে। ধৃত আসামীরা হলেন- পীরগঞ্জের সেনুয়া বানিয়া পাড়ার মো: আলতাফুর রহমানের ছেলে নয়ন ইসলাম (২২) ও ভোমরাদহ চিলাছাপা এলাকার মো: ওসমান আলীর ছেলে মো: সবুজ (২০)। মামলার অন্য আসামীরা হলেন- হিরেন চন্দ্র শীল(২৬), ফরিদ হোসেন(২২) ও সেলিম(২২)। ভিকটিমদের ডাক্তারী পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।